বিশ্ব ভ্রমণের অংশ হিসেবে ঢাকায় অবস্থান করছে ওয়ানডে বিশ্বকাপের ট্রফি। গতকাল পদ্মাসেতু ঘুরে মঙ্গলবার মিরপুর শেরে বাংলা স্টেডিয়ামে ট্রফিটি আনা হয়েছে। সকালের আনুষ্ঠানিক আয়োজনে স্টেডিয়ামের মঞ্চে সোনালী ট্রফিটি উঠেছে মুশফিকুর রহিমের হাত ধরে। সকাল ৯টা থেকে দুপুর ১২টা পর্যন্ত মিরপুর স্টেডিয়ামেই থাকে এই ট্রফি।
ড্রেসিংরুম থেকে মুশফিক যখন ট্রফিটা নিয়ে এলেন, তার আগেই মঞ্চে আসেন জাতীয় দলের ক্যাম্পে থাকা ক্রিকেটাররা। তাদের সারিবদ্ধভাবে দাঁড় করান ম্যানেজার নাফিস ইকবাল। শেরে বাংলা স্টেডিয়ামের শহীদ জুয়েল স্ট্যান্ডের সামনে সাজানো মঞ্চে মুশফিক ট্রফি রাখেন। এরপর সবাই একসঙ্গে তুললেন ছবি। তরুণ ক্রিকেটারদের সঙ্গে থাকলেন মুশফিক, মাহমুদউল্লাহ রিয়াদের মতো অভিজ্ঞরাও। তাদের সঙ্গে থাকলেন কোচিং স্টাফের প্রায় সব সদস্য। ছুটি কাটিয়ে না ফেরায় অবশ্য ছিলেন না হেড কোচ চন্ডিকা হাথুরুসিংহে।
গ্রুপ ছবি তোলার পর আলাদা করেও ছবি তোলেন ক্রিকেটাররা। কখনো তানজিম সাকিব, কখনো ফটোগ্রাফারের দায়িত্ব নেন রিশাদ হোসেন। ট্রফি ছেড়ে যাওয়ার আগে তো চুমুই এঁকে দিয়ে যান শামীম হোসেন পাটোয়ারী। ক্রিকেটারদের ছবি তোলার পর্ব শেষে ট্রফি নিয়ে যাওয়া হয় মাঠের মাঝখানে উইকেটের ওপর। ওখানে শুরুতে ফটো সেশন-ভিডিও করা হয় আইসিসির জন্য। পরে ছবি তোলেন মাঠকর্মীরাও। তাদের চোখেমুখেও ছিল উচ্ছ্বাস ও আনন্দের প্রতিচ্ছবি।
এরপর ট্রফি নিয়ে আসা হয় মিডিয়া প্লাজায়। ততক্ষণে অবশ্য কাঁচের বাক্সে বন্দি করা হয়। সেখানে বিকেএসপির ক্রিকেট বিভাগের ছাত্র, গণমাধ্যম কর্মী ও ক্রিকেট সংশ্লিষ্ট অনেকেই ছবি তোলেন। নারী ক্রিকেটাররা দল বেঁধে এসেছিলেন ট্রফির সঙ্গে ছবি তুলতে। বাংলাদেশ ক্রীড়া শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বিকেএসপির ক্ষুদে শিক্ষার্থীরাও ট্রফির সঙ্গে ছবি তোলার সুযোগ পেয়েছেন।
ট্রফির সঙ্গে ছবি তুলেছেন সাবেক অধিনায়ক ও নির্বাচক হাবিবুল বাশার সুমন। তিনি তার প্রতিক্রিয়ায় বলেছেন, 'আসলে কাচে বন্দি ট্রফির সঙ্গে তুলেছি। হাতে নিয়ে তুলতে পারলে ভালো হতো। আশা করি, সেই স্বপ্নও একদিন পূরণ হবে।' আগামীকাল রাজধানীর বসুন্ধরা সিটি শপিং কমপ্লেক্সে বেলা ১১টা থেকে রাত ৮টা পর্যন্ত সাধারণ ক্রিকেটপ্রেমীরা দেখার সুযোগ পাবেন ট্রফিটি। সেখানে নির্দিষ্ট দূরত্ব থেকে ছবি তোলার সুযোগ পাবেন সাধারণ জনগণ। এতে কোনো ধরনের টিকিট কাটতে হবে না।
এলএবাংলাটাইমস/আইটিএলএস
এলএবাংলাটাইমস/আইটিএলএস