আন্তর্জাতিক

যুক্তরাষ্ট্রের ভিসা দিতে আবেদনকারীর ফেসবুকের কর্মকাণ্ড খতিয়ে দেখা হবে

যুক্তরাষ্ট্রের ভিসা দিতে এখন থেকে আবেদনকারীদের ফেসবুকসহ সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের গত পাঁচ বছরের কর্মকাণ্ড খতিয়ে দেখা হবে।

যুক্তরাষ্ট্রে প্রবেশের ভিসা দেওয়ার ক্ষেত্রে বিশ্বের সব দেশের আবেদনকারীর ক্ষেত্রে ব্যক্তিগত তথ্য যাচাই-বাছাইয়ের জন্য নতুন করে একগুচ্ছ প্রশ্ন যুক্ত করা হয়েছে।

সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের কর্মকাণ্ড খতিয়ে দেখার পাশাপাশি আর যে গুরুত্বপূর্ণ অংশ যুক্ত হয়েছে, তা হলো- গত ১৫ বছরে আবেদনকারীর যাবতীয় কৃতকর্মের বিবরণ দিতে হবে। এই ১৫ বছরে তিনি কোথায় চাকরি করেছেন, কোথায় থেকেছেন, আবাসিক ঠিকানা পরিবর্তন করা হয়েছে কি না- এমন খুনিনাটি বিবরণ দেওয়া লাগবে।

ভিসা পাওয়ার আবেদনকারীর তথ্য যাচাই-বাছাইয়ের ক্ষেত্রে নতুন এসব প্রশ্ন যুক্ত করে গত ২৩ মে তা অনুমোদন করেছে যুক্তরাষ্ট্রের ব্যবস্থাপনা ও বাজেট কার্যালয়। তবে এর বিরুদ্ধে কঠোর সমালোচনা রয়েছে যুক্তরাষ্ট্রের শিক্ষাবিষয়ক কর্মকর্তা ও শিক্ষকদের। তাদের আশঙ্কা, কঠোর এ বিধিবিধানের বোঝা ভিসা প্রক্রিয়া দীর্ঘায়িত করবে এবং যুক্তরাষ্ট্রে আসতে চাওয়া আন্তর্জাতিক শিক্ষার্থী ও বিজ্ঞানীরা আগ্রহ হারাবে।

নতুন প্রক্রিয়ায় কনস্যুলার অফিস আবেদনকারীর পূর্বের পাসপোর্ট নম্বর, গত বছর সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম পরিচালনার তথ্য, ই-মেইল ও ফোন নম্বর এবং চাকরি ও ভ্রমণবৃত্তান্তসহ গত ১৫ বছরের জীবনবৃত্তান্ত জানতেই চাইবে।

স্থানীয় সময় বুধবার এ বিষয়ে যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এক ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা বলেন, পরিচয় নিশ্চিত হওয়া ও জাতীয় নিরাপত্তার স্বার্থে কর্মকর্তারা অতিরিক্ত এসব তথ্য চাইতে পারবে।

নির্বাচনী প্রচারের সময় ভিসা ব্যবস্থা কড়াকড়ি করার যে প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন ট্রাম্প, সেই মতো এবার করে দেখাচ্ছেন তিনি।


এলএবাংলাটাইমস/আই/এলআরটি