আন্তর্জাতিক

নিষেধাজ্ঞা কি মুসলমানদের বিরুদ্ধে? : জানতে চেয়েছে মার্কিন আদালত

মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে মুসলমান সাত দেশের ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞায় মুসলমানরা বৈষম‌্যের শিকার হচ্ছে কি না- সেই প্রশ্ন তুলেছে যুক্তরাষ্ট্রের একটি আপিল আদালত। প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প এক নির্বাহী আদেশের মাধ্যমে ওই নিষেধাজ্ঞা জারি করেছিলেন।

বিবিসির খবরে বলা হয়, ট্রাম্পের ওই আদেশে সাত মুসলিমপ্রধান দেশের নাগরিকদের যুক্তরাষ্ট্রে প্রবেশে সাময়িক নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হয়। আদালতের আদেশে গত সপ্তাহে ওই নিষেধাজ্ঞার একটি অংশ স্থগিত হয়ে যায়।

ফেডারেল কোর্টের ওই আদেশ বাতিল চেয়ে যুক্তরাষ্ট্র সরকারের করা একটি আবেদনের প্রাথমিক শুনানি নিয়ে গত শনিবার নাইন্থ সার্কিট আপিল কোর্ট নিষেধাজ্ঞা পুনর্বহালের দাবি নাকচ করে দেয়।

আদেশে বলা হয়, আপিল শুনানি সম্পূর্ণ শেষ না হওয়া পর্যন্ত ট্রাম্পের ওই নিষেধাজ্ঞা স্থগিতই থাকছে। এ সপ্তাহের শেষ দিকে আপিল আদালত শুনানি শেষ করে রায় দিতে পারে বলে এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে বিবিসি।

মঙ্গলবার এ মামলার শুনানিতে স‌্যানফ্রান্সিসকোর আপিল আদালতের তিন বিচারকের একজন রিচার্ড ক্লিফটন প্রশ্ন তোলেন- যেখানে বিশ্বের ১৫ শতাংশ মুসলমানের ওপর ট্রাম্পের ওই নিষেধাজ্ঞার প্রভাব পড়বে, সেখানে ওই নির্বাহী আদেশকে মুসলমানদের ক্ষেত্রে বৈষম‌্যমূলক কেন বলা হবে না।

খবরে বলা হয়, মঙ্গলবার এ বিষয়ে প্রায় এক ঘণ্টা শুনানি করেন আপিল আদালতের তিন বিচারক। তবে এ আদালতে যে রায়ই আসুক, শেষ পর্যন্ত বিষয়টি সুপ্রিম কোর্ট পর্যন্ত গড়াবে বলেই ধারণা করা হচ্ছে।

রাষ্ট্রপক্ষ নিষেধাজ্ঞা পুনর্বহালের পক্ষে যুক্তি দিয়ে শুনানিতে বলে, যুক্তরাষ্ট্রে কে প্রবেশ করতে পারবে আর কে পারবে না- তা নিয়ন্ত্রণের ক্ষমতা কংগ্রেসই প্রেসিডেন্টকে দিয়েছে।

আদালত এক পর্যায়ে জানতে চায়, যে সাত দেশের ক্ষেত্রে নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হয়েছে, অর্থাৎ ইরান, ইরাক, লিবিয়া, সোমালিয়া, সুদান, সিরিয়া ও ইয়েমেনের নাগরিকদের যুক্তরাষ্ট্রে ঢুকতে দেওয়া ঝুঁকিপূর্ণ হবে- এমন ধারণার পক্ষে কোনো প্রমাণ আছে কি না।

আপিল আদালত যে সিদ্ধান্তই জানাক না কেন, ভ্রমণ এ মামলার নিষ্পত্তি সুপ্রিম কোর্টেই হবে।


এলএবাংলাটাইমস/আই/এলআরটি