রোজা নিয়ে বড়দের তুলনায় ছোটদের আগ্রহ ও উৎসাহ বেশি থাকে। তবে এই তীব্র গরমে অনেক সময় ধরে না খেয়ে থাকার ফলে শিশুদের স্বাস্থ্যের কোনো অবনতি হবে কিনা এ নিয়ে অভিভাবকদের মধ্যে দুশ্চিন্তা দেখা যায়।
কিন্তু কিছু বিষয় খেয়াল করে শিশুদের রোজা রাখতে সাহায্য করতে পারেন। শিশুকে সাত- আট বছর বয়স থেকে রোজা পালন করতে অভ্যস্ত করুন।
শিশু রোজা রাখবে বলে অনেকে সেহরিতে বেশি খাইয়ে দেন। এতে করে বদহজম হয়ে উল্টো সব বের হয়ে যেতে পারে। বড়দের মতো ছোটদের সেহেরির মেন্যুতেও তিন ভাগ পানি ও পানীয় এবং এক ভাগ সলিড খাবার থাকা উচিত। অল্প খাবারে পরিপূর্ণ পুষ্টি পাওয়া যাবে এমন খাবার নির্বাচন করতে হবে সেহরিতে। শিশুকে বেশি করে প্রোটিনসমৃদ্ধ খাবার দেওয়া যেতে পারে। শিশুকে ভাত, ডাল , সবজি , মাছ বা মাংস দিন। সবজি বা অন্য আঁশজাতীয় খাবার বেশি খেতে দিন। যেহেতু বেশিরভাগ শিশু সবজি পছন্দ করে না তাই সবজি দিয়ে তাদের সুস্বাদু পাকড়া করে দিতে পারেন। খাওয়ার পর ফল ও দই অবশ্যই দেবেন। হাতের কাছে দই না থাকলে এ ক্ষেত্রে দুধ খাওয়াতে পারেন। ক্যালসিয়ামের জোগান দেওয়া ছাড়াও দুধের আরেকটি উপকারিতা হলো এটি অনেকক্ষণ পাকস্থলীতে থাকে। চর্বিজাতীয় খাবার যেমন গরু অথবা খাসির মাংস, ঘি-বাটারসহ প্রাণীজ যেকোনো চর্বি না রাখা ভালো। তেলে ভাজা কিংবা বেশি মসলা দিয়ে কষানো রান্নার বদলে অল্প তেল-মসলায় রান্না সবজি, মাছ, মাংস, ডিম ও ডাল রাখুন শিশুর সেহরিতে।
রোজার শেষে ইফতারিতে পানীয়ের তালিকায় রাখতে পারেন লেবুর শরবত, ঘড়ে তৈরি ফলের রস বা লাচ্ছি। চিনি মেশানো শরবত শরীরে দ্রুত শক্তি যোগায় পানির ঘাটতি পূরণ করে পাকস্থলীতে ভারী খাবার হজম করার জন্য প্রস্তুত করে। এর পাশাপাশি খেজুর, আপেল, কমলালেবু সহ বিভিন্ন ধরনের ফল খাওয়াতে পারেন। ঝাল, ভাজা-পোড়া না দিয়ে দই-চিরা, অল্প মিষ্টির পায়েস খাওয়াতে পারেন এবং অল্প তেলে তৈরি করা বেগুনি, আলুর চপ, ছোলা-মুড়ি এবং পুডিং, কাস্টার্ড, ডাল, চাল ও মাংসের হালিম বা খিচুড়ি, হালুয়াসহ বিভিন্ন পুষ্টিকর ও মুখরোচক খাবার রাখতে পারেন। একবারে অনেকটা খাবার না খায়িয়ে দুই ধাপে খাবার দিতে পারেন। বেশি করে মাংস দিয়ে ঘড়ে তৈরি করতে পারেন বার্গার। এটি স্বাদের পাশাপাশি প্রোটিনের চাহিদা পূরণ করবে। দিতে পারেন ডিম অথবা মাংসের চপ। মোটকথা ইফতারের প্রথম এক ঘণ্টা পানিজাতীয় খাবার বেশি পরিমাণে খেয়ে, এরপর শিশু পছন্দমতো যেকোনো খাবারই খেতে পারে। রোজায় সাধারণত ইফতারের পরিমাণ একটু বেশি খাওয়া হয় তাই রাতের খাবার সহজপাচ্যই হওয়া ভালো। ভাত, সবজি, মাছ, মাংস অথবা ডিম যেকোনো একটির সঙ্গে ডাল রাখুন। এবং শোবার আগে এক গ্লাস দুধ অবশ্যই খেতে হবে।
