লস এঞ্জেলেস

আমেরিকার রাষ্ট্রদূতের সাথে লস এঞ্জেলেস প্রবাসীদের মত বিনিময়

গত ৮ ই মে ২০১৫ শুক্রবার লস এঞ্জেলেসের স্থানীয় একটি হোটেল DAYS INN GLENALE এ লস

এঞ্জেলেস প্রবাসীদের সাথে বাংলাদেশে নিযুক্ত আমেরিকার রাষ্ট্রদূত মারসিয়া স্টিফেন বারনিকেট এক

মত বিনিময় সভায় অংশ নেন। সন্ধ্যা ০৭টা থেকে রাত ১০টা পর্যন্ত অনুষ্ঠানটি অনুষ্ঠিত হয়। এতে দু

দেশের বিভিন্ন দিক নিয়ে আলোচনা করা হয়। এখানে উল্লেখ্য যে, লস এঞ্জেলেসের সিনিয়র

কমিউনিটি নেতা ও এক্টিভিস্ট মিঃ মাসুদ রব চৌধুরী বিশেষ প্রচেষ্টা ও সহায়তায় এই মত বিনিময়

সভা আয়োজন করা হয়েছে। মিঃ মাসুদ রব চৌধুরী কমিউনিটির সকলের পক্ষ থেকে কংগ্রেসম্যান

অফিস থেকে এ ইভেন্টটি করার অনুমতি লাভ করেন।
 অনুস্থানের শুরুতে আমেরিকা ও

বাংলাদেশের জাতীয় সঙ্গীত পরিবেশন করা হয়, সবাই দাড়িয়ে সম্মান প্রদর্শন করেন। রাষ্ট্রদুতের সাথে

আরও আমন্ত্রিত অতিথি ছিলেন, মিঃ গিলবারট মরটন(বাংলাদেশ ডেস্ক অফিসার),জন

আলফোরড(এলএ চিফ অব স্টাফ ফর কংগ্রেসম্যান), ব্রাড শেরমান, জন চিয়ং  ।
তারা সবাই

সংক্ষিপ্ত বক্তৃতা প্রদান করেন। তাদের বক্তৃতায় মানুষের সাথে মানুষের সম্পর্কের কথা উঠে আসে। যা

বাংলাদেশ ও আমেরিকার সম্পর্কের ব্যাপারে আলোকপাত করে। 
উক্ত অনুস্থানে লস এঞ্জেলেসের

বিশিষ্ট বাংলাদেশী প্রবাশি আমেরিকান গন উপস্থিত ছিলেন।
এ অনুস্থানে পানেলে তিন জনের সাথে বিভিন্ন টপিকে আলোচনা করে হয়। টপিক গুলো হল,
# শিল্প নিরাপত্তা
# অভিজ্ঞতা বিনিময় করা
# প্রযুক্তি হস্তান্তর করা
# আঞ্চলিক আন্তর্জাতিক বিষয়
# পানি সম্পদ
# সীমান্ত
# বাণিজ্য
# বিদেশী বিনিয়োগ
# গার্মেন্টস শিল্প বাণিজ্যের সম্পর্ক
# আমদানি – রপ্তানি
উক্ত অনুস্থানের মডারেটর ছিলেন প্রফেসর নাজমুল উলা( আসোসিয়েট ডীন, Loyola Marymount

University, Los Angeles )।
আমেরিকার রাষ্ট্রদূতকে বক্তৃতা দিতে আমন্ত্রন জানালে  তিনি সবাইকে ধন্যবাদ দিয়ে শুরু করেন ।

শুরুতে তিনি মা দিবসের শুভেচ্ছা জানান। তার পর তিনি বাংলাদেশের বিভিন্ন বিষয় নিয়ে কথা বলেন।

কিছু কিছু ক্ষেত্রে তিনি বাংলাদেশের ভূয়সী প্রসংশা করেন। তিনি আন্তরিকতার সাথে বলেন, “আমি

বাংলাদেশে গিয়ে মনে হয়েছে যে আমি আমার নিজের দেশে এসেছি ।
 মনে হয়নি কন এজেন্ডা

বাস্তবায়ন করতে এসেছি”। রাষ্ট্রদূত মারসিয়া যেসব বিষয় নিয়ে আলোচনা করেন তা পয়েন্ট আকারে

তুলে ধরা হলঃ 
# অনিয়মিত , সল্প উপস্থিতি, খুব হতাশা জনক ঢাকা ও চট্টগ্রাম সিটিকর্পোরেশন নির্বাচন
# পোশাক ও কাপড় শিল্প
# রানা প্লাজার ধ্বংস যজ্ঞ
# অনিরাপদ গার্মেন্টস শিল্প, অনিরাপদ পানি, সল্প বেতন ও শ্রমিক রক্ষা আইনহীনতা
# শিক্ষা ক্ষেত্রঃ বাংলাদেশ বিশ্বের ২৫তম দেশ যারা আমেরিকায় সবচেয়ে ছাত্র পড়তে পাঠায়।
# রাজনৈতিক স্তীথিশীলতাঃ বিএনপি ও আওমীলীগ কে সমজোথার মাধ্যমে শান্তি বজায় রাখার

