সর্বকালের সেরা বাংলাদেশ প্যারেড দেখলো লস এঞ্জেলেসবাসী । যে কোন বছরের থেকে এবারের
অনুষ্ঠান ছিল বিশাল জাঁকজমক পূর্ণ যা পূর্বে কেউ দেখেনি । সকল মহলে সেটা প্রশংসিত হয়েছে ।
দিনটি ছিল খুব উৎসব মুখর। চারদিকে ছিল শুধু বাংলাদেশ আর বাংলাদেশ ।লস এঞ্জেলেসের
নাগরিক মহল এ প্যারেডের ভূয়সী প্রশংসা করেছেন । আমার এক বিদেশী বন্ধু আমাকে প্যারেডের
দিন প্রশ্ন করলো, তোমরা কি করছো । আমি তখন তাকে বললাম, আমরা বাংলাদেশ ডে প্যারেড
করছি । তাকে জানালাম এ প্যারেডের উপলক্ষ কি ? তাকে বললাম , ১৯৭১ সালে পাকিস্তানের
সাথে ৯ মাস রক্তক্ষয়ী মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে আমাদের বাংলাদেশ নামক স্বাধীন রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠিত হয়। সে
শুনে অভিভুত হল । আমার হাতের পতাকা দেখে বলল এতা কি ? আমি তাকে বললাম , এটা
আমাদের স্বাধীন বাংলাদেশের জাতীয় পতাকা। তারপর সে আমার কাছে ঐ পতাকাটি চাইল আর
বলল, সে তার পরিবার ও বন্ধুবান্ধবদের বাংলাদেশ সম্পর্কে এই পতাকা দেখিয়ে গল্প বলবে। এভাবে
বিশ্বের বুকে ছড়িয়ে পড়ছে বীর বাঙ্গালির বীরত্বগাথা। এটাই তো বাফলার প্যারেডের আসল সাফল্য।
তাই এ আয়োজনটি নিয়ে সবাই খুশি ও গর্বিত । এতো ভাল কিছুর সাথে সাথে অনেক ত্রুটি বিচ্ছুতিও রয়েছে। যেমন , বাফলার সাংস্কৃতিক
আয়োজনে বিভিন্ন নামিদামী বাংলাদেশী শিল্পী আসার কথা ছিল । অনিবার্য কারনবশত তারা আস্তে
পারেননি । যে কোন মানুষেরই সমস্যা হতে পারে। শিল্পীরাও মানুষ। তাদেরও বাক্তিগত জীবন আছে।
যেমন বিমানে ওঠার ৪ ঘন্টা পূর্বে একজন শিল্পীর মা মারা যাওয়াতে তিনি আসতে পারেননি । কিন্তু
সেটা তো কমিউনিটিতে জানাতে হবে। না জানিয়ে কোন কিছু করা হলে তা কমিউনিতিতে বিপরিত
প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি করে । এমনকি অনুষ্ঠানে ভিতর কোন দুঃখ প্রকাশ করাও হয়নি। অনুষ্ঠানের কথা
আর কি বলব , সময় সূচির কোন ঠিক ঠিকানা ছিলনা। বাফলা’র জেনারেল সেক্রেটারি আবুল
হাসনাত রাইহান এর স্ত্রী বিয়োগের কারনে তিনি বেশি মনোযোগ দিতে পারেননি। তাই এবারের
আয়োজনে প্রেসিডেন্টের উপর বেশি চাপ পড়ে গিয়েছে। অপর দিকে অনুষ্ঠানের কালচারাল সেক্রেটারি
এক এক সময় একএক ভূমিকায় দেখাগেছে। কখনো সাংবাদিকের ভূমিকায় ,কখনও ফটোগ্রাফার , কখনও নাচের ভুমিকায়,
কখনও উপস্থাপক। রাত ১০টা বেজে গেলেও স্টেজে কোন ভাল শিল্পী উঠাতে না পারায় অনেকে