শিশুরা সহজেই পানিশূন্য হয়ে যায়। তাই চা, কফি এড়িয়ে চলবেন এবং ইফতার ও সেহেরির মাঝে সাত থেকে দশ গ্লাস পানি দিন। শিশুর মধ্যে পানিশূন্যতার লক্ষণ যেমন চোখ ভিতরের দিকে ঢুকে যাওয়া, জিহ্বা শুকিয়ে যাওয়ার লক্ষণ দেখা দিলে দ্রুত চিকিৎসকের কাছে যান। শিশু রোজা না রাখলেও এই মাসে শিশুর খাবারে মনোযোগ দিতে হবে। রোজার দিনগুলোতে বড়দের জন্য রান্না হয় না এবং অনেকে শিশুকে আগের দিন বাসি খাবার খাওয়ান। এতে শিশু নানা রকম অসুখে ভুগতে পারে। দিনের বেলা রান্না করতে না চাইলে আগের দিনের খাবার ঠাণ্ডা করে এয়ারটাইট বক্সে ফ্রিজে রাখুন। এবং পরের দিন খাবার এক ঘণ্টা আগে ফ্রিজ থেকে বের একটু গরম করে খেতে দিতে পারেন। তবে এ ক্ষেত্রে মনে রাখতে হবে দুই দিনের বেশি রাখা ফ্রিজের খাবার শিশুদের দেওয়া ঠিক নয়। বিভিন্ন অসুস্থতার মধ্যে আপনার শিশুর রোজা রাখার সক্ষমতা আছে কি না চিকিৎসকের পরামর্শে তা জেনে নিন। আর রোজা রাখতে গিয়ে যদি শিশুর কোনো অসুবিধা হয় সে ক্ষেত্রেও চিকিৎসকের পরামর্শ নিন। এলএবাংলাটাইমস/আইটিএলএস
শিশু রোজা রাখবে বলে অনেকে সেহরিতে বেশি খাইয়ে দেন। এতে করে বদহজম হয়ে উল্টো সব বের হয়ে যেতে পারে। বড়দের মতো ছোটদের সেহেরির মেন্যুতেও তিন ভাগ পানি ও পানীয় এবং এক ভাগ সলিড খাবার থাকা উচিত। অল্প খাবারে পরিপূর্ণ পুষ্টি পাওয়া যাবে এমন খাবার নির্বাচন করতে হবে সেহরিতে। শিশুকে বেশি করে প্রোটিনসমৃদ্ধ খাবার দেওয়া যেতে পারে। শিশুকে ভাত, ডাল , সবজি , মাছ বা মাংস দিন। সবজি বা অন্য আঁশজাতীয় খাবার বেশি খেতে দিন। যেহেতু বেশিরভাগ শিশু সবজি পছন্দ করে না তাই সবজি দিয়ে তাদের সুস্বাদু পাকড়া করে দিতে পারেন। খাওয়ার পর ফল ও দই অবশ্যই দেবেন। হাতের কাছে দই না থাকলে এ ক্ষেত্রে দুধ খাওয়াতে পারেন। ক্যালসিয়ামের জোগান দেওয়া ছাড়াও দুধের আরেকটি উপকারিতা হলো এটি অনেকক্ষণ পাকস্থলীতে থাকে। চর্বিজাতীয় খাবার যেমন গরু অথবা খাসির মাংস, ঘি-বাটারসহ প্রাণীজ যেকোনো চর্বি না রাখা ভালো। তেলে ভাজা কিংবা বেশি মসলা দিয়ে কষানো রান্নার বদলে অল্প তেল-মসলায় রান্না সবজি, মাছ, মাংস, ডিম ও ডাল রাখুন শিশুর সেহরিতে।
