অধিকৃত ফিলিস্তিনের পশ্চিম তীরের হেবরনে ছুরি হাতে হামলা চালাতে গিয়ে গুরুতর আহত এক ফিলিস্তিনিকে গুলি করে হত্যার অভিযোগে এক ইসরায়েলি সেনাকে দোষী সাব্যস্ত করেছে তেল আবিবের সামরিক আদালত।
ফাতাহ আল-শরিফ (২১) নামের ওই ফিলিস্তিনি গুলিবিদ্ধ হয়ে অসাড় অবস্থায় সড়কে পড়ে থাকার কিছুক্ষণ পর ২০ বছর বয়সী সার্জেন্ট ইলোর আজারিয়া তাকে মাথায় গুলি করে হত্যা করেন। আজারিয়ার সাজা পরবর্তীতে ঘোষণা করা হবে বলে জানিয়েছে আদালত। তবে ইসরায়েলে এ হত্যার সাজা ২০ বছরের কারাদণ্ড হয়ে থাকে বলে জানিয়েছে বিবিসি।
গত বছরের ২৪ মার্চ শরিফ ও রামজি আজিজ আল-কোয়াসরাউই (২১) নামের আরেক ফিলিস্তিনি হেবরনের একটি সড়কে ইসরায়েলের এক সেনাকে ছুরিকাঘা করে। এসময় সেনারা গুলি ছুঁড়লে শরিফ আহত ও কোয়াসরাউই নিহত হয়। এ ঘটনার বেশ কয়েক মিনিট পর একজন ফিলিস্তিনি সেখানকার পরিস্থিতি ভিডিও করেন। ইসরায়েলের একটি মানবাধিকার গ্রুপ ভিডিও ফুটেজটি প্রকাশ করে।
ভিডিওতে শরিফকে জীবিত দেখা যায় । বেশ কয়েক মিনিট পর সার্জেন্ট আজারিয়াকে রাইফেল উঁচু করে শরিফের মাথায় গুলি করতে দেখা যায়।
সার্জেন্ট আজারিয়া আত্মপক্ষ সমর্থনে আদালতকে বলেছেন, তিনি ভেবেছিলেন শরিফের কাছে বিস্ফোরক বেল্ট রয়েছে।
তবে কৌঁসুলিরা আজারিয়ার ‘প্রতিশোধ নেওয়ার’ মানসিকতার বিষয়টি প্রমাণ করতে সক্ষম হন।
তিন বিচারকের সামরিক আদালত বলেছে, ‘যখন একজন সন্ত্রাসী আহত অবস্থায় মাটিতে পড়ে আছে এবং হামলার শিকার বা আশেপাশের কারও জন্যই হুমকির কারণ নয়, সেসময় তাকে আক্রমণ করে সার্জেন্ট আজারিয়া লড়াইয়ের নীতি লঙ্ঘন করেছেন।’
এ ঘটনার পর আজারিয়ার কোম্পানি ও ব্যাটেলিয়ন কামান্ডাররা তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করলে তিনি বলেছিলেন, ‘তারা আমার বন্ধুকে ছুরি মেরেছে এবং তাকে হত্যার চেষ্টা করেছে--মৃত্যু তার পাওনা।’তবে সেনা তদন্তকারীদের এ দাবি আদালতে অস্বীকার করেছেন আজারিয়া।
এদিকে আজারিয়াকে দোষী সাব্যস্তের ঘটনায ইসরায়েলিদের মধ্যে বিভেদ সৃষ্টি করেছে। আজারিয়ার পক্ষে মিছিল হয়েছে এবং ইসরায়েলের কয়েকজন জ্যেষ্ঠ রাজনীতিবিদ তাকে সমর্থন দিয়েছেন। প্রতিরক্ষামন্ত্রী অ্যাভিগডর লিবারম্যান মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব নেয়ার আগে গত মে মাসে আজারিয়াকে সমর্থন জানিয়েছিলেন। রায়ের পর তিনি বলেছেন, ‘ওই সেনা ও তার পরিবারের সদস্যদের সহযোগিতার জন্য মন্ত্রণালয় যা যা করার তার সবই করবে।’
