গত ২৬ ফেব্রুয়ারি যুক্তরাষ্ট্রের নিউ মেক্সিকো রাজ্যের সান্তা ফে শহরে অবস্থিত নিজ বাড়ি থেকে অভিনেতা জিন হ্যাকম্যান ও তার স্ত্রী বেটসি আরাকাওয়ার মরদেহ উদ্ধার করা হয়। কিন্তু এই মৃত্যুর কারণ উদ্ঘাটনে জড়িত বিশেষজ্ঞরা মনে করেন, ২৬ ফেব্রুয়ারি মরদেহ পাওয়া গেলেও হ্যাকম্যান মারা গিয়েছিলেন সম্ভবত গত ১৮ ফেব্রুয়ারি। আর তার স্ত্রী বেটসি মারা গিয়েছিলেন তার এক সপ্তাহ আগে।
এইদিকে, জিন হ্যাকম্যান ৮ কোটি মার্কিন ডলার বা ৯৭১ কোটি টাকার সম্পত্তি রেখে গেছেন। স্বাভাবিকভাবেই প্রশ্ন উঠেছে, কে হবেন এই সম্পত্তির উত্তরাধিকার?
বিনোদনবিষয়ক মার্কিন গণমাধ্যম পেজ সিক্স জানায়, হ্যাকম্যান তার ইচ্ছাপত্রে লিখে গেছেন, তার এই সম্পত্তির উত্তরাধিকারী হবেন দ্বিতীয় স্ত্রী আরাকাওয়াই। ২০০৫ সালের পর এই ইচ্ছাপত্রে আর কোনো বদল করা হয়নি বলেই জানা যাচ্ছে।
এইদিকে হ্যাকম্যানের প্রথম স্ত্রী ফায়ে মালটেসের সঙ্গে তার তিন সন্তান- ক্রিস্টোফার, লেসলি এবং এলিজাবেথ, সবারই বয়স এখন ৫৮ থেকে ৬৫-এর মধ্যে। আরাকাওয়ার কোনো সন্তান ছিল না। এখনো জানা যায়নি, হ্যাকম্যানের এই তিন সন্তানের কারও নাম সম্পত্তি প্রাপক হিসেবে উল্লেখ করা ছিল কি না! ফলে এই মুহূর্তে যেকোনো আইনি লড়াই শুরু হতে পারে বলেই মনে করা হচ্ছে। আর তেমন ইঙ্গিতও পাওয়া গেছে। জানা যায়, হ্যাকম্যানের বড় ছেলে ৬৫ বছরের ক্রিস্টোফার ইতিমধ্যেই এক আইনজীবীর দ্বারস্থ হয়েছেন। ফলে বোঝাই যাচ্ছে, তার বোনেরাও যে জমি ছেড়ে দেবেন, এমন সম্ভাবনা কম। এরই পাশাপাশি আরাকাওয়া আবার এক ইচ্ছাপত্রে তার সব সম্পত্তি এক অছির হাতে ন্যস্ত করার কথা লিখে রেখে গেছেন। তার ইচ্ছা অনুযায়ী, চিকিৎসাসংক্রান্ত সব খরচ মেটানোর পর সব সম্পত্তি দাতব্য করে দেওয়া হবে। এ ছাড়াও একটি শর্ত তিনি দিয়েছিলেন। তার ইচ্ছা ছিল, যদি তার স্বামী তার মৃত্যুর পর ৯০ দিন পর্যন্ত বাঁচেন, তাহলে সব সম্পত্তির উত্তরাধিকারী হবেন হ্যাকম্যানই। কিন্তু এই শর্ত ইতিমধ্যেই মূল্যহীন হয়ে পড়েছে। তার মৃত্যু হয়েছে গত ১৮ ফেব্রুয়ারি। শৌচাগার থেকে পাওয়া যায় আরাকাওয়ার দেহ। পুলিশের দাবি, তার মৃত্যু হয়ে থাকতে পারে আরও সপ্তাহখানেক আগেই। সম্ভবত ফুসফুসের রোগে আক্রান্ত হন তিনি। হ্যাকম্যানকে গত শতকের সেরা অভিনেতাদের একজন মনে করা হয়। রবার্ট ডি নিরো, আল পাচিনো, ডাস্টিন হফম্যানের সঙ্গে তিনি হলিউডের সবচেয়ে বেশি পারিশ্রমিক পাওয়া তারকার একজন ছিলেন। হ্যাকম্যান ১৯৩০ সালের ৩০ জানুয়ারি ক্যালিফোর্নিয়ার সান বার্নার্দিনো শহরে জন্মগ্রহণ করেন। প্রথম চলচ্চিত্র ছিল ওয়ারেন বেটির ‘লিলিথ’। ১৯৬৭ সালে আর্থার পেনের ‘বনি অ্যান ক্লাইড’ দিয়ে পার্শ্বচরিত্রে প্রথমবার অস্কার মনোনয়ন পান। ১৯৭০ সালে ‘আই নেভার স্যাং ফর মাই ফাদার’ চলচ্চিত্রের জন্য পার্শ্ব-অভিনেতা হিসেবে দ্বিতীয়বার অস্কার মনোনয়ন পান। এরপরই আসে সেই বিখ্যাত সিনেমা ‘দ্য ফ্রেঞ্চ কানেকশন’। ১৯৭১ সালে মুক্তি পাওয়া জিমি পপাই ডয়েল চরিত্রে অভিনয় করে দুনিয়াজুড়ে খ্যাতি পান। উইলিয়াম ফ্রিডকিনের সিনেমাটির জন্য সেরা অভিনেতা হিসেবে অস্কার পান। হ্যাকম্যান ১৯৯২ সালে ক্লিন্ট ইস্টউডের ‘আনফরগিভেন’ চলচ্চিত্রে শেরিফ লিটল বিল ড্যাগেট চরিত্রে অভিনয় করেন। এ সিনেমার জন্য পার্শ্বচরিত্রে সেরা অভিনেতা হিসেবে আবার অস্কার পান।