চলে যায়। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক মহিলা জানান, তিনি সদ্য বাংলাদেশ থেকে এসেছেন । তিনি
টিভিতে তার প্রিয় শিল্পীর নামের বিজ্ঞাপন দেখে অনুষ্ঠানে আসেন । কিন্তু প্রিয় তারকাকে না পেয়ে
তিনি অসন্তোষ প্রকাশ করেন । অন্যদিকে একজন সাধারণ শ্রমিক জানান , অনেক কষ্টে একদিন
ছুটি নিয়ে প্রিয় শিল্পীর গান শুনতে এসেছেন । কিন্তু কৈ ? তার প্রিয় শিল্পীর কোন নামগন্ধও নেই।
আরও এক মহিলা ভ্রমণ ভিসা নিয়ে আমেরিকাতে বেড়াতে এসেছেন । তিনিও নাম করা শিল্পীদের
কথা শুনে এসেছেন । এভাবে সবাই রাগ করে অনুষ্ঠান দেখেছেন নাহয় চলে গেছেন। এ ব্যাপারে
অভিযোগ বিস্তর । খোদ বাফলার অনেক সাবেক কর্মকর্তা এ নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেন। বাফলা দেশে বিদেশে বিভিন্ন রকম সেবামূলক কাজ করে দিন দিন সুনাম অর্জন করছে। মানুষের
আস্থা অর্জন করেছে। এটি প্রবাসীদের প্রানের সংগঠন । সবাই বাফলার সে রকম রুপই আশা
করেন। বাফলার মত এমন সুনামের অধিকারী একটি ভাল প্রতিষ্ঠান যদি ছোট ছোট ভুলের মাধ্যমে
নিজে মান খুন্ন করে , তবে বাফলা জনগনের আস্থা ও ভালবাসা হারাবে। দায়িত্বশীলদের সে ব্যাপারে
যত্নশীল থাকতে হবে। আমরা সবাই বাফলার উত্তোরত্তর উন্নতি কামনা করছি । আসুন আমরা সবাই
বাফলার সাথে থাকি ।
অনুষ্ঠান ছিল বিশাল জাঁকজমক পূর্ণ যা পূর্বে কেউ দেখেনি । সকল মহলে সেটা প্রশংসিত হয়েছে ।
দিনটি ছিল খুব উৎসব মুখর। চারদিকে ছিল শুধু বাংলাদেশ আর বাংলাদেশ ।লস এঞ্জেলেসের
নাগরিক মহল এ প্যারেডের ভূয়সী প্রশংসা করেছেন । আমার এক বিদেশী বন্ধু আমাকে প্যারেডের
দিন প্রশ্ন করলো, তোমরা কি করছো । আমি তখন তাকে বললাম, আমরা বাংলাদেশ ডে প্যারেড
করছি । তাকে জানালাম এ প্যারেডের উপলক্ষ কি ? তাকে বললাম , ১৯৭১ সালে পাকিস্তানের
সাথে ৯ মাস রক্তক্ষয়ী মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে আমাদের বাংলাদেশ নামক স্বাধীন রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠিত হয়। সে
শুনে অভিভুত হল । আমার হাতের পতাকা দেখে বলল এতা কি ? আমি তাকে বললাম , এটা
আমাদের স্বাধীন বাংলাদেশের জাতীয় পতাকা। তারপর সে আমার কাছে ঐ পতাকাটি চাইল আর
বলল, সে তার পরিবার ও বন্ধুবান্ধবদের বাংলাদেশ সম্পর্কে এই পতাকা দেখিয়ে গল্প বলবে। এভাবে
বিশ্বের বুকে ছড়িয়ে পড়ছে বীর বাঙ্গালির বীরত্বগাথা। এটাই তো বাফলার প্যারেডের আসল সাফল্য।
তাই এ আয়োজনটি নিয়ে সবাই খুশি ও গর্বিত । এতো ভাল কিছুর সাথে সাথে অনেক ত্রুটি বিচ্ছুতিও রয়েছে। যেমন , বাফলার সাংস্কৃতিক
