আন্তর্জাতিক

মতৈক্য না হওয়ায় জলবায়ু সম্মেলন দীর্ঘায়িত

বিশ্বে কার্বন নিঃসরণ কমাতে একটি চুক্তির খসড়া প্রণয়নের বিষয়ে উন্নত ও উন্নয়নশীল দেশগুলো ঐকমত্যে পৌঁছাতে না পারায় পেরুর রাজধানী লিমায় চলমান জলবায়ু সম্মেলন নির্ধারিত সময়ে শেষ হয়নি।মতৈক্য না হওয়ায় জলবায়ু সম্মেলন দীর্ঘায়িত জলবায়ু সম্মেলনে ধনী ও উন্নয়নশীল দেশগুলো বিশ্বে কার্বন নিঃসরণের জন্য পরস্পরকে দোষারোপ করছে- বিবিসি শনিবার বার্তা সংস্থা এএফপির এক প্রতিবেদনে জানানো হয়, গত ১ ডিসেম্বর শুরু হওয়া সম্মেলন শুক্রবার সন্ধ্যায় শেষ হওয়ার কথা থাকলেও সম্মেলনে যোগ দেওয়া দেশগুলো ঐকমত্যে পৌঁছাতে ব্যর্থ হওয়ায় শনিবারও আলোচনা চালিয়ে যাওয়ার সিদ্ধান্ত হয়। আগামী বছর ফ্রান্সের রাজধানী প্যারিসে অনুষ্ঠেয় জলবায়ু সম্মেলনে বিশ্বব্যাপী কার্বন নিঃসরণ কমাতে একটি চুক্তি সই হওয়ার কথা। সেই চুক্তির খসড়া প্রণয়নই ছিল এবারের সম্মেলনের মূল উদ্দেশ্য।তবে গত ১২ দিনে সম্মেলন চলাকালে আলোচকরা চুক্তির খসড়ার বিষয়ে ঐকমত্যে পৌঁছাতে ব্যর্থ হন। শুক্রবার স্থানীয় সময় সন্ধ্যা ৬টায় সম্মেলন শেষ হওয়ার কথা থাকলেও তা রাত ৩টা পর্যন্ত চলে। পরে শনিবার সকাল ১০টা পর্যন্ত সম্মেলন মুলতবি করা হয়। এদিন শেষ চেষ্টা হিসেবে চুক্তির খসড়া নিয়ে আরো একবার আলোচনায় বসার কথা সম্মেলনে অংশ নেওয়া ১৯৫টি দেশের প্রতিনিধিদের। সম্মেলনে অংশ নেওয়া উন্নয়নশীল দেশের প্রতিনিধিরা বলছেন, কার্বন নিঃসরণ কমানোর বিষয়ে পশ্চিমা দেশগুলোকেই বেশি দায়িত্ব নিতে হবে। কেননা, নিজেদের উন্নয়নের স্বার্থে পশ্চিমা দেশগুলো কয়েক দশক আগে থেকেই পরিবেশ দূষণ করে আসছে। অন্যদিকে কার্বন নিঃসরণের জন্য উন্নয়নশীল দেশগুলোকে দায়ী করে ধনী দেশগুলো বলছে, দ্রুতগতিতে অর্থনৈতিক উন্নয়নের স্বার্থে কয়লা পুড়িয়ে চীন ও ভারতের মতো দেশগুলোই অধিক কার্বন নিঃসরণ করছে। তাই কার্বন নিঃসরণ কমাতে এসব দেশকেই বেশি দায়িত্ব নিতে হবে। ধনী ও উন্নয়নশীল দেশগুলোর এই মতানৈক্যের কারণেই গত ১২ দিনে খসড়ার বিষয়ে সর্বসম্মত কোনো সিদ্ধান্তে পৌঁছাতে পারেননি আলোচকরা। উদ্ভূত পরিস্থিতিতে শনিবার রাতে সম্মেলন চলাকালে পেরুর পরিবেশ বিষয়ক মন্ত্রী ম্যানুয়েল পালগার-ভিদাল আলোচকদের আরো নমনীয় হওয়ার আহ্বান জানিয়ে বলেন, 'আমরা চুক্তির একটি খসড়া তৈরির দাঁড়প্রান্তে। এখন এ বিষয়ে ঐকমত্যে পৌঁছাতে আমাদের শুধু শেষ প্রচেষ্টাটুকু প্রয়োজন। আমাদের রাজনৈতিকভাবে সিদ্ধান্ত নিতে হবে।'