রাশিয়ার কর্মকর্তাদের সঙ্গে গোপন বৈঠকের অভিযোগে ডোমোক্র্যাটদের তোপের মুখে থাকা মার্কিন অ্যাটর্নি জেনারেলের পক্ষে সাফাই গাইছেন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প।
জেফ সেশনসকে পদত্যাগের যে চাপ দেওয়া হচ্ছে, তা থেকে ঠেকাতে তার পাশে দাঁড়িয়ে উল্টো ডেমোক্র্যাটদের বিরুদ্ধে আক্রমণের কৌশল বেছে নিয়েছেন ট্রাম্প।
পদত্যাগ করতে জেফ সেশনের প্রতি ডেমোক্রেটিক আইনপ্রণেতারা যে আহ্বান জানিয়েছেন, তার প্রতিক্রিয়ায় ট্রাম্প বলেছেন, তিনি নির্দোষ।
রাশিয়ান কর্মকর্তাদের সঙ্গে যোগাযোগের বিষয়ে সিনেটে তার নিয়োগ চূড়ান্তের শুনানিতে যে মন্তব্য করেছেন জেফ সেশনস, তা নিয়ে তুমুল সমালোচনার মুখে পড়েছেন তিনি। ডেমোক্রেটিক পার্টির নেতারা তার বিরুদ্ধে মিথ্যাচার করার অভিযোগ এনেছেন।
জেফ সেশনসের পক্ষাবলম্বন করতে গিয়ে ট্রাম্প বলেন, সেশনস আরো সঠিকভাবে উত্তর দিতে পারতেন। কিন্তু এটি পরিষ্কার, তার বক্তব্য ইচ্ছাকৃত ছিল না। বিষয়টি ডেমোক্র্যাটদের ‘ভুয়া দোষারোপ’।
এসব বিতর্ক ও সমালোচনার মধ্যেই প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে রাশিয়ার হস্তক্ষেপের যে তদন্ত করছে এফবিআই, তা থেকে নিজেকে সরিয়ে নিয়েছেন জেফ সেশনস। কিন্তু ডেমোক্র্যাটরা তার বিরুদ্ধে আক্রমণ চালিয়ে যাচ্ছেন। ২০১৬ সালে রাশিয়ার রাষ্ট্রদূতের সঙ্গে আলোচনাকে স্বাভাবিক ঘটনা বলে দাবি করছেন সেশনস।
কংগ্রেসে ডেমোক্রেটিক নেতা ন্যান্সি পেলোসি দাবি করেছেন, জেফ সেশনস শপথ নেওয়ার সময় মিথ্যাচার করেছেন, তার পদত্যাগ করা উচিত।
প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প সেশনসের পক্ষ নিয়ে বলেছেন, ডেমোক্র্যাটরা নির্বাচনে হেরেছে এবং এবার তারা বাস্তবতার ভিত্তিও হারিয়েছে।
ট্রাম্পের নির্বাচনী ক্যাম্পেইনের বিরুদ্ধে অভিযোগ ওঠে, তার টিমের কিছু সদস্য রাশিয়ার কর্মকর্তা ও দূতাবাসের সঙ্গে যোগাযোগ করেছে এবং ট্রাম্পের হয়ে নির্বাচনে হস্তক্ষেপ করেছে রাশিয়া। কিন্তু ট্রাম্প এই অভিযোগকে ‘ভুয়া খবর’ হিসেবে দাঁড় করাতে চেষ্টা করছেন।
সেশনস যেভাবে সমালোচনার মুখে পড়লেন?
জানুয়ারি মাসে অ্যাটর্নি জেনারেল হিসেবে নিয়োগ চূড়ান্তের শুনানিতে সেশনস যেসব মন্তব্য করেন, তা থেকেই সমালোচনার সৃষ্টি হয়।
তাকে জিজ্ঞাসা করা হয়, ‘যদি এমন কোনো প্রমাণ মেলে ট্রাম্পের ক্যাম্পেইনের কেউ রাশিয়ানদের সঙ্গে যোগাযোগ করেছেন, তাহলে তখন আপনি কী করবেন?’