রোজার শেষে ইফতারিতে পানীয়ের তালিকায় রাখতে পারেন লেবুর শরবত, ঘড়ে তৈরি ফলের রস বা লাচ্ছি। চিনি মেশানো শরবত শরীরে দ্রুত শক্তি যোগায় পানির ঘাটতি পূরণ করে পাকস্থলীতে ভারী খাবার হজম করার জন্য প্রস্তুত করে। এর পাশাপাশি খেজুর, আপেল, কমলালেবু সহ বিভিন্ন ধরনের ফল খাওয়াতে পারেন। ঝাল, ভাজা-পোড়া না দিয়ে দই-চিরা, অল্প মিষ্টির পায়েস খাওয়াতে পারেন এবং অল্প তেলে তৈরি করা বেগুনি, আলুর চপ, ছোলা-মুড়ি এবং পুডিং, কাস্টার্ড, ডাল, চাল ও মাংসের হালিম বা খিচুড়ি, হালুয়াসহ বিভিন্ন পুষ্টিকর ও মুখরোচক খাবার রাখতে পারেন। একবারে অনেকটা খাবার না খায়িয়ে দুই ধাপে খাবার দিতে পারেন। বেশি করে মাংস দিয়ে ঘড়ে তৈরি করতে পারেন বার্গার। এটি স্বাদের পাশাপাশি প্রোটিনের চাহিদা পূরণ করবে। দিতে পারেন ডিম অথবা মাংসের চপ। মোটকথা ইফতারের প্রথম এক ঘণ্টা পানিজাতীয় খাবার বেশি পরিমাণে খেয়ে, এরপর শিশু পছন্দমতো যেকোনো খাবারই খেতে পারে। রোজায় সাধারণত ইফতারের পরিমাণ একটু বেশি খাওয়া হয় তাই রাতের খাবার সহজপাচ্যই হওয়া ভালো। ভাত, সবজি, মাছ, মাংস অথবা ডিম যেকোনো একটির সঙ্গে ডাল রাখুন। এবং শোবার আগে এক গ্লাস দুধ অবশ্যই খেতে হবে।
শিশুরা সহজেই পানিশূন্য হয়ে যায়। তাই চা, কফি এড়িয়ে চলবেন এবং ইফতার ও সেহেরির মাঝে সাত থেকে দশ গ্লাস পানি দিন। শিশুর মধ্যে পানিশূন্যতার লক্ষণ যেমন চোখ ভিতরের দিকে ঢুকে যাওয়া, জিহ্বা শুকিয়ে যাওয়ার লক্ষণ দেখা দিলে দ্রুত চিকিৎসকের কাছে যান। শিশু রোজা না রাখলেও এই মাসে শিশুর খাবারে মনোযোগ দিতে হবে। রোজার দিনগুলোতে বড়দের জন্য রান্না হয় না এবং অনেকে শিশুকে আগের দিন বাসি খাবার খাওয়ান। এতে শিশু নানা রকম অসুখে ভুগতে পারে। দিনের বেলা রান্না করতে না চাইলে আগের দিনের খাবার ঠাণ্ডা করে এয়ারটাইট বক্সে ফ্রিজে রাখুন। এবং পরের দিন খাবার এক ঘণ্টা আগে ফ্রিজ থেকে বের একটু গরম করে খেতে দিতে পারেন। তবে এ ক্ষেত্রে মনে রাখতে হবে দুই দিনের বেশি রাখা ফ্রিজের খাবার শিশুদের দেওয়া ঠিক নয়। বিভিন্ন অসুস্থতার মধ্যে আপনার শিশুর রোজা রাখার সক্ষমতা আছে কি না চিকিৎসকের পরামর্শে তা জেনে নিন। আর রোজা রাখতে গিয়ে যদি শিশুর কোনো অসুবিধা হয় সে ক্ষেত্রেও চিকিৎসকের পরামর্শ নিন। এলএবাংলাটাইমস/আইটিএলএস