ফিলিস্তিনের স্বাধীনতাকামী সশস্ত্র সংগঠন হামাসের ওপর চাপ সৃষ্টি করতে অবরুদ্ধ গাজায় বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ করে দিয়েছে ইসরায়েল। দেশটি যুদ্ধবিরতির নতুন ভবিষ্যৎ নিয়ে আলোচনা শুরু করার প্রেক্ষাপটে এমন পদক্ষেপ নিলো। গতকাল রোববার (৯ মার্চ) ইসরায়েলের জ্বালানিমন্ত্রী এলি কোহেন অবিলম্বে গাজায় বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ রাখার আদেশ দেন।
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্সের পোস্টে লিখেছেন, সব জিম্মিকে বাড়ি ফেরাতে এবং যুদ্ধ শেষে গাজায় যেন হামাস আর না থাকে সেটি নিশ্চিত করতেই আমরা সকল পথ অবলম্বন করব।
তিনি বলেন, গাজা ভূখণ্ডের বিদ্যুৎ সরবরাহ ‘অবিলম্বে বন্ধ করার’ একটি আদেশে সই করেছেন তিনি। তিনি বলেছেন, অনেক আলোচনা হয়েছে। এখন সময় এসেছে পদক্ষেপ নেওয়ার!
এর আগে ইসরায়েল এক সপ্তাহ আগে, গাজায় সব ধরনের ত্রাণ সরবরাহ আটকে দেওয়া হয়। যুদ্ধের শুরুর দিনগুলোতেও ইসরায়েল গাজা ‘অবরুদ্ধ’ করার ঘোষণা দিয়েছিল। বর্তমান পরিস্থিতি যুদ্ধের প্রথম দিনগুলোর অবস্থাই মনে করিয়ে দিচ্ছে বলে জানিয়েছেন পর্যবেক্ষকরা।
এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ত্রাণ স্বল্পতার মধ্যে রোজার সময় ইসরায়েলের এমন পদক্ষেপে গাজার পানি বিশুদ্ধকরণ প্রকল্পগুলো বন্ধ হয়ে যাওয়ার হুমকির মুখে পড়বে।
বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ রাখার এ সিদ্ধান্তকে হামাস ‘ব্ল্যাকমেইল’ হিসেবে উল্লেখ করেছে। ইসরায়েল ত্রাণ সরবরাহ আটকে দেওয়ার পরও হামাস এমনটি বলেছিল।
গাজা যুদ্ধবিরতির প্রথম পর্ব গত ১ মার্চে শেষ হয়েছে। তারপর থেকেই উভয়পক্ষই সর্বাত্মক যুদ্ধে ফিরে আসা থেকে বিরত রয়েছে। তবে বিচ্ছিন্ন কিছু সহিংসতার ঘটনা অব্যাহত আছে।
হামাস যুদ্ধবিরতির দ্বিতীয় পর্ব নিয়ে আলোচনা অবিলম্বে শুরু করার আহ্বান জানিয়েছে। গাজায় গত ১৫ মাস ধরে চলা যুদ্ধের সাময়িক অবসান ঘটিয়েছে এই যুদ্ধবিরতি। যুদ্ধে কমপক্ষে ৫০ হাজার ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। এ ছাড়াও ইসরায়েলের অবিরাম বোমাবর্ষণে গাজা ধ্বংসস্তূপে পরিণত হয়েছে।
এলএবাংলাটাইমস/আইটিএলএস
এলএবাংলাটাইমস/আইটিএলএস