উত্তরে সেশনস বলেন, ‘এ ধরনের কোনো কাজ সম্পর্কে আমি অবহিত নই। এক বা দুইবার আমাকে প্রতিনিধিত্ব করতে ক্যাম্পেইনে ডাকা হয়েছিল। কিন্তু রাশিয়ানদের সঙ্গে আমার কোনো যোগাযোগ হয়নি। ফলে এ বিষয়ে মন্তব্য করতে অপরাগ আমি।’
এদিকে, তখন খবর ছড়িয়ে পড়ে সেপ্টেম্বর মাসে নিজ কার্যালয়ে রাশিয়ার রাষ্ট্রদূত সের্গেই কিসলিয়াকের সঙ্গে বৈঠক করেন সেশনস। এর আগে জুলাই মাসে রিপাবলিকান ন্যাশনাল কনভেনশনে রাশিয়ার কয়েকজন কর্মকর্তার সঙ্গে পার্শ্ববৈঠক করেন তিনি।
ওই সময়ে সিনেট আর্মড সার্ভিসেস কমিটির সদস্য ছিলেন সেশনস। কিন্তু ওই সময়ে নির্বাচনী প্রচারে ট্রাম্পের টিমের সদস্য হিসেবেও কাজ করছিলেন তিনি। এ ছাড়া ওই বছর (২০১৬) ২৫ জন বিদেশি রাষ্ট্রদূতের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন সেশনস।
সেশনস এখন দাবি করছেন, একজন সিনেটর হিসেবে রাশিয়ার কর্মকর্তাদের সঙ্গে কথা বলেছি আমি।
এলএবাংলাটাইমস/আই/এলআরটি
জেফ সেশনসকে পদত্যাগের যে চাপ দেওয়া হচ্ছে, তা থেকে ঠেকাতে তার পাশে দাঁড়িয়ে উল্টো ডেমোক্র্যাটদের বিরুদ্ধে আক্রমণের কৌশল বেছে নিয়েছেন ট্রাম্প।
পদত্যাগ করতে জেফ সেশনের প্রতি ডেমোক্রেটিক আইনপ্রণেতারা যে আহ্বান জানিয়েছেন, তার প্রতিক্রিয়ায় ট্রাম্প বলেছেন, তিনি নির্দোষ।
রাশিয়ান কর্মকর্তাদের সঙ্গে যোগাযোগের বিষয়ে সিনেটে তার নিয়োগ চূড়ান্তের শুনানিতে যে মন্তব্য করেছেন জেফ সেশনস, তা নিয়ে তুমুল সমালোচনার মুখে পড়েছেন তিনি। ডেমোক্রেটিক পার্টির নেতারা তার বিরুদ্ধে মিথ্যাচার করার অভিযোগ এনেছেন।
জেফ সেশনসের পক্ষাবলম্বন করতে গিয়ে ট্রাম্প বলেন, সেশনস আরো সঠিকভাবে উত্তর দিতে পারতেন। কিন্তু এটি পরিষ্কার, তার বক্তব্য ইচ্ছাকৃত ছিল না। বিষয়টি ডেমোক্র্যাটদের ‘ভুয়া দোষারোপ’।
এসব বিতর্ক ও সমালোচনার মধ্যেই প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে রাশিয়ার হস্তক্ষেপের যে তদন্ত করছে এফবিআই, তা থেকে নিজেকে সরিয়ে নিয়েছেন জেফ সেশনস। কিন্তু ডেমোক্র্যাটরা তার বিরুদ্ধে আক্রমণ চালিয়ে যাচ্ছেন। ২০১৬ সালে রাশিয়ার রাষ্ট্রদূতের সঙ্গে আলোচনাকে স্বাভাবিক ঘটনা বলে দাবি করছেন সেশনস।
কংগ্রেসে ডেমোক্রেটিক নেতা ন্যান্সি পেলোসি দাবি করেছেন, জেফ সেশনস শপথ নেওয়ার সময় মিথ্যাচার করেছেন, তার পদত্যাগ করা উচিত।
প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প সেশনসের পক্ষ নিয়ে বলেছেন, ডেমোক্র্যাটরা নির্বাচনে হেরেছে এবং এবার তারা বাস্তবতার ভিত্তিও হারিয়েছে।
ট্রাম্পের নির্বাচনী ক্যাম্পেইনের বিরুদ্ধে অভিযোগ ওঠে, তার টিমের কিছু সদস্য রাশিয়ার কর্মকর্তা ও দূতাবাসের সঙ্গে যোগাযোগ করেছে এবং ট্রাম্পের হয়ে নির্বাচনে হস্তক্ষেপ করেছে রাশিয়া। কিন্তু ট্রাম্প এই অভিযোগকে ‘ভুয়া খবর’ হিসেবে দাঁড় করাতে চেষ্টা করছেন।
সেশনস যেভাবে সমালোচনার মুখে পড়লেন?
জানুয়ারি মাসে অ্যাটর্নি জেনারেল হিসেবে নিয়োগ চূড়ান্তের শুনানিতে সেশনস যেসব মন্তব্য করেন, তা থেকেই সমালোচনার সৃষ্টি হয়।
তাকে জিজ্ঞাসা করা হয়, ‘যদি এমন কোনো প্রমাণ মেলে ট্রাম্পের ক্যাম্পেইনের কেউ রাশিয়ানদের সঙ্গে যোগাযোগ করেছেন, তাহলে তখন আপনি কী করবেন?’
উত্তরে সেশনস বলেন, ‘এ ধরনের কোনো কাজ সম্পর্কে আমি অবহিত নই। এক বা দুইবার আমাকে প্রতিনিধিত্ব করতে ক্যাম্পেইনে ডাকা হয়েছিল। কিন্তু রাশিয়ানদের সঙ্গে আমার কোনো যোগাযোগ হয়নি। ফলে এ বিষয়ে মন্তব্য করতে অপরাগ আমি।’
এদিকে, তখন খবর ছড়িয়ে পড়ে সেপ্টেম্বর মাসে নিজ কার্যালয়ে রাশিয়ার রাষ্ট্রদূত সের্গেই কিসলিয়াকের সঙ্গে বৈঠক করেন সেশনস। এর আগে জুলাই মাসে রিপাবলিকান ন্যাশনাল কনভেনশনে রাশিয়ার কয়েকজন কর্মকর্তার সঙ্গে পার্শ্ববৈঠক করেন তিনি।
ওই সময়ে সিনেট আর্মড সার্ভিসেস কমিটির সদস্য ছিলেন সেশনস। কিন্তু ওই সময়ে নির্বাচনী প্রচারে ট্রাম্পের টিমের সদস্য হিসেবেও কাজ করছিলেন তিনি। এ ছাড়া ওই বছর (২০১৬) ২৫ জন বিদেশি রাষ্ট্রদূতের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন সেশনস।
সেশনস এখন দাবি করছেন, একজন সিনেটর হিসেবে রাশিয়ার কর্মকর্তাদের সঙ্গে কথা বলেছি আমি।
এলএবাংলাটাইমস/আই/এলআরটি