তুরস্কে গত এক দশকের মধ্যে সবচেয়ে বড় আন্দোলনের ঘটনায় আটক প্রায় ২০০ জনের বিচার শুরু হয়েছে। শুক্রবার (১৮ এপ্রিল) শুরু হওয়া বিচারে অভিযুক্তদের মধ্যে রয়েছেন শিক্ষার্থী ও সাংবাদিকরাও রয়েছেন।
ইস্তাম্বুলের বিরোধী দলীয় মেয়র একরেম ইমামোগলুকে ১৯ মার্চ গ্রেপ্তার ও পরবর্তীতে তাকে কারাবন্দী করার ঘটনায় দেশজুড়ে বিক্ষোভ শুরু হলে সরকার কঠোরভাবে এটি দমন করে। একই সঙ্গে বিক্ষোভের দায়ে অভিযুক্তদের আটক করে।
মামলার শুনানির সময় আদালত চত্বরে পরিবার, সাংবাদিক, বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক ও বিরোধী সিএইচপি পার্টির সংসদ সদস্যদের ভিড় দেখা যায়। অভিযুক্তদের বেশিরভাগই শিক্ষার্থী, তবে তাদের মধ্যে আটজন সাংবাদিকও আছেন। তাদের একজন এএফপির আলোকচিত্রী ইয়াসিন আকগুল, তিনি আন্দোলনের সংবাদ কভার করছিলেন। অভিযোগপত্রে বলা হয়েছে, তারা 'অবৈধ সমাবেশ ও মিছিলে অংশগ্রহণ' এবং 'পুলিশের সতর্কতা সত্ত্বেও ছত্রভঙ্গ না হওয়া'—এমন অভিযোগের মুখোমুখি। এসবের জন্য ছয় মাস থেকে চার বছর পর্যন্ত সাজা হতে পারে।
সাংবাদিকদের পক্ষে আইনজীবী ভেইসেল ওক আদালতে বলেন, তারা সংবাদ সংগ্রহ করতে গিয়েছিলেন এবং তারা পেশাগত দায়িত্ব পালন করছিলেন বলেই সেখানে ছিলেন। বিচারক তাদের অব্যাহতির আবেদন খারিজ করলেও শিক্ষার্থীদের মামলার ফাইল থেকে সাংবাদিকদের ফাইল আলাদা করার সিদ্ধান্ত দেন। অভিযোগপত্রে বলা হয়েছে, তারা যে সাংবাদিক—এই দাবি গণ্য হয়নি, কারণ পুলিশ তাদের উপস্থিতি সাংবাদিকতার উদ্দেশ্যে ছিল কি না, তা নিশ্চিত করতে পারেনি। রিপোর্টার্স উইদাউট বর্ডারস-এর তুরস্ক প্রতিনিধি এরোল ওন্দারওগ্লু বলেন, আমরা চাই সাংবাদিকদের অব্যাহতি দেওয়া হোক। কারণ তাদের বিরুদ্ধে মিথ্যা প্রমাণের ভিত্তিতে মামলা করা হয়েছে। দুর্ভাগ্যজনকভাবে, যেভাবে তাদের গ্রেপ্তার ও আটক করা হয়েছে, সেইরকমই স্বেচ্ছাচারীভাবে তাদের বিচার চলছে। আমাদের সন্তানের জন্য সুবিচার চাই। অনেক শিক্ষার্থীই প্রথম এমন বিক্ষোভে অংশ নিয়েছে। কারণ ২০১৩ সালের গেজি পার্ক আন্দোলনের পর তুরস্কে বড় পরিসরে কোনো গণবিক্ষোভ আর হয়নি। ইস্তাম্বুলের রাষ্ট্রীয় কৌঁসুলি কার্যালয় জানিয়েছে, ২০টি ফৌজদারি তদন্তে মোট ৮১৯ জনের বিচার হবে। হিউম্যান রাইটস ওয়াচ এক বিবৃতিতে এ বিচারকে 'দ্রুতগতির ও ব্যাপক পরিসরের' বলে সমালোচনা করে জানায়, তারা ৬৫০ অভিযুক্তকে ঘিরে গঠিত ৯টি অভিযোগপত্র পর্যালোচনা করে কোনো স্পষ্ট অপরাধপ্রমাণ খুঁজে পায়নি। যেহেতু অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে সুস্পষ্ট প্রমাণ অনুপস্থিত, তাই এই তড়িঘড়ি বিচারগুলোর উদ্দেশ্য শান্তিপূর্ণ প্রতিবাদ ও মতপ্রকাশের স্বাধীনতা চর্চায় ভয় ধরানো ছাড়া আর কিছু নয়। প্রসঙ্গত, কারাগারে থাকা ইস্তাম্বুলের মেয়র প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়্যিপ এরদোগানের প্রধান রাজনৈতিক প্রতিদ্বন্দ্বী। তার গ্রেপ্তার দেশজুড়ে প্রতিবাদের সূত্রপাত করে, যদিও তুরস্কের তিন বৃহৎ শহরে বিক্ষোভ নিষিদ্ধ ছিল। পুলিশ টিয়ারগ্যাস, মরিচের স্প্রে ও রাবার বুলেট ছুঁড়ে আন্দোলনকারীদের ছত্রভঙ্গ করে এবং অনেকের বাড়িতে ভোররাতে অভিযান চালিয়ে প্রায় ২,০০০ জনকে গ্রেপ্তার করে। এলএবাংলাটাইমস/আইটিএলএস
