তৃতীয় মেয়াদে মিশরের প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হলেন আবদেল ফাত্তাহ আল সিসি। গতকাল সোমবার দেশটির জাতীয় নির্বাচন কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, সিসি ৮৯.৬ শতাংশ ভোট পেয়েছেন। কর্তৃপক্ষের প্রধান হাজেম বাদাউয়ি বলেছেন, কাস্টিং ভোট অভূতপূর্বভাবে রেকর্ড ৬৬.৮০ শতাংশে পৌঁছেছে।
সবচেয়ে জনবহুল আরব দেশ মিশরে তিন দিনের নির্বাচনের পর গত মঙ্গলবার ভোট গ্রহণ শেষ হয়। সাবেক সেনাপ্রধান সিসির পক্ষে ভোট পড়েছে ৩ কোটি ৯০ লাখ। গত এক দশক জনবহুল এই আরব দেশটির নেতৃত্বে রয়েছেন তিনি। সীমান্ত ঘেঁষা গাজায় ইসরাইল-হামাস যুদ্ধ চলাকালে এবং দেশটিতে অর্থনৈতিক সংকটের সময় এ ভোট অনুষ্ঠিত হয়েছে।
এর আগে, ২০১৩ সালে দেশটির প্রেসিডেন্ট মোহাম্মদ মুরসি ক্ষমতাচ্যুত হলে সিসি প্রথমবারের মতো প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হন। পাঁচ বছর পর ২০১৮ সালে ফের প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হন তিনি। আগের দুই নির্বাচনেই তিনি ৯৭ শতাংশ ভোট পেয়ে জয়ী হন। সিসি আরো তিন প্রার্থীর বিরুদ্ধে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করলেও তাদের কেউই হাইপ্রোফাইল ছিলেন না।
এদিকে তার প্রধান বিরোধী প্রার্থীর অভিযোগ, তার প্রচারণা বাধাগ্রস্ত করা হয়েছে এবং তার কয়েক ডজন সমর্থককে গ্রেফতার করা হয়েছে। আন্তর্জাতিক পর্যবেক্ষকরা সিসির শাসনামলে মিশরে মানবাধিকার লঙ্ঘিত হয়েছে বলে অভিযোগ তুলেছেন। সিসি ক্ষমতায় এসে সংবিধান সংশোধন করে প্রেসিডেন্টের মেয়াদ চার বছর থেকে বাড়িয়ে ছয় বছর করেন। সেইসঙ্গে টানা দুই মেয়াদে প্রেসিডেন্ট হওয়ার যে সীমাবদ্ধতা ছিল তা বাড়িয়ে তিন মেয়াদ করেছেন। —বিবিসি ও আলজাজিরা
এলএবাংলাটাইমস/আইটিএলএস
এলএবাংলাটাইমস/আইটিএলএস