আন্তর্জাতিক

হানতে যাচ্ছে শক্তিশালী হারিকেন মিল্টন

ফ্লোরিডায় আঘাত হানতে যাচ্ছে শক্তিশালী হারিকেন মিল্টন। ফলে ৯ অক্টোবর বুধবার স্থানীয়দের হাতে কেবল একদিন সময় ছিল নিরাপদ স্থানে আশ্রয় নেওয়ার জন্য।  কর্তৃপক্ষ প্রায় ১০ লাখ মানুষকে সরে যাওয়ার নির্দেশ দিয়েছে। এতে সড়ক-মহাসড়কে সৃষ্টি হয়েছে তীব্র যানজট। গ্যাস স্টেশনে দেখা গেছে জ্বালানি সংকট। যুক্তরাষ্ট্রের জাতীয় ঘূর্ণিঝড় কেন্দ্র (ইউএস ন্যাশনাল হারিকেন সেন্টার) জানিয়েছে, মিল্টনে বাতাসের সর্বোচ্চ গতিবেগ ঘণ্টায় ২৬০ কিলোমিটার পর্যন্ত হতে পারে। এটিকে হারিকেনের শক্তি পরিমাপক পাঁচ ধাপের সাফির সিম্পসন স্কেলের সর্বোচ্চ স্তরে রাখা হয়েছে। মাত্র দুই সপ্তাহ আগে আঘাত হানা হারিকেন হেলেনের তাণ্ডবের ধাক্কা কাটিয়ে ওঠার আগেই ৫ম ক্যাটাগরির একটি হারিকেনের ঝুঁকির মুখে পড়ল ফ্লোরিডাবাসী। সময়ের সঙ্গে অবশ্য বাতাসের গতিবেগ কমে মিল্টনের বিধ্বংসী ক্ষমতা হ্রাস পেতে পারে। কিন্তু শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত, হারিকেনটি আকারে বড় হচ্ছিল। হারিকেনের গতিপথে রয়েছে টাম্পা বে মেট্রোপলিটন এলাকা। এখানে প্রায় ৩০ লাখ মানুষের বসবাস। তবে আবহাওয়াবিদরা ধারণা করছেন, বুধবার রাত অথবা বৃহস্পতিবার সকালে আঘাত হানার আগে ঝড়ের গতিপথ পরিবর্তিত হতে পারে। মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন থেকে শুরু করে টাম্পা শহরের মেয়র জেন ক্যাস্টর পর্যন্ত সবাই স্থানীয়দের নিরাপদ স্থানে সরে যাওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন। কর্তৃপক্ষের পরামর্শের সঙ্গে সহমত প্রকাশ করেছেন মাইকেল টাইলেন্ডা। টাম্পায় ছেলের সঙ্গে দেখা করতে এসেছিলেন তিনি। তিনি বলেছেন, ‘ফ্লোরিডা নিয়ে আপনার যদি সামান্য জানাশোনাও থাকে, তবে বুঝতে পারবেন, সময়মতো নিরাপদ জায়গায় আশ্রয় না নিলে আপনি মারাও যেতে পারেন। আগেও দেখা গেছে, দুর্যোগের সময় সতর্কতায় কান না দিয়ে অনেকেই নিজের বাড়িতে থেকে যায়। পরে ঘরবাড়ি পানির তোড়ে ভেসে গেলে অনেকেই ডুবে মারা যায়। তাই, সময় থাকতে সরে যাওয়া উচিত।’ এলএবাংলাটাইমস/আইটিএলএস