মামলার শুনানির সময় আদালত চত্বরে পরিবার, সাংবাদিক, বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক ও বিরোধী সিএইচপি পার্টির সংসদ সদস্যদের ভিড় দেখা যায়। অভিযুক্তদের বেশিরভাগই শিক্ষার্থী, তবে তাদের মধ্যে আটজন সাংবাদিকও আছেন। তাদের একজন এএফপির আলোকচিত্রী ইয়াসিন আকগুল, তিনি আন্দোলনের সংবাদ কভার করছিলেন। অভিযোগপত্রে বলা হয়েছে, তারা 'অবৈধ সমাবেশ ও মিছিলে অংশগ্রহণ' এবং 'পুলিশের সতর্কতা সত্ত্বেও ছত্রভঙ্গ না হওয়া'—এমন অভিযোগের মুখোমুখি। এসবের জন্য ছয় মাস থেকে চার বছর পর্যন্ত সাজা হতে পারে।
সাংবাদিকদের পক্ষে আইনজীবী ভেইসেল ওক আদালতে বলেন, তারা সংবাদ সংগ্রহ করতে গিয়েছিলেন এবং তারা পেশাগত দায়িত্ব পালন করছিলেন বলেই সেখানে ছিলেন। বিচারক তাদের অব্যাহতির আবেদন খারিজ করলেও শিক্ষার্থীদের মামলার ফাইল থেকে সাংবাদিকদের ফাইল আলাদা করার সিদ্ধান্ত দেন। অভিযোগপত্রে বলা হয়েছে, তারা যে সাংবাদিক—এই দাবি গণ্য হয়নি, কারণ পুলিশ তাদের উপস্থিতি সাংবাদিকতার উদ্দেশ্যে ছিল কি না, তা নিশ্চিত করতে পারেনি। রিপোর্টার্স উইদাউট বর্ডারস-এর তুরস্ক প্রতিনিধি এরোল ওন্দারওগ্লু বলেন, আমরা চাই সাংবাদিকদের অব্যাহতি দেওয়া হোক। কারণ তাদের বিরুদ্ধে মিথ্যা প্রমাণের ভিত্তিতে মামলা করা হয়েছে। দুর্ভাগ্যজনকভাবে, যেভাবে তাদের গ্রেপ্তার ও আটক করা হয়েছে, সেইরকমই স্বেচ্ছাচারীভাবে তাদের বিচার চলছে। আমাদের সন্তানের জন্য সুবিচার চাই। অনেক শিক্ষার্থীই প্রথম এমন বিক্ষোভে অংশ নিয়েছে। কারণ ২০১৩ সালের গেজি পার্ক আন্দোলনের পর তুরস্কে বড় পরিসরে কোনো গণবিক্ষোভ আর হয়নি। ইস্তাম্বুলের রাষ্ট্রীয় কৌঁসুলি কার্যালয় জানিয়েছে, ২০টি ফৌজদারি তদন্তে মোট ৮১৯ জনের বিচার হবে। হিউম্যান রাইটস ওয়াচ এক বিবৃতিতে এ বিচারকে 'দ্রুতগতির ও ব্যাপক পরিসরের' বলে সমালোচনা করে জানায়, তারা ৬৫০ অভিযুক্তকে ঘিরে গঠিত ৯টি অভিযোগপত্র পর্যালোচনা করে কোনো স্পষ্ট অপরাধপ্রমাণ খুঁজে পায়নি। যেহেতু অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে সুস্পষ্ট প্রমাণ অনুপস্থিত, তাই এই তড়িঘড়ি বিচারগুলোর উদ্দেশ্য শান্তিপূর্ণ প্রতিবাদ ও মতপ্রকাশের স্বাধীনতা চর্চায় ভয় ধরানো ছাড়া আর কিছু নয়। প্রসঙ্গত, কারাগারে থাকা ইস্তাম্বুলের মেয়র প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়্যিপ এরদোগানের প্রধান রাজনৈতিক প্রতিদ্বন্দ্বী। তার গ্রেপ্তার দেশজুড়ে প্রতিবাদের সূত্রপাত করে, যদিও তুরস্কের তিন বৃহৎ শহরে বিক্ষোভ নিষিদ্ধ ছিল। পুলিশ টিয়ারগ্যাস, মরিচের স্প্রে ও রাবার বুলেট ছুঁড়ে আন্দোলনকারীদের ছত্রভঙ্গ করে এবং অনেকের বাড়িতে ভোররাতে অভিযান চালিয়ে প্রায় ২,০০০ জনকে গ্রেপ্তার করে। এলএবাংলাটাইমস/আইটিএলএস