যুক্তরাষ্ট্রের হাতে বন্দিদের ওপর অমানবিক বর্বরনির্যাতন চালানোর পক্ষে সাফাই গাইলেন তৎকালীন
মার্কিন ভাইস প্রেসিডেন্ট ডিক চেনি। শুধু তা-ই নয়,দম্ভ ভরে বললেন, সুযোগ পেলে তিনি আবারও নির্যাতন
চালাবেন। রোববার
হাত খ্যাত চেনি। টুইন টাওয়ারে হামলার ঘটনায় তথ্যএনবিসি টেলিভিশনকে দেয়া সাক্ষাৎকারে এ ঔদ্ধত্য
দেখালেন সাবেক প্রেসিডেন্ট জর্জ বুশ জুনিয়রের ডান
কর্মকর্তাদের নায়ক আখ্যা দিলেন তিনি।বুশ প্রশাসনআদায়ে আল কায়দার সঙ্গে সংশ্লিষ্টতার সন্দেহে আটক
বন্দিদের নির্মম নির্যাতন চালানো সিআইএ
অনুমোদিত কথিত উন্নত জিজ্ঞাসাবাদ কৌশলে পাশবিক
তিনি বলেন, আমি পুরোপুরি স্বস্তির সঙ্গেই বলছি, তাদেরনির্যাতন চালালেও তার জন্য অনুতপ্ত নন কেউ। ডিক
চেনি বলেন, এখানে কোনো নৈতিক বাধ্যবাধকতা নেই।
প্রশংসা করা উচিত, তাদের সম্মানিত করা উচিত।
অবিরাম পানিতে চুবিয়ে নির্যাতন করা ছাড়াও যৌনআমি সময় পেলেই কাজটি করব।গত মঙ্গলবার যুক্তরাষ্ট্রের
সিনেট গোয়েন্দা কমিটি এক প্রতিবেদনে সিআইএর
বন্দি নির্যাতনের তথ্য প্রকাশ করে। এতে বলা হয়,
ব্যর্থ হয়েছে প্রতিবেদনের এ মন্তব্যের অংশনির্যাতনের হুমকি, পায়ুপথে পানি ঢুকিয়ে, চড় মেরে,
ঠাণ্ডার মধ্যে রেখে, হেনস্থা করে এমনকি দিনের পর
দিন ঘুমাতে না দিয়ে বন্দিদের জিজ্ঞাসাবাদ
করা হয়েছে। তবে নির্যাতন করে তথ্য আদায়ে সিআইএ
কার্যকারিতা সম্পর্কে কোনো জ্ঞান নেই ওবামার।সিআইএমানতে রাজি নন চেনি। তিনি বলেন, এটা কাজ করেছে।
এটা পুরোপুরিই কাজ করেছে। মিট দ্য প্রেসে ওবামার
সমালোচনা করে চেনি বলেন, প্রেসিডেন্ট নির্যাতনের
নিন্দা করছেন, কিন্তু এর
প্রধানের পদত্যাগ দাবি, পাশে দাঁড়াচ্ছেন ওবামা :
কিন্তু ব্রেনানের পাশে দাঁড়াচ্ছেন প্রেসিডেন্ট বারাকসিআইএর নির্যাতনের বর্বর রিপোর্ট প্রকাশিত হওয়ার
ব্যাপক চাপের মুখে রয়েছে মার্কিন এই
গোয়েন্দা সংস্থাটি। সিআইএর বর্তমান প্রধান জন
ব্রেনানের পদত্যাগ দাবি করছেন অনেকেই। ডেমোক্রেটিক
দলের কেউ কেউ এ দাবির সঙ্গে একমত জানিয়েছেন।
যত ঘনিষ্ঠতা, তা আর কোনো প্রেসিডেন্টের সঙ্গে সিআইএওবামা। যদিও রিপোর্ট প্রকাশিত হওয়ার পর ব্রেনান
ওবামার সাক্ষাৎ চাইলে হোয়াইট হাউসের পক্ষ
থেকে সাড়া দেয়া হয়নি। ওবামা ক্ষমতায় আসার পর গত
ছয় বছর ধরে সিআইএ প্রধানের দায়িত্ব পালন করছেন
ব্রেনান। বিশ্লেষকরা বলছেন, ওবামার সঙ্গে ব্রেনানের
প্রধানের ছিল না।