বাংলাদেশ ব্যাংকের চুরি যাওয়া অর্থ পাচার ঠেকাতে ব্যর্থ হওয়ায় ফিলিপাইনের ছয় ব্যাংক কর্মকর্তার বিরুদ্ধে ফৌজদারি মামলা দায়েরর পক্রিয়া শুরু হয়েছে। বুধবার দেশটির অ্যান্টি মানি লন্ডারিং কমিশন (এএমএলসি) এ তথ্য জানিয়েছে।
এসব কর্মকর্তার বিরুদ্ধে ‘অনৈতিক কর্মকাণ্ড দেখেও স্বেচ্ছায় না দেখার’ অভিযোগ আনা হয়েছে।
৯৭ পৃষ্ঠার ওই অভিযোগপত্রটি গত ১৮ নভেম্বর ফিলিপাইনের বিচার মন্ত্রণালয়ে জমা দেয়া হয়েছে। এতে রিজল কমার্শিয়াল ব্যাংকের প্রাক্তন ট্রেজারার রাউল তান, খুচরা ব্যাংকিং বিভাগের তিন কর্মকর্তা এবং যে শাখা থেকে টাকা উত্তোলন করা হয়েছে অর্থাৎ মাকাতি সিটি শাখার দুই কর্মকর্তাকে অভিযুক্ত করা হয়েছে। এর কারণ হিসেবে বলা হয়েছে, ওই কর্মকর্তাদের সন্দেহভাজন বিষয়গুলো দেখা উচিৎ ছিল এবং দ্রুত এ বিষয়ে তাদের হস্তক্ষেপ করা উচিৎ ছিল।
গত ফেব্রুয়ারিতে হ্যাকাররা যুক্তরাষ্ট্রের নিউ ইয়র্কের ফেডারেল রিজার্ভ থেকে বাংলাদেশ ব্যাংকের ৮ কোটি ১০ লাখ মার্কিন ডলার সরিয়ে আরসিবিসির মাকাতি সিটি শাখার চারটি অ্যাকাউন্টে জমা করতে সক্ষম হয়। সেখান থেকে ওই অর্থ হ্যাকাররা ব্যাংক কর্মকর্তাদের সহযোগিতায় উত্তোলন করে নেয়। এ ঘটনার পর আরসিবিসির তৎকালীন প্রেসিডেন্ট লরেঞ্জো ভি তান পদত্যাগ করেন।
এএমএলসি তাদের অভিযোগপত্রে বলেছে, আরসিবিসির এসব কর্মকর্তা ও কর্মচারী সন্দেহজনক চারটি অ্যাকাউন্টের লেনদেন সহজ করে দিয়েছেন। তারা এসব অ্যাকাউন্টের বিষয়ে বিস্তারিত ও প্রয়োজনীয় অনুসন্ধান করেননি।
আরসিবিসি অবশ্য দাবি করেছে তাদের কর্মকর্তারা নির্দোষ। মঙ্গলবার সংস্থাটি এক বিবৃতিতে বলেছে, ‘ আমরা আত্মবিশ্বাসী যে আরসিবিসির কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে যে মামলা নথিভুক্ত করা হয়েছে তা বাতিল হয়ে যাবে।’
অবশ্য এএমএলসির দেয়া তথ্য-উপাত্তের ভিত্তিতে ওই ছয় কর্মকর্তার বিরুদ্ধে ফৌজদারি মামলা দায়ের হবে কিনা সে বিষয়ে বিচার বিভাগই সিদ্ধান্ত নেবে।
এলএবাংলাটাইমস/আই/এলআরটি
এসব কর্মকর্তার বিরুদ্ধে ‘অনৈতিক কর্মকাণ্ড দেখেও স্বেচ্ছায় না দেখার’ অভিযোগ আনা হয়েছে।
৯৭ পৃষ্ঠার ওই অভিযোগপত্রটি গত ১৮ নভেম্বর ফিলিপাইনের বিচার মন্ত্রণালয়ে জমা দেয়া হয়েছে। এতে রিজল কমার্শিয়াল ব্যাংকের প্রাক্তন ট্রেজারার রাউল তান, খুচরা ব্যাংকিং বিভাগের তিন কর্মকর্তা এবং যে শাখা থেকে টাকা উত্তোলন করা হয়েছে অর্থাৎ মাকাতি সিটি শাখার দুই কর্মকর্তাকে অভিযুক্ত করা হয়েছে। এর কারণ হিসেবে বলা হয়েছে, ওই কর্মকর্তাদের সন্দেহভাজন বিষয়গুলো দেখা উচিৎ ছিল এবং দ্রুত এ বিষয়ে তাদের হস্তক্ষেপ করা উচিৎ ছিল।
গত ফেব্রুয়ারিতে হ্যাকাররা যুক্তরাষ্ট্রের নিউ ইয়র্কের ফেডারেল রিজার্ভ থেকে বাংলাদেশ ব্যাংকের ৮ কোটি ১০ লাখ মার্কিন ডলার সরিয়ে আরসিবিসির মাকাতি সিটি শাখার চারটি অ্যাকাউন্টে জমা করতে সক্ষম হয়। সেখান থেকে ওই অর্থ হ্যাকাররা ব্যাংক কর্মকর্তাদের সহযোগিতায় উত্তোলন করে নেয়। এ ঘটনার পর আরসিবিসির তৎকালীন প্রেসিডেন্ট লরেঞ্জো ভি তান পদত্যাগ করেন।
এএমএলসি তাদের অভিযোগপত্রে বলেছে, আরসিবিসির এসব কর্মকর্তা ও কর্মচারী সন্দেহজনক চারটি অ্যাকাউন্টের লেনদেন সহজ করে দিয়েছেন। তারা এসব অ্যাকাউন্টের বিষয়ে বিস্তারিত ও প্রয়োজনীয় অনুসন্ধান করেননি।
আরসিবিসি অবশ্য দাবি করেছে তাদের কর্মকর্তারা নির্দোষ। মঙ্গলবার সংস্থাটি এক বিবৃতিতে বলেছে, ‘ আমরা আত্মবিশ্বাসী যে আরসিবিসির কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে যে মামলা নথিভুক্ত করা হয়েছে তা বাতিল হয়ে যাবে।’
অবশ্য এএমএলসির দেয়া তথ্য-উপাত্তের ভিত্তিতে ওই ছয় কর্মকর্তার বিরুদ্ধে ফৌজদারি মামলা দায়ের হবে কিনা সে বিষয়ে বিচার বিভাগই সিদ্ধান্ত নেবে।
এলএবাংলাটাইমস/আই/এলআরটি