লস এঞ্জেলেস

ট্রাম্পের শুল্ক নীতিতে শিথিলতা, স্বস্তি পাচ্ছে মার্কিন গাড়ি শিল্প

মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প তার আরোপিত শুল্ক নীতির প্রভাব থেকে যুক্তরাষ্ট্রের গাড়ি নির্মাতা প্রতিষ্ঠানগুলোকে রক্ষা করতে পদক্ষেপ নিতে যাচ্ছেন বলে হোয়াইট হাউজের এক ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা জানিয়েছেন। কমার্স সেক্রেটারি হাওয়ার্ড লুটনিক এক বিবৃতিতে বলেছেন, “এই চুক্তি প্রেসিডেন্টের বাণিজ্য নীতির একটি বড় বিজয়, যা ঘরোয়া উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠানগুলোকে পুরস্কৃত করছে।” এই বিবৃতি রয়টার্স সংস্থার কাছে সরবরাহ করা হয়েছে। প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প শিগগিরই এমন কিছু ঘোষণা দেবেন, যার মাধ্যমে যুক্তরাষ্ট্রে উৎপাদিত গাড়িতে ব্যবহৃত বিদেশি যন্ত্রাংশের ওপর আরোপিত কিছু আমদানি শুল্ক কমিয়ে আনা হবে। তবে যেসব গাড়ি বিদেশে তৈরি হচ্ছে, সেগুলোর ওপর আগের মতোই শুল্ক বহাল থাকবে। তবে অতিরিক্ত শুল্ক, যেমন স্টিল ও অ্যালুমিনিয়াম পণ্যের ক্ষেত্রে যা আরোপ করা হয়েছিল, সেগুলো এ ক্ষেত্রে প্রযোজ্য হবে না—এই তথ্য দিয়েছে ওয়াল স্ট্রিট জার্নাল। মঙ্গলবার মিশিগানে এক নির্বাচনী সমাবেশ করার কথা রয়েছে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের, যা তার প্রথম ১০০ দিনের কার্যক্রম উপলক্ষে অনুষ্ঠিত হবে। মিশিগান রাজ্যে ফোর্ড, জেনারেল মোটরস (GM) এবং স্টেলান্টিসসহ যুক্তরাষ্ট্রের প্রধান তিনটি গাড়ি নির্মাতা প্রতিষ্ঠানের প্রধান কার্যালয় অবস্থিত। এছাড়া এখানে রয়েছে গাড়ি শিল্পের সহস্রাধিক সরবরাহকারী কোম্পানি। শুল্ককে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প তার অর্থনৈতিক পরিকল্পনার কেন্দ্রবিন্দুতে রেখেছেন এবং এটিকে তিনি “শব্দকোষের সবচেয়ে সুন্দর শব্দ” হিসেবে অভিহিত করেছেন। তবে তার এই শুল্কনীতি বিশ্ববাজারে অস্থিরতা তৈরি করেছে, ব্যবসার অনিশ্চয়তা বাড়িয়েছে এবং সম্ভাব্য অর্থনৈতিক মন্দার আশঙ্কা সৃষ্টি করেছে। গাড়ি শিল্পে শুল্কের প্রভাব কমানোর এই পদক্ষেপকে প্রশাসনের নীতিতে নমনীয়তার প্রতিফলন হিসেবে দেখা হচ্ছে। জেনারেল মোটরসের সিইও মেরি ব্যারা এ উদ্যোগকে স্বাগত জানিয়েছেন। বিবিসিকে পাঠানো এক ইমেইলে তিনি বলেন, “মার্কিন অটোমোটিভ শিল্প এবং এই খাতে কর্মরত লক্ষ লক্ষ মানুষের প্রতি প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের সহায়তার জন্য আমরা কৃতজ্ঞ। আমরা প্রেসিডেন্ট এবং তার প্রশাসনের সঙ্গে গঠনমূলক আলোচনা করেছি এবং ভবিষ্যতেও একসাথে কাজ করার প্রত্যাশা রাখি।” তবে ফোর্ড এবং স্টেলান্টিস তাৎক্ষণিকভাবে এ বিষয়ে কোনো মন্তব্য দেয়নি। গত সপ্তাহে যুক্তরাষ্ট্রের গাড়ি শিল্পের কয়েকটি গ্রুপ একত্রিত হয়ে প্রেসিডেন্টের কাছে ২৫% শুল্ক আরোপ না করার আহ্বান জানায়। জেনারেল মোটরস, টয়োটা এবং ভলকসওয়াগেনসহ বেশ কয়েকটি কোম্পানির প্রতিনিধিত্বকারী সংগঠনগুলো এক চিঠিতে সতর্ক করে বলে, “এই শুল্ক আরোপ ভোক্তাদের জন্য গাড়ির দাম বাড়াবে, গাড়ি বিক্রি কমাবে এবং মেরামত ও সার্ভিসিং ব্যয়বহুল করে তুলবে।” প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প এর আগে জানিয়েছিলেন, ৩ মে থেকে শুল্ক কার্যকর হবে।

এলএবাংলাটাইমস/ওএম