আফগান নাগরিকদের ফেরত পাঠানোর মধ্যেই শনিবার (১৯ এপ্রিল) আফগানিস্তানে তালেবান কর্মকর্তাদের সঙ্গে বৈঠক করতে কাবুলে গেলেন পাকিস্তানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ইসহাক দার। গত দুই সপ্তাহেরও কম সময়ে পাকিস্তান থেকে ৮৫ হাজারের বেশি আফগান নাগরিককে বহিষ্কার করা হয়েছে, যাদের বেশিরভাগই শিশু।
ইসলামাবাদ জানিয়েছে, এপ্রিল মাস শেষ হওয়ার আগেই তারা আবাসিক অনুমতি বাতিল করা হয়েছে - এমন ৮ লাখের বেশি আফগানকে ফেরত পাঠাবে। এর মধ্যে কেউ কেউ পাকিস্তানে জন্মগ্রহণ করেছেন বা কয়েক দশক ধরে বসবাস করছেন।
প্রতিদিনই আফগান পরিবারগুলো গ্রেপ্তার, অভিযান কিংবা পরিবারের সদস্যদের থেকে বিচ্ছিন্ন হওয়ার আশঙ্কায় সীমান্তের দিকে ছুটছে।
পাকিস্তানের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, ইসহাক দারের নেতৃত্বে একটি প্রতিনিধি দল আফগান তালেবান সরকারের শীর্ষ কর্মকর্তাদের সঙ্গে বৈঠক করবেন, যার মধ্যে প্রধানমন্ত্রী হাসান আখুন্দ রয়েছেন।
এর আগে শুক্রবার সংবাদ সম্মেলনে পাকিস্তানের উপ-স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী তালাল চৌধুরী অবৈধভাবে বসবাসরত আফগানদের সতর্ক করে বলেন, আপনি যদি কোনো কাগজপত্র ছাড়া আসেন, তবে সেটি শুধু সন্দেহই বাড়ায়—আপনি মাদক পাচারের সঙ্গে যুক্ত কি না, সন্ত্রাসবাদকে সমর্থন করছেন কি না বা অন্য কোনো অপরাধ করছেন কি না। নির্ধারিত সময়সীমার কোনো প্রকার শিথিলতা বা সময় বাড়ানো হবে না। তালাল চৌধুরী আগেও আফগান নাগরিকদের ‘সন্ত্রাসী ও অপরাধী’ বলে আখ্যা দিয়েছিলেন। তবে বিশ্লেষকদের মতে, এটি একটি রাজনৈতিক কৌশল, যার মাধ্যমে তালেবান সরকারের ওপর ক্রমবর্ধমান নিরাপত্তা সংকট নিয়ে চাপ প্রয়োগ করা হচ্ছে। জাতিসংঘের শরণার্থী সংস্থা শুক্রবার জানায়, ফেরত যাওয়া এই আফগানদের অর্ধেকেরও বেশি শিশু—যাদের এমন এক দেশে প্রবেশ করতে হচ্ছে, যেখানে মেয়েরা মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা থেকে বঞ্চিত এবং বহু খাতে নারীদের কাজ করার ওপর নিষেধাজ্ঞা রয়েছে। শনিবার আফগান শরণার্থী মন্ত্রণালয়ের একজন মুখপাত্র এএফপিকে জানান, ১ এপ্রিল থেকে ১৮ এপ্রিল পর্যন্ত পাকিস্তান সীমান্তের দুটি প্রধান প্রবেশপথ দিয়ে প্রায় ৭১ হাজার আফগান প্রত্যাবর্তনকারীকে তালেবান কর্তৃপক্ষ নথিভুক্ত করেছে। জাতিসংঘ বলছে, আফগানিস্তানের বিভিন্ন সংঘাত থেকে পালিয়ে প্রায় ৩০ লাখ আফগান পাকিস্তানে আশ্রয় নিয়েছে। ১৯৯০-এর দশকে তালেবান সরকারের প্রথম মেয়াদে পাকিস্তান ছিল তিনটি দেশগুলোর একটি, যারা সরকারটিকে স্বীকৃতি দেয়। পরে তাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ ওঠে ন্যাটো বাহিনীর বিরুদ্ধে বিদ্রোহে গোপনে তালেবানকে সহায়তা করার। তবে সাম্প্রতিক বছরগুলোতে দুই দেশের সম্পর্কে টানাপোড়েন বেড়েছে, বিশেষত সীমান্তবর্তী অঞ্চলে সহিংসতা বাড়ার পর। গত বছরটি পাকিস্তানে এক দশকের মধ্যে সবচেয়ে প্রাণঘাতী ছিল। ইসলামাবাদ কাবুলকে দায়ী করে বলেছে, সন্ত্রাসীরা আফগানিস্তানে আশ্রয় নিয়ে সেখান থেকেই হামলার পরিকল্পনা করছে। যদিও তালেবান সরকার এ অভিযোগ অস্বীকার করেছে। এলএবাংলাটাইমস/আইটিএলএস
এর আগে শুক্রবার সংবাদ সম্মেলনে পাকিস্তানের উপ-স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী তালাল চৌধুরী অবৈধভাবে বসবাসরত আফগানদের সতর্ক করে বলেন, আপনি যদি কোনো কাগজপত্র ছাড়া আসেন, তবে সেটি শুধু সন্দেহই বাড়ায়—আপনি মাদক পাচারের সঙ্গে যুক্ত কি না, সন্ত্রাসবাদকে সমর্থন করছেন কি না বা অন্য কোনো অপরাধ করছেন কি না। নির্ধারিত সময়সীমার কোনো প্রকার শিথিলতা বা সময় বাড়ানো হবে না। তালাল চৌধুরী আগেও আফগান নাগরিকদের ‘সন্ত্রাসী ও অপরাধী’ বলে আখ্যা দিয়েছিলেন। তবে বিশ্লেষকদের মতে, এটি একটি রাজনৈতিক কৌশল, যার মাধ্যমে তালেবান সরকারের ওপর ক্রমবর্ধমান নিরাপত্তা সংকট নিয়ে চাপ প্রয়োগ করা হচ্ছে। জাতিসংঘের শরণার্থী সংস্থা শুক্রবার জানায়, ফেরত যাওয়া এই আফগানদের অর্ধেকেরও বেশি শিশু—যাদের এমন এক দেশে প্রবেশ করতে হচ্ছে, যেখানে মেয়েরা মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা থেকে বঞ্চিত এবং বহু খাতে নারীদের কাজ করার ওপর নিষেধাজ্ঞা রয়েছে। শনিবার আফগান শরণার্থী মন্ত্রণালয়ের একজন মুখপাত্র এএফপিকে জানান, ১ এপ্রিল থেকে ১৮ এপ্রিল পর্যন্ত পাকিস্তান সীমান্তের দুটি প্রধান প্রবেশপথ দিয়ে প্রায় ৭১ হাজার আফগান প্রত্যাবর্তনকারীকে তালেবান কর্তৃপক্ষ নথিভুক্ত করেছে। জাতিসংঘ বলছে, আফগানিস্তানের বিভিন্ন সংঘাত থেকে পালিয়ে প্রায় ৩০ লাখ আফগান পাকিস্তানে আশ্রয় নিয়েছে। ১৯৯০-এর দশকে তালেবান সরকারের প্রথম মেয়াদে পাকিস্তান ছিল তিনটি দেশগুলোর একটি, যারা সরকারটিকে স্বীকৃতি দেয়। পরে তাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ ওঠে ন্যাটো বাহিনীর বিরুদ্ধে বিদ্রোহে গোপনে তালেবানকে সহায়তা করার। তবে সাম্প্রতিক বছরগুলোতে দুই দেশের সম্পর্কে টানাপোড়েন বেড়েছে, বিশেষত সীমান্তবর্তী অঞ্চলে সহিংসতা বাড়ার পর। গত বছরটি পাকিস্তানে এক দশকের মধ্যে সবচেয়ে প্রাণঘাতী ছিল। ইসলামাবাদ কাবুলকে দায়ী করে বলেছে, সন্ত্রাসীরা আফগানিস্তানে আশ্রয় নিয়ে সেখান থেকেই হামলার পরিকল্পনা করছে। যদিও তালেবান সরকার এ অভিযোগ অস্বীকার করেছে। এলএবাংলাটাইমস/আইটিএলএস