লস এঞ্জেলেস

"কামারুজ্জামানের রায়ের প্রতিবাদে লস এঞ্জেলেসে মানব বন্ধন, বিক্ষোভ ও স্মারকলিপি প্রদান।।"

আহমেদ ফয়াসাল(লস এঞ্জেলেস: বিশিষ্ট সাংবাদিক, কলামিস্ট ও বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় এসিষ্ট্যান্ট
সেক্রেটারি জেনারেল মুহাম্মদ কামারুজ্জামানের মৃত্য দ্বন্ডাদেশ বহাল রাখার প্রতিবাদে যুক্তরাষ্ট্রের ক্যালিফোর্নিয়া অংগ রাজ্যের লস এঞ্জেলেসে বিক্ষোভ সমাবেশ ও বাংলাদেশ কন্সুলেটে স্মারকলিপি দেয়া হয়। আজ মংগল (April 7/15)বার স্থানীয় সময় দুপুর ৩টায় "বাংলাদেশী আমেরিকান সোসাইটি" ও "হিউম্যান রাইটস & ডেভেলপমেন্ট ফর বাংলাদেশ" নামক দুটি সংগঠনের শতাধিক লোক উইলশায়ার ভুলোবার্ডের উপরে অবস্থিত বাংলাদেশ কন্স্যুলেটের সম্মুখে এই মানব
বন্ধন ও প্রতিবাদ সমাবেশে অংশগ্রহণ  করে। জনাব শামসুল আরেফিন হাসিবের পরিচালনায় অনুষ্ঠিত এই মানব বন্ধন ও প্রতিবাদ সমাবেশে বক্তব্য রাখেন আব্দুল মান্নান, ড: শরীফুল ইসলাম ও মাও: ফারুক আহমেদ প্রমুখ। বক্তারা বলেন, 'বাংলাদেশের বর্তমান ফ্যাসিবাদী সরকার ১৯৭১ সালের মিমাংশিত ইস্যুকে হাতিয়ার করে সম্পুর্ন বে-আইনী
ভাবে একের পর এক বিরোধী নেতাদের হত্যায় মেতে উঠেছে। যুদ্ধাপরাধ বিচারের নামে তারা
"আন্তর্জাতিক যুদ্ধাপরাধ ট্রাইব্যুনাল" গঠন করলেও এই ট্রাইব্যুনালে 'আন্তর্জাতিক' শব্দটি জুরে
দেয়া ছাড়া বিচার প্রক্রিয়ার কিছুই আন্তর্জাতিক নেই।"


তারা বলেন, 'ইতিপূর্বে অনুষ্ঠিত হেগের যুদ্ধাপরাধ বিষয়ক ইন্টারন্যাশনাল ক্রাইমস ট্রাইব্যুনালের কোন বিচারক ও আইনজীবী অদ্যাবধি বাংলাদেশ সরকারের গঠিত এই আদালতকে স্বীকৃতি দেয় নি। আন্তর্জাতিক আদালত হলে আসামি পক্ষের ন্যায্য অধিকার রয়েছে আন্তর্জাতিক আইনজীবীর সহায়তা নেয়ার। কিন্তু সরকার আসামি পক্ষের ন্যয়
বিচার নিশ্চিৎ করতে কোন আন্তর্জাতিক আইনজীবী নিয়োগের অনুমতি দিচ্ছে না। এতেই প্রমানিত হয়
যে, সরকার সম্পুর্ন জঘন্য কায়দায় প্রতিহিংসার বশে রাজনৈতিক ভিন্নমতের দমনেই বিচারের
নামে এই ক্যাংগারু কোর্ট গঠন করে 'জুডিশিয়াল কিলিং-এর আয়োজন চুরান্ত করেছে।' তার আরো
বলেন, '১৯৭১ সালে কামারুজ্জামান মাত্র ১৮ বছরের যুবক ছিলো। এটা অসম্ভ যে একজন ১৮ বছরের
যুবকের দ্বারা কোন গণহত্যা সংঘটিত হতে পারে। তাছাড়া কামারুজ্জামান যুদ্ধকালীন সময়ে তার গ্রামের বাড়িতে অবস্থান করেছেন। যে সকল মামলায় তাকে মৃত্যুদ্বন্ড দেয়া হয়েছে সেসব মামলার স্বাক্ষিদের স্বাক্ষ্যে বৈপরীত্য ছিলো। স্বাক্ষিগণ কোর্টে যা বলেছে, মিডিয়ার সামনে সম্পুর্ন ভিন্ন কথা বলেছে। কোন মামলারই চাক্ষুষ প্রত্যাক্ষদর্শি নেই। তাই এসব মামলায় কাউকে মৃত্যুদ্বন্ড দেয়া যায় না। আমরা এই অন্যায় বিচার ঘৃনাভরে প্রত্যাক্ষাণ করছি।' সমাবেশ ও মানব বন্ধন শেষে শামসুল আরেফিন হাসিব, আব্দুল মান্নান, ড: শরীফুল ইসলাম, আহসান হাবিব আরিফ, মাও: বেলাল হোসাইন,আবু জাফর
সিদ্দিকী, হারুন অর রশীদ, আব্দুল ওয়াদুদ প্রমুখের নেতৃত্বে একটি প্রতিনিধি দল বাংলাদেশ কন্স্যুলেটের মাধ্যমে বাংলাদেশ সরকারের নিকটে স্মারকলিপি প্রদান করেন। কন্সাল জেনারেল সুলতানা লায়লা হুসেন ও কমার্শিয়াল কনসাল আব্দুল
মালেকের উপস্তিতিতে ভাই কন্সাল সিদ্দিকুর রহমান স্মারকলিপিতে স্বাক্ষর করেন।