লস এঞ্জেলেস

লিটিল বাংলাদেশে প্রবাসীদের বিক্ষোভ

বাংলাদেশের গণতন্ত্র হত্যা, বাক-স্বাধীনতা হরণ, মানবাধিকার লংঘন, চলমান রাজনৈতিক অস্হিরতার প্রতিবাদে এবং অবৈধ স্বৈরাচারী সরকারের পদত্যাগ ও দ্রুত সংলাপের মাধ্যমে সকল দলের অংশগ্রহণে নিরপেক্ষ নির্বাচনের দাবীসহ বিভিন্ন ইস্যু নিয়ে "লস এঞ্জেলেসের বাংলাদেশী প্রবাসী" ব্যানরে বিক্ষোভ করেছেন প্রবাসী বাংলাদেশীরা। গত ১৮ই জানুয়ারি, রবিবার বিকালে লস এঞ্জেলেসের 'লিটিল বাংলাদেশ' এলাকায় এ সমাবেশে স্হানীয় বিএনপি ও ২০দলীয় জোটের নেতা-কর্মী-সমর্থকদের আধিক্য থাকলেও বিক্ষোভে যোগ দিয়েছেন কম্যূনিটির বিভিন্ন সংগঠনের বিশিষ্ট নেতা, ব্যাক্তিবর্গ ও সাধারণ নাগরিকগণ।  নির্ধারিত সময় বেলা ৩টার কিছুটা আগে থেকেই কম্যূনিটির মানুষজন অনুষ্ঠানস্হলে এসে জড়ো হতে শুরু করেন। ইংরেজি ও বাংলায় বিভিন্ন প্ল্যাকার্ড, ফেস্টুন ও ব্যানার নিয়ে শান্তিপূর্ণ এই বিক্ষোভ সমাবেশ চলাকালে রাস্তার অনেক যানবাহনকেই 'হর্ণ' বাজিয়ে বিক্ষোভের প্রতি সমর্থন প্রকাশ করতে দেখা গেছে।  মূহুর্মুহু স্লোগানে উত্তাল ছিল 'লিটিল বাংলাদেশ' এলাকা।"লস এঞ্জেলেসের বাংলাদেশী প্রবাসী" ব্যানারে আয়োজিত এই বিক্ষোভ সমাবেশের সভাপতিত্ব করেন ক্যালিফোর্নিয়া বিএনপি'র সভাপতি মো. আ. বাছিত। প্রবাসীদের নিয়ে আয়োজিত এ বিক্ষোভ সমাবেশে বক্তব্য রাখেন  ড.মাহবুব খান, নজরুল ইসলাম চৌধুরী কাঞ্চন, ডাব্লিউ আমিন, মুর্শেদুল ইসলাম, বদরুল আলম চৌধুরী শিপলু, সামসুজ্জোহা বাবলু, এম ওয়াহিদ রহমান, আশরাফ হোসেন আকবর, ফারুক হাওলাদার, লায়েক আহমেদ, সৈয়দ নাসিরউদ্দিন জেবুল, মারুফ খান, আনিস আহমেদ, ফয়সাল আহমেদ তুহিন, লিংকন চৌধুরী, মুশফিক খসরু, মো. চপল, শাহাদাত শাহীন, লোকমান হোসেন, মো. মুকুল।  এছাড়া সমাবেশে বক্তব্য না রাখলেও বিক্ষোভে উপস্হিত ছিলেন প্রফেসর আলী আকবর, আহমেদ কবির, কম্যূনিটির মেয়র অফিসের কমিশনার মারুফ ইসলাম, বিশিষ্ট সাংবাদিক আবদুস সামাদ প্রমুখ।সভাপতির বক্তব্যে মো.বাছিত বলেন, ইট-বালির ট্রাক আর তালা দিয়ে আজ বাংলাদেশের গণতন্ত্রকে অবরুদ্ধ করা হয়েছে, সবাইকে সভা-সমাবেশ করতে দিতে হবে। অবৈধ শেখ হাসিনার বিদায় না হওয়া পর্যন্ত জনগণের আন্দোলন চলবে। অবিলম্বে নিরপেক্ষ ও সকল দলের অংশগ্রহণে নির্বাচন দিতে হবে। দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার নেতৃত্বে শান্তিপূর্ণ ও গণতান্ত্রিক আন্দোলনের মাধ্যমেই বাংলাদেশের মানুষের ভোট ও ভাতের অধিকার ও জীবনের নিরাপত্তা ফিরে আসবে এবং প্রতিষ্ঠিত হবে জনগণের সরকার। এছাড়াও মো.বাছিত আগামী ২৩শে জানুয়ারি শুক্রবার, জুম্মার নামাযের পর সবাইকে বাংলাদেশের কনসুলেট আফিসে প্রবাসীদের পক্ষ থেকে 'স্মারকলিপি' দেয়ার সময় আসার জন্য আহবান জানান। 'পরদেশ/বাংলাবাজার' থেকে মিছিল নিয়ে 'স্বদেশ চত্তরে' এসে সমাবেশ সফল করার জন্য সবাইকে ধন্যবাদ জানিয়ে অনুষ্ঠানের পরিসমাপ্তি ঘোষণা করা হয়।