এলএবাংলাটাইমস/আই/এলআরটি
ফাতাহ আল-শরিফ (২১) নামের ওই ফিলিস্তিনি গুলিবিদ্ধ হয়ে অসাড় অবস্থায় সড়কে পড়ে থাকার কিছুক্ষণ পর ২০ বছর বয়সী সার্জেন্ট ইলোর আজারিয়া তাকে মাথায় গুলি করে হত্যা করেন। আজারিয়ার সাজা পরবর্তীতে ঘোষণা করা হবে বলে জানিয়েছে আদালত। তবে ইসরায়েলে এ হত্যার সাজা ২০ বছরের কারাদণ্ড হয়ে থাকে বলে জানিয়েছে বিবিসি।
গত বছরের ২৪ মার্চ শরিফ ও রামজি আজিজ আল-কোয়াসরাউই (২১) নামের আরেক ফিলিস্তিনি হেবরনের একটি সড়কে ইসরায়েলের এক সেনাকে ছুরিকাঘা করে। এসময় সেনারা গুলি ছুঁড়লে শরিফ আহত ও কোয়াসরাউই নিহত হয়। এ ঘটনার বেশ কয়েক মিনিট পর একজন ফিলিস্তিনি সেখানকার পরিস্থিতি ভিডিও করেন। ইসরায়েলের একটি মানবাধিকার গ্রুপ ভিডিও ফুটেজটি প্রকাশ করে।
ভিডিওতে শরিফকে জীবিত দেখা যায় । বেশ কয়েক মিনিট পর সার্জেন্ট আজারিয়াকে রাইফেল উঁচু করে শরিফের মাথায় গুলি করতে দেখা যায়।
সার্জেন্ট আজারিয়া আত্মপক্ষ সমর্থনে আদালতকে বলেছেন, তিনি ভেবেছিলেন শরিফের কাছে বিস্ফোরক বেল্ট রয়েছে।
তবে কৌঁসুলিরা আজারিয়ার ‘প্রতিশোধ নেওয়ার’ মানসিকতার বিষয়টি প্রমাণ করতে সক্ষম হন।
তিন বিচারকের সামরিক আদালত বলেছে, ‘যখন একজন সন্ত্রাসী আহত অবস্থায় মাটিতে পড়ে আছে এবং হামলার শিকার বা আশেপাশের কারও জন্যই হুমকির কারণ নয়, সেসময় তাকে আক্রমণ করে সার্জেন্ট আজারিয়া লড়াইয়ের নীতি লঙ্ঘন করেছেন।’
এ ঘটনার পর আজারিয়ার কোম্পানি ও ব্যাটেলিয়ন কামান্ডাররা তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করলে তিনি বলেছিলেন, ‘তারা আমার বন্ধুকে ছুরি মেরেছে এবং তাকে হত্যার চেষ্টা করেছে--মৃত্যু তার পাওনা।’তবে সেনা তদন্তকারীদের এ দাবি আদালতে অস্বীকার করেছেন আজারিয়া।
এদিকে আজারিয়াকে দোষী সাব্যস্তের ঘটনায ইসরায়েলিদের মধ্যে বিভেদ সৃষ্টি করেছে। আজারিয়ার পক্ষে মিছিল হয়েছে এবং ইসরায়েলের কয়েকজন জ্যেষ্ঠ রাজনীতিবিদ তাকে সমর্থন দিয়েছেন। প্রতিরক্ষামন্ত্রী অ্যাভিগডর লিবারম্যান মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব নেয়ার আগে গত মে মাসে আজারিয়াকে সমর্থন জানিয়েছিলেন। রায়ের পর তিনি বলেছেন, ‘ওই সেনা ও তার পরিবারের সদস্যদের সহযোগিতার জন্য মন্ত্রণালয় যা যা করার তার সবই করবে।’
এলএবাংলাটাইমস/আই/এলআরটি