এলএবাংলাটাইমস/আইটিএলএস
এইদিকে হ্যাকম্যানের প্রথম স্ত্রী ফায়ে মালটেসের সঙ্গে তার তিন সন্তান- ক্রিস্টোফার, লেসলি এবং এলিজাবেথ, সবারই বয়স এখন ৫৮ থেকে ৬৫-এর মধ্যে। আরাকাওয়ার কোনো সন্তান ছিল না। এখনো জানা যায়নি, হ্যাকম্যানের এই তিন সন্তানের কারও নাম সম্পত্তি প্রাপক হিসেবে উল্লেখ করা ছিল কি না! ফলে এই মুহূর্তে যেকোনো আইনি লড়াই শুরু হতে পারে বলেই মনে করা হচ্ছে। আর তেমন ইঙ্গিতও পাওয়া গেছে। জানা যায়, হ্যাকম্যানের বড় ছেলে ৬৫ বছরের ক্রিস্টোফার ইতিমধ্যেই এক আইনজীবীর দ্বারস্থ হয়েছেন। ফলে বোঝাই যাচ্ছে, তার বোনেরাও যে জমি ছেড়ে দেবেন, এমন সম্ভাবনা কম। এরই পাশাপাশি আরাকাওয়া আবার এক ইচ্ছাপত্রে তার সব সম্পত্তি এক অছির হাতে ন্যস্ত করার কথা লিখে রেখে গেছেন। তার ইচ্ছা অনুযায়ী, চিকিৎসাসংক্রান্ত সব খরচ মেটানোর পর সব সম্পত্তি দাতব্য করে দেওয়া হবে। এ ছাড়াও একটি শর্ত তিনি দিয়েছিলেন। তার ইচ্ছা ছিল, যদি তার স্বামী তার মৃত্যুর পর ৯০ দিন পর্যন্ত বাঁচেন, তাহলে সব সম্পত্তির উত্তরাধিকারী হবেন হ্যাকম্যানই। কিন্তু এই শর্ত ইতিমধ্যেই মূল্যহীন হয়ে পড়েছে। তার মৃত্যু হয়েছে গত ১৮ ফেব্রুয়ারি। শৌচাগার থেকে পাওয়া যায় আরাকাওয়ার দেহ। পুলিশের দাবি, তার মৃত্যু হয়ে থাকতে পারে আরও সপ্তাহখানেক আগেই। সম্ভবত ফুসফুসের রোগে আক্রান্ত হন তিনি। হ্যাকম্যানকে গত শতকের সেরা অভিনেতাদের একজন মনে করা হয়। রবার্ট ডি নিরো, আল পাচিনো, ডাস্টিন হফম্যানের সঙ্গে তিনি হলিউডের সবচেয়ে বেশি পারিশ্রমিক পাওয়া তারকার একজন ছিলেন। হ্যাকম্যান ১৯৩০ সালের ৩০ জানুয়ারি ক্যালিফোর্নিয়ার সান বার্নার্দিনো শহরে জন্মগ্রহণ করেন। প্রথম চলচ্চিত্র ছিল ওয়ারেন বেটির ‘লিলিথ’। ১৯৬৭ সালে আর্থার পেনের ‘বনি অ্যান ক্লাইড’ দিয়ে পার্শ্বচরিত্রে প্রথমবার অস্কার মনোনয়ন পান। ১৯৭০ সালে ‘আই নেভার স্যাং ফর মাই ফাদার’ চলচ্চিত্রের জন্য পার্শ্ব-অভিনেতা হিসেবে দ্বিতীয়বার অস্কার মনোনয়ন পান। এরপরই আসে সেই বিখ্যাত সিনেমা ‘দ্য ফ্রেঞ্চ কানেকশন’। ১৯৭১ সালে মুক্তি পাওয়া জিমি পপাই ডয়েল চরিত্রে অভিনয় করে দুনিয়াজুড়ে খ্যাতি পান। উইলিয়াম ফ্রিডকিনের সিনেমাটির জন্য সেরা অভিনেতা হিসেবে অস্কার পান। হ্যাকম্যান ১৯৯২ সালে ক্লিন্ট ইস্টউডের ‘আনফরগিভেন’ চলচ্চিত্রে শেরিফ লিটল বিল ড্যাগেট চরিত্রে অভিনয় করেন। এ সিনেমার জন্য পার্শ্বচরিত্রে সেরা অভিনেতা হিসেবে আবার অস্কার পান।
এলএবাংলাটাইমস/আইটিএলএস