আন্তর্জাতিক

যুক্তরাষ্ট্রে জন্ম নেওয়া সন্ত্রাসীরাই দেশে বেশি সন্ত্রাসী হামলা চালিয়েছে

নিষিদ্ধঘোষিত সাত দেশ নয় বরং যুক্তরাষ্ট্রে জন্ম নেওয়া সন্ত্রাসীরাই সে দেশে সবচেয়ে বেশি সন্ত্রাসী হামলা চালিয়েছে। দুটি ভিন্ন গবেষণার বরাত দিয়ে ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম ইনডিপেনডেন্ট বুধবার এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে।

সন্ত্রাসীদের হাত থেকে যুক্তরাষ্ট্রকে রক্ষার অজুহাত দেখিয়ে গত শুক্রবার ইরাক, সিরিয়া, সুদান, ইরান, সোমালিয়া, লিবিয়া ও ইয়েমেন থেকে শরণার্থী ও অভিবাসন প্রত্যাশীদের আসা ঠেকাতে নির্বাহী আদেশ জারি করেছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। এসব দেশের মধ্যে সিরিয়ার শরণার্থীদের ওপর অনির্দিষ্টকালের নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে।

টেররিজম ইন আমেরিকা আফটার ৯/১১ নামে একটি সংগঠন জানিয়েছে, যুক্তরাষ্ট্রে জন্ম নেওয়া ১৯০ জন নাগরিক ২০০১ সাল থেকে নিয়ে এ পর্যন্ত দেশের মাটিতে সন্ত্রাসী হামলা চালিয়ে নিহত হয়েছে অথবা তাদের বিরুদ্ধে সন্ত্রাসবাদের অভিযোগ আনা হয়েছে। এর বাইরে শরণার্থী রয়েছে ১২ জন আর অবৈধ অভিবাসী রয়েছে মাত্র আটজন।

ক্যাটো ইনিস্টিটিউট নামে একটি সংগঠনের কর্মকর্তা অ্যালেক্স নওরাস্টেচ জানিয়েছেন,  নিষিদ্ধঘোষিত এই সাতটি মুসলিম দেশের কারো হাতে গত ৪১ বছরে কোনো মার্কিন নাগরিক হত্যার শিকার হয়নি। এই সাত দেশের মোট ১৭জনের বিরুদ্ধে সন্ত্রাসী হামলা চালানোর চেষ্টার অভিযোগ আনা হয়েছিল। কিন্তু এদের সেই হামলা চেষ্টায় কেউই নিহত হয়নি। আর এই সময়ের মধ্যে সিরিয়ার কোনো সন্ত্রাসীই যুক্তরাষ্ট্রে হামলা চালায়নি।

নিজেদের দেওয়া তথ্যের বিশ্লেষণ করে সংস্থাটি জানিয়েছে, বিদেশে জন্ম নেওয়া কোনো শরণার্থীর হাতে বছরে ৩৬৪ কোটির মধ্যে মাত্র একজন মার্কিন নাগরিক নিহতের সম্ভাবনা রয়েছে। এই সাত দেশ নয় বরং ৯/১১ এর সময় মিশর, সংযুক্ত আরব আমিরাত, লেবানন ও সৌদি আরব থেকে আসা সন্ত্রাসীদের সংখ্যাই বেশি দেখা গেছে।


এলএবাংলাটাইমস/আই/এলআরটি