লস এঞ্জেলেসের ওয়েস্টচেস্টার এলাকার বাসিন্দারা আতঙ্কে রয়েছেন, কারণ সম্প্রতি তাদের এলাকা থেকে ডজন ডজন কাককে গুলিবিদ্ধ অবস্থায় মৃত পাওয়া গেছে। স্থানীয় বাসিন্দারা এখন উদ্বিগ্ন যে, এই অজ্ঞাত হামলাকারী শুধুমাত্র কাকই নয়, তাদের পোষা প্রাণী বা এলাকাবাসীর জন্যও হুমকি হয়ে উঠতে পারে।
চেজ অ্যাভিনিউর ৮৩০০ ব্লকে গত কয়েক বছর ধরেই এই কাক হত্যার ঘটনা ঘটছে। তবে বাসিন্দা ব্রেনা লেনোয়ার এবং তার প্রতিবেশীরা বলছেন, সাম্প্রতিক সময়ে এই ঘটনা আরও বেড়ে গেছে।
তারা জানান, কাকগুলোর গুলিবিদ্ধ হয়ে মরার পেছনে কোনো নির্দিষ্ট কারণ খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না। কোনো দিন একাধিক কাককে মৃত অবস্থায় পাওয়া যায়, আবার কোনো দিন মাত্র এক বা দুইটি কাক মারা যায়।
লেনোয়ার স্থানীয় সংবাদমাধ্যম KTLA-কে জানিয়েছেন, তিনি এবং তার প্রতিবেশীরা প্রায়ই গুলির শব্দ শুনতে পান, যা মূলত পূর্বদিকে এক ব্লক দূর থেকে আসে।
“এটি সত্যিই ভয়ংকর, কারণ আপনি জানেন না কখন গুলি ছিটকে আসতে পারে। আর যে ব্যক্তি এটা করছে, তার মানসিক অবস্থা কেমন, তাও আমরা জানি না,” বলেন তিনি।
সবচেয়ে সাম্প্রতিক ঘটনা ঘটেছে ৮ মার্চ। ওইদিন তিনটি কাককে গুলিবিদ্ধ অবস্থায় মৃত পাওয়া যায়, আর একটি কাক আহত হয়।
লেনোয়ার আহত কাকটিকে চিকিৎসা দেন এবং সেটিকে ক্যালিফোর্নিয়ার ক্যালাবাসাসে অবস্থিত California Wildlife Center-এ নিয়ে যান, যাতে সেটিকে বাঁচানো সম্ভব হয়।
স্থানীয়দের মতে, গত কয়েক বছরে প্রায় ১০০টির বেশি কাক এবং দুটি বাজপাখি গুলিবিদ্ধ হয়ে মারা গেছে। বাজপাখি হত্যা করা বেআইনি, তবুও এটি ঘটছে। ধারণা করা হচ্ছে, এই হত্যাকাণ্ডে পেলেট বা এয়ারসফট রাইফেল ব্যবহার করা হচ্ছে।
পুলিশ একাধিকবার ঘটনাস্থলে এসে তদন্ত করেছে এবং এলাকাবাসীদের পরামর্শ দিয়েছে যে, তারা মিলে পূর্বদিকের দিকে ক্যামেরা স্থাপন করলে হয়তো হামলাকারীকে শনাক্ত করা সম্ভব হবে।
লেনোয়ার বলেন, “আমি শুধু চাই, এটি বন্ধ হোক। আমরা যেন নিরাপদে থাকতে পারি এবং আমাদের এলাকায় আর মৃত পাখির স্তূপ না দেখি। এটি সত্যিই খুব কষ্টদায়ক।”
এলএবাংলাটাইমস/ওএম
এলএবাংলাটাইমস/ওএম