দুনিয়ার যেখানেই যান না কেন আপনাকে ইমেইল ঠিকানা পাল্টাতে হচ্ছে না। কিন্তু এক দেশ থেকে আরেক দেশে গিয়ে মোবাইল ফোন না পাল্টালে গুনতে হয় রোমিংয়ের বিশাল মাশুল। তাও সব দেশে সব অপারেটরের কাছ থেকে রোমিং সুবিধা পাওয়াও যায় না। কিন্তু যদি রোমিং ছাড়া আপনার সিম থেকেই কথা বলা যায় ভিনদেশে গিয়েও! মোবাইল ফোনের দুনিয়া এখনো অতটা না পাল্টালেও সেই দিন হয়তো আর খুব বেশি দূরে নয়।
ইউরোপীয় ইউনিয়নের কর্মকর্তারা দীর্ঘদিন ধরেই সদস্য দেশগুলোর মধ্যে রোমিং চুক্তি নিয়ে কথা বলে যাচ্ছেন। এমন চুক্তি হলে ইউরোপীয়রা যে দেশেই বা যেখানেই থাকুন না কেন মুক্তভাবে তাঁদের মোবাইল ফোন ব্যবহার করতে পারবেন। কিন্তু এমন চুক্তির বিরুদ্ধে প্রাণপণ লড়াই করে যাচ্ছে মোবাইল নেটওয়ার্ক অপারেটরেরা। রোমিং চুক্তি গ্রাহকদের জন্য সুবিধাজনক হলেও এতে নিজেদের ব্যবসায় লালবাতি জ্বলে যেতে পারে বলে আশঙ্কা করছে মোবাইল অপারেটররা।
মোবাইল নেটওয়ার্ক অপারেটরদের ব্যবসায়িক মডেল হচ্ছে তাঁরা সেবা পরিচালনার জন্য স্পেকট্রাম (তরঙ্গ) কেনে। এই স্পেকট্রাম একেক দেশে একেক দামে বিক্রি হয়। সাধারণত স্পেকট্রাম চড়া দামেই বিক্রি হতে দেখা যায়। তাই রোমিং চুক্তির বদলে যদি ইউরোপীয় ইউনিয়ন সদস্য দেশগুলোর মধ্যে স্পেকট্রাম বিক্রির বিষয়ে সমতা আনতে পারে সেটাই বেশি যুক্তিযুক্ত হবে বলে মনে করে অপারেটররা। ঘটনা এখনো সেদিকে না এগুলেও ইউরোপে নতুন একটি দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছে দুটি দেশ।
একটাই সিম কার্ড কাজ করবে দুটি আলাদা দেশে, আলাদা নেটওয়ার্কে। রোমিং চার্জ কাটাকাটির ঝামেলা নেই। এমন সীমানাহীন সিম কার্ডের দেখা মিলছে এবার ইউরোপে। লুক্সেমবার্গ ও বেলজিয়াম এমন অনন্য দৃষ্টান্তই স্থাপন করেছে। পশ্চিম ইউরোপের বেলজিয়াম ও লুক্সেমবার্গের নীতিনির্ধারকেরা সম্প্রতি এই সমস্যার এক দারুণ সমাধান বের করেছেন।
এই দুটি দেশের সীমান্তে বরাবরই ভিড় লেগে থাকে। বহু সংখ্যক মানুষ নিয়মিত সীমান্ত পাড়ি দেয়। দুটি দেশের জনগণের সুবিধার্থে তারা ‘দুই দেশ এক সিম’ ধারণার একটি অনন্য নজির হাজির করেছে। এতে মোবাইল ফোন ব্যবহারকারীদের ওপর আলাদা কোনো রোমিং চার্জ থাকবে না এবং মোবাইল অপারেটরদের ব্যবসাতেও কোনো ক্ষতি হবে না।
যুগান্তকারী এই ধারণাটি হচ্ছে, একই সিম কার্ডের ভেতর দুই দেশের জন্য আলাদা দুটি নম্বর সেট করে রাখা। ধরুন, লুক্সেমবার্গের একজন নাগরিক নিজ দেশে অবস্থান করার সময় স্থানীয় অপারেটরের রেট অনুযায়ী বিল দেবেন বা ডেটা খরচ দেবেন। আবার তিনি যখন ব্রাসেলসে যাবেন তখন তিনি বেলজিয়ামের স্থানীয় অপারেটরের রেট অনুযায়ী সেই বিল পরিশোধ করবেন। লুক্সেমবার্গ ও বেলজিয়ামে এই সাফল্যে উৎসাহিত হয়ে দেশ দুটি এখন নেদারল্যান্ডস ও জার্মানিকেও একসূত্রে গাