আন্তর্জাতিক

মানবতাবিরোধী অপরাধের শিকার রোহিঙ্গারা : জাতিসংঘ

মিয়ানমারে সংখ্যালঘু রোহিঙ্গারা দেশটির সেনাবাহিনীর দ্বারা ‘খুব সম্ভবত মানবতাবিরোধী অপরাধের’ শিকার হচ্ছে। এমনটাই মন্তব্য করেছে জাতিসংঘ।

মঙ্গলবার এক বিবৃতিতে জাতিসংঘের মানবাধিকারবিষয়ক হাইকমিশনারের দফতর (ওএইচসিএইচআর) এসব কথা জানায়।

প্রতিবেদনে ওএইচসিএইচআর বলেছে, রোহিঙ্গাদের সঙ্গে মিয়ানমার সরকারের আচরণ মানবতাবিরোধী অপরাধের মতোই।

মিয়ানমারের থেকে পালিয়ে আসা রোহিঙ্গারা জানিয়েছে, মিয়ানমারের সেনাবাহিনী তাদের ওপর হেলিকপ্টার গানশিপও ব্যবহার করেছে। গানশিপ-সেনা-বিজিপি-মগ যুবকদের হামলা, নৃশংসতা, বিভীষিকা তারা ভুলতে পারছে না।

কৃত্রিম উপগ্রহে তোলা ছবি বিশ্লেষণ করে আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংস্থা হিউম্যান রাইটস ওয়াচ বলেছে, রোহিঙ্গা গ্রামগুলোতে শতাধিক বাড়িতে অগ্নিসংযোগ করা হয়েছে। হাজার হাজার রোহিঙ্গা বাংলাদেশে প্রবেশের জন্য সীমান্তে জড়ো হয়েছে। সেনাবাহিনী ওই রাজ্যে নারী ও শিশুদের ধর্ষণ করছে বলেও অভিযোগ উঠেছে।

সেখানে বলা হয়, ২০১২ সালের সহিংসতার ঘটনার সূচনা থেকে ১ লাখ ২০ হাজারের বেশি রোহিঙ্গা শরণার্থীশিবিরে আশ্রয় নিতে বাধ্য হয়। মিয়ানমার সরকার রোহিঙ্গাদের নাগরিক বলে মেনে নেয়নি, স্বাস্থ্যসুবিধা ও শিক্ষার সুযোগ, এমনকি মুক্তভাবে চলাফেরার সুযোগ থেকেও তাদের বঞ্চিত করা হচ্ছে।

এদিকে শান্তিতে নোবেল পাওয়া মিয়ানমারের নেতা অং সান সু চি সেখানে মুসলমানদের গণহত্যার বিষয়টিকে অস্বীকার করেছেন।

ব্রিটেনের গণমাধ্যম ইন্ডিপেন্ডেন্টকে তিনি বলেন, আমাদের একটি জাতীয় ঐক্য ও শান্তি প্রতিষ্ঠা করতে হবে। এভাবেই আমাদের দেশের উন্নয়ন হবে।


এলএবাংলাটাইমস/আই/এলআরটি