পূর্ব ইংল্যান্ডের উপকূলে একটি তেলবাহী ট্যাংকার এবং একটি কার্গো জাহাজের সংঘর্ষে উভয় জাহাজেই অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে। এই ঘটনার পর জরুরি উদ্ধার অভিযান শুরু হয়েছে বলে জানিয়েছে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ।
এখন পর্যন্ত ৩২ জনকে উদ্ধার করে তীরে আনা হয়েছে, তবে তাদের শারীরিক অবস্থা সম্পর্কে তাৎক্ষণিক কোনো তথ্য জানা যায়নি।
গ্রিমসবি ইস্ট বন্দরের প্রধান নির্বাহী মার্টিন বয়ার্স জানিয়েছেন, প্রথমে উইন্ডক্যাট ৩৩ নামের একটি দ্রুতগামী উদ্ধার জাহাজের মাধ্যমে ১৩ জনকে বন্দরে আনা হয়। পরে আরও ১৯ জনকে একটি পাইলট বোটের মাধ্যমে উদ্ধার করা হয়।
ব্রিটেনের মেরিটাইম অ্যান্ড কোস্টগার্ড এজেন্সি জানিয়েছে, ঘটনাস্থলে একাধিক লাইফবোট, একটি কোস্টগার্ড হেলিকপ্টার, একটি নজরদারি বিমান এবং আগুন নেভানোর সক্ষমতা সম্পন্ন নৌযান পাঠানো হয়েছে।
উদ্ধার সংস্থা আরএনএলআই (RNLI) জানিয়েছে, সংঘর্ষের পর বেশ কয়েকজন জাহাজ থেকে সাগরে লাফিয়ে পড়েন এবং উভয় জাহাজেই আগুন ধরে যায়। ঘটনাস্থলে তিনটি লাইফবোট কোস্টগার্ডের সঙ্গে উদ্ধার কাজে অংশ নিচ্ছে।
বিবিসিতে প্রচারিত ভিডিও ফুটেজে দেখা গেছে, দুটি জাহাজ থেকেই কালো ধোঁয়া উঠছে।
বন্দর প্রধান বয়ার্স জানান, "আমরা শুনেছি, বিশাল এক আগুনের গোলা দেখা গেছে। ঘটনাস্থলটি উপকূল থেকে ১০ মাইল দূরে, তাই আমরা সরাসরি দেখতে পাচ্ছি না, তবে উদ্ধারকারী নৌযানগুলো আহতদের তীরে আনছে। জাহাজ থেকে মে ডে সংকেত পাঠানো হয়েছে বলে ধারণা করা হচ্ছে। ভাগ্যক্রমে, কাছাকাছিই একটি ক্রু ট্রান্সফার জাহাজ ছিল, যা দ্রুত সাহায্যে এগিয়ে আসে। এরপরই একাধিক অ্যাম্বুলেন্স ঘটনাস্থলে পৌঁছেছে।"
জাহাজ ট্র্যাকিং ওয়েবসাইট ভেসেলফাইন্ডার (VesselFinder) জানিয়েছে, দুর্ঘটনার সময় মার্কিন পতাকাবাহী রাসায়নিক ও তেলবাহী ট্যাংকার এমভি স্টেনা ইম্যাকুলেট (MV Stena Immaculate) নোঙর করা অবস্থায় ছিল। এটি গ্রিস থেকে যাত্রা করেছিল। অন্যদিকে, পর্তুগিজ পতাকাবাহী কনটেইনার জাহাজ সোলং (Solong) স্কটল্যান্ডের গ্র্যাঞ্জমাউথ থেকে নেদারল্যান্ডসের রটারডামে যাচ্ছিল।
ব্রিটিশ কোস্টগার্ড জানিয়েছে, সোমবার সকাল ০৯:৪৮ (জিএমটি) সময় এ দুর্ঘটনার জন্য জরুরি সংকেত পাঠানো হয়। সংঘর্ষস্থলটি হাল (Hull) উপকূল থেকে প্রায় ১৫৫ মাইল (২৫০ কিলোমিটার) উত্তরে।
ব্রিটেনের পরিবহন সচিব হেইডি আলেকজান্ডার বলেছেন, তিনি পরিস্থিতির আপডেট পাচ্ছেন এবং উদ্ধারকারীদের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেছেন।
"আমি সকল জরুরি উদ্ধার কর্মীদের প্রতি কৃতজ্ঞ, যারা নিরলসভাবে এই দুর্ঘটনার মোকাবিলা করছেন," বলেন তিনি।
এলএবাংলাটাইমস/ওএম