মালয়েশিয়ায় দুই বাংলাদেশিকে হত্যা ও অপরজনকে গুরুতর জখমের অভিযোগে ১০ বছরের কারাদণ্ড ও ফাঁসির আসামি অলিয়ার শেখকে বেকসুর খালাস দিয়েছে দেশটির আদালত। বুধবার মালয়েশিয়ার সর্বোচ্চ আদালত ফেডারেল কোর্ট-এর পাঁচ সদস্যের বেঞ্চ দীর্ঘ শুনানির পর তাকে খালাস দেয়।
কুয়ালালামপুরের বাংলাদেশ হাইকমিশন অলিয়ার শেখকে দীর্ঘ ৮ বছর আইনি সহায়তা দিয়েছে। হাইকমিশনের লেবার কাউন্সিল সাইদুর রহমান, শ্রম সচিব সাহিদা সুলতানা, শ্রম সচিব ফরিদ আহমদ ও সাবেক শ্রম সচিব মোশাররাত জেবীন মামলাটি সার্বক্ষণিক পর্যবেক্ষণ করেন। মুক্তির পর অলিয়ার শেখকে তাৎক্ষণিকভাবে হাইকমিশনে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। তাকে হাইকমিশনের তত্ত্বাবধানে রাখা হয়েছে। আউট পাসের মাধ্যমে তাকে দু-একদিনের মধ্যেই দেশে পাঠানো হবে।
এদিকে, আলিয়ার শেখের মুক্তির খবরে তার গ্রামের বাড়ি ছাগলছিরায় আনন্দের বন্যা বইছে।
হাইকমিশনার মো. শহিদুল ইসলাম বলেন, হাইকমিশন কর্তৃপক্ষ প্রবাসীদের সমস্যা সমাধানে সর্বাত্মক প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। বাংলাদেশি কর্মীরা মালয়েশিয়ায় যাতে হয়রানির শিকার না হয় সেজন্য সজাগ দৃষ্টি রাখা হচ্ছে।
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, ২০০৮ সালে গোপালগঞ্জের মোকসেদপুর উপজেলার ছাগলছিরা গ্রামের আওয়াল শেখ ঋণ ও ভিটেমাটি বিক্রি করে কলিং ভিসায় বড় ছেলে অলিয়ার শেখকে মালয়েশিয়ায় পাঠান। মালয়েশিয়ার একটি পোল্ট্রি ফার্মে কাজে যোগ দেন অলিয়ার শেখ। হঠাৎ এক রাতে অজ্ঞাত সন্ত্রাসীরা কাদের ও শাহীন নামের দুই বাংলাদেশিকে হত্যা এবং হেলাল নামের অপরজনকে গুরুতর আহত করে পালিয়ে যায়। অলিয়ার শেখ বিষয়টি মালিক পক্ষকে জানাতে অফিসে গেলে তারা তাকে পুলিশের হাতে তুলে দেয়।
পরে মালয়েশিয়ার নিগরি সেম্বিলান হাইকোর্ট অলিয়ার শেখকে ১০ বছরের জেলসহ ফাঁসির আদেশ দেয়।
এলএবাংলাটাইমস/আই/এলআরটি
কুয়ালালামপুরের বাংলাদেশ হাইকমিশন অলিয়ার শেখকে দীর্ঘ ৮ বছর আইনি সহায়তা দিয়েছে। হাইকমিশনের লেবার কাউন্সিল সাইদুর রহমান, শ্রম সচিব সাহিদা সুলতানা, শ্রম সচিব ফরিদ আহমদ ও সাবেক শ্রম সচিব মোশাররাত জেবীন মামলাটি সার্বক্ষণিক পর্যবেক্ষণ করেন। মুক্তির পর অলিয়ার শেখকে তাৎক্ষণিকভাবে হাইকমিশনে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। তাকে হাইকমিশনের তত্ত্বাবধানে রাখা হয়েছে। আউট পাসের মাধ্যমে তাকে দু-একদিনের মধ্যেই দেশে পাঠানো হবে।
এদিকে, আলিয়ার শেখের মুক্তির খবরে তার গ্রামের বাড়ি ছাগলছিরায় আনন্দের বন্যা বইছে।
হাইকমিশনার মো. শহিদুল ইসলাম বলেন, হাইকমিশন কর্তৃপক্ষ প্রবাসীদের সমস্যা সমাধানে সর্বাত্মক প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। বাংলাদেশি কর্মীরা মালয়েশিয়ায় যাতে হয়রানির শিকার না হয় সেজন্য সজাগ দৃষ্টি রাখা হচ্ছে।
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, ২০০৮ সালে গোপালগঞ্জের মোকসেদপুর উপজেলার ছাগলছিরা গ্রামের আওয়াল শেখ ঋণ ও ভিটেমাটি বিক্রি করে কলিং ভিসায় বড় ছেলে অলিয়ার শেখকে মালয়েশিয়ায় পাঠান। মালয়েশিয়ার একটি পোল্ট্রি ফার্মে কাজে যোগ দেন অলিয়ার শেখ। হঠাৎ এক রাতে অজ্ঞাত সন্ত্রাসীরা কাদের ও শাহীন নামের দুই বাংলাদেশিকে হত্যা এবং হেলাল নামের অপরজনকে গুরুতর আহত করে পালিয়ে যায়। অলিয়ার শেখ বিষয়টি মালিক পক্ষকে জানাতে অফিসে গেলে তারা তাকে পুলিশের হাতে তুলে দেয়।
পরে মালয়েশিয়ার নিগরি সেম্বিলান হাইকোর্ট অলিয়ার শেখকে ১০ বছরের জেলসহ ফাঁসির আদেশ দেয়।
এলএবাংলাটাইমস/আই/এলআরটি