আয়োজনে বিভিন্ন নামিদামী বাংলাদেশী শিল্পী আসার কথা ছিল । অনিবার্য কারনবশত তারা আস্তে
পারেননি । যে কোন মানুষেরই সমস্যা হতে পারে। শিল্পীরাও মানুষ। তাদেরও বাক্তিগত জীবন আছে।
যেমন বিমানে ওঠার ৪ ঘন্টা পূর্বে একজন শিল্পীর মা মারা যাওয়াতে তিনি আসতে পারেননি । কিন্তু
সেটা তো কমিউনিটিতে জানাতে হবে। না জানিয়ে কোন কিছু করা হলে তা কমিউনিতিতে বিপরিত
প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি করে । এমনকি অনুষ্ঠানে ভিতর কোন দুঃখ প্রকাশ করাও হয়নি। অনুষ্ঠানের কথা
আর কি বলব , সময় সূচির কোন ঠিক ঠিকানা ছিলনা। বাফলা’র জেনারেল সেক্রেটারি আবুল
হাসনাত রাইহান এর স্ত্রী বিয়োগের কারনে তিনি বেশি মনোযোগ দিতে পারেননি। তাই এবারের
আয়োজনে প্রেসিডেন্টের উপর বেশি চাপ পড়ে গিয়েছে। অপর দিকে অনুষ্ঠানের কালচারাল সেক্রেটারি
এক এক সময় একএক ভূমিকায় দেখাগেছে। কখনো সাংবাদিকের ভূমিকায় ,কখনও ফটোগ্রাফার , কখনও নাচের ভুমিকায়,
কখনও উপস্থাপক। রাত ১০টা বেজে গেলেও স্টেজে কোন ভাল শিল্পী উঠাতে না পারায় অনেকে
চলে যায়। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক মহিলা জানান, তিনি সদ্য বাংলাদেশ থেকে এসেছেন । তিনি
টিভিতে তার প্রিয় শিল্পীর নামের বিজ্ঞাপন দেখে অনুষ্ঠানে আসেন । কিন্তু প্রিয় তারকাকে না পেয়ে
তিনি অসন্তোষ প্রকাশ করেন । অন্যদিকে একজন সাধারণ শ্রমিক জানান , অনেক কষ্টে একদিন
ছুটি নিয়ে প্রিয় শিল্পীর গান শুনতে এসেছেন । কিন্তু কৈ ? তার প্রিয় শিল্পীর কোন নামগন্ধও নেই।
আরও এক মহিলা ভ্রমণ ভিসা নিয়ে আমেরিকাতে বেড়াতে এসেছেন । তিনিও নাম করা শিল্পীদের
কথা শুনে এসেছেন । এভাবে সবাই রাগ করে অনুষ্ঠান দেখেছেন নাহয় চলে গেছেন। এ ব্যাপারে
অভিযোগ বিস্তর । খোদ বাফলার অনেক সাবেক কর্মকর্তা এ নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেন। বাফলা দেশে বিদেশে বিভিন্ন রকম সেবামূলক কাজ করে দিন দিন সুনাম অর্জন করছে। মানুষের
আস্থা অর্জন করেছে। এটি প্রবাসীদের প্রানের সংগঠন । সবাই বাফলার সে রকম রুপই আশা
করেন। বাফলার মত এমন সুনামের অধিকারী একটি ভাল প্রতিষ্ঠান যদি ছোট ছোট ভুলের মাধ্যমে
নিজে মান খুন্ন করে , তবে বাফলা জনগনের আস্থা ও ভালবাসা হারাবে। দায়িত্বশীলদের সে ব্যাপারে
যত্নশীল থাকতে হবে। আমরা সবাই বাফলার উত্তোরত্তর উন্নতি কামনা করছি । আসুন আমরা সবাই
বাফলার সাথে থাকি ।