আন্তর্জাতিক

যে কারণে সিআইএর নির্যাতনের বিচার চান না ওবামা

যুক্তরাষ্ট্রে নির্যাতন বেআইনি হলেও বন্দিদের ওপর নৃশংস নির্যাতনের নির্দেশদাতা সিআইএর গোয়েন্দা কর্মকর্তাদের আইনের মুখোমুখি করতে চায় না ওবামা প্রশাসন। সম্প্রতি যুক্তরাষ্ট্রের কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা সিআইএর অমানবিক নির্যাতনের রিপোর্ট প্রকাশের পর পরই এর সঙ্গে সংশ্লিষ্ট গোয়েন্দা কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেওয়ার জোর দাবি ওঠে। কিন্তু ওবামা অতি অমানবিক ও নৃশংস কৌশলে জিজ্ঞাসাবাদের তীব্র নিন্দা জানালেও হোয়াইট হাউস বেশ দৃঢ়ভাবেই সংশ্লিষ্টদের আইনি বিচারে মুখোমুখি করার সম্ভাবনা বাতিল করে দিয়েছে। যুক্তরাষ্ট্রের আইন সুনির্দিষ্টভাবে নির্যাতন নিষিদ্ধ করেছে। যে কারণে সিআইএর নির্যাতনের বিচার চান না ওবামা
কারও ওপর 'গুরুতর শারীরিক ও মানসিক যন্ত্রণা বা দুর্ভোগ ঘটায়' এমন কোনো পদক্ষেপ নিতে পারবে না। তাৎক্ষণিকভাবে কাউকে মেরে ফেলার হুমকি দেওয়া যাবে না। বন্দিশিবিরগুলোতে সপ্তাহ ধরে জাগিয়ে রেখে আটক বন্দিকে চেতনাগত বিভ্রমের মধ্যে ঠেলে দেওয়া, ২২ ঘণ্টা টানা মাথার ওপরে হাত শেকলে বেঁধে রাখা, ওয়াটার বোর্ডিংয়ের মতো নৃশংতা চালিয়েছে সিআইএ। এসবও মার্কিন আইনে নির্যাতনের সংজ্ঞার মধ্যে পড়ে।
কিন্তু ওবামা প্রশাসন বলে আসছে, তারা এ জন্য কোনো আইনি ব্যবস্থা নেবে না। ওবামা ২০০৯ সালে ক্ষমতায় আসার পরপরই তার অ্যাটর্নি জেনারেল জানিয়েছিলেন, বুশ প্রশাসনের আইন কর্মকর্তারা সিআইএকে যে আইনি নির্দেশনা দিয়েছেন তা যারা মেনে চলেছেন, তাদের কাউকেই আইনের মুখোমুখি করা হবে না। ফেডারেল কেঁৗসুলিরা তিন বছর তদন্তের পর তাদের বিরুদ্ধে কোনো আইনি ব্যবস্থা না নেওয়ার সিদ্ধান্ত নেন।
তারা মনে করেন, এটা আশিংকভাবে অবশ্যই আইনসম্মত। তাছাড়া আইনি পদক্ষেপের ক্ষেত্রে যেসব ডকুমেন্ট দরকার তার অনেকই উচ্চ পর্যায়ের গোপনীয়তার অন্তর্ভুক্ত। এর ফলে এগুলো উপস্থাপন করা যাবে না। অন্যদিকে বিচারকরা মনে করছেন, সন্ত্রাসবাদের হাত থেকে যুক্তরাষ্ট্রকে মুক্ত রাখতে প্রতি মুহূর্তেই সিআইএর ওপর নির্ভর করতে হয় ওবামাকে। সে ক্ষেত্রে কাউকে আইনের মুখোমুখি করা মানে সংস্থাটির সঙ্গে ওবামার দূরত্ব বাড়ানো। দ্য টেলিগ্রাফ।