ইঙ্গিত দেন ।
# দুর্নীতি বাপারে কথা হয়।
# ভারতের সাথে দীর্ঘ সীমান্ত
# গার্মেন্টস ও আইটি সেক্টরের অভুত সাফল্য
# তিনি বলেন , আমেরিকা বাংলাদেশের সব চেয়ে বড় একক পোশাক আমদানি কারক দেশ
# তিনি মানব পাচার নিয়ে কথা বলেন
# ইস্তাম্বুল টু বাংকক সুপার হাইওয়ে অর্থনৈতিক জোনের সুবিধা নিতে বলেন বাংলাদেশ কে।
# ওবামা ও জন কেরি বাংলাদেশ ভ্রমন করতে পারেন বলে তিনি জানিয়েছেন।
# ক্রিকেটঃ আশরাফ আহমেদ মিলন রাষ্ট্রদূতকে বাংলাদেশে তার সবচেয়ে মজার অভিজ্ঞতা কি

জানতে চাইলে তিনি বলেন , ক্রিকেট খেলা, সাধারন জনগনের সমর্থন এবং অংশগ্রহন।
# তিনি প্রবাসী বাংলাদেশী সম্পরকে বলেন, ৫০০,০০০ বাংলাদেশী আমেরিকান থাকে এখানে

আমেরিকাতে।
# জলবায়ু পরিবর্তনে বাংলাদেশের দক্ষিণ অঞ্চল ডুবে যাবে, উপরন্তু নতুন ভুমিও জেগে উথতেছে ।
# শিশু শিক্ষাঃ তিনি বাংলাদেশের শিশু শিক্ষার প্রসংশা করে বলেন ৯৭% শিশু স্কুলে যায়। যাদের

অধিকাংশ মেয়ে। তিনি নতুন নতুন স্কুল তৈরির প্রয়োজনীয়তার কথা বলেন।
# দুত মারসিয়া বাংলাদেশের মানুশের আন্তরিকতা ,ভালবাসা  ও বন্ধুত্ব  নিয়ে উচ্ছ্বাস প্রকাশ করেন ।
# তিনি আশা প্রকাশ করেন , পশ্চিমা ধাচে বাংলাদেশের শিক্ষা বাবস্থার আর উন্নতি হবে।
#  বিদেশী বিনিয়োগঃ তিনি বলেন বাংলাদেশে আমেরিকার অনেক কোম্পানি বিনিয়োগ করেছেন ও

ভবিষ্যতে করবে। তিনি শেভরন ও কোকা কোলার নাম উল্লেখ করেন।
# ব্রাকঃ বেসরকারি এনজিও ব্রাকের ভূয়সী প্রসংশা করে তিনি বলেন, ব্রাক চমৎকার কাজ করছে।

সাধারন মানুষের জীবন ম্যান উন্নয়নের জন্য তারা ভাল কাজ করে যাচ্ছে।
# সিটি নির্বাচন নিয়ে অসন্তোষ ও হতাশা প্রকাশ করেন । তিনি বলেন , আমরা হতাশ , সাথে

বিএনপি ও নির্বাচন থেকে সরে এসেছেন ।
উল্লেক্ষ্য, সিটি নির্বাচনের দিন মারসিয়া বারনিকেট তার ফেসবুকে লেখেন, “যে কোন মূল্যে জয় লাভ

কোন বিজয় ই না”।
 
পরিশেষে, তিনি তাকে আমন্ত্রন জানানর জন্য ও এমন সাজান এবং গঠনমূলক অনুস্থানের আয়জনের

জন্য ধন্যবাদ জানান। তিনি ডিনারের মেন্যুর ও প্রসংশা করেন। ডিনারের পর মিঃ মাসুদ রব চৌধুরী

কমিউনিটির মঞ্চে ডেকে সকলের সাথে রাষ্ট্রদূত মারসিয়া স্টিফেন বারনিকেট কে পরিচয় করিয়ে

দেন।


তারপর মিসেস মাসুদ রব রাষ্ট্রদূত মারসিয়া স্টিফেন বারনিকেটকে ক্রেস্ট উপহার দেন এবং

মিসেস রাবিয়া জামি চিফ স্টাফ ফর কংগ্রেসম্যান জন এ্যালফর্দ কে  ক্রেস্ট হাতে তুলে দেন। এ

সময় এলএ বাংলাটাইমস এর সত্ত্বাধিকারী জনাব আব্দুস সামাদ সহ নেত্রীস্থানীয় সাংবাদিক গন

উপস্থিত ছিলেন।
অনুস্থান শেষে মিঃ মাসুদ রব চৌধুরী কমিউনিটির সকল কে তাঁদের সদয় উপস্থিতির জন্য ধন্যবাদ

দেন।  সকলের সহযোগিতার জন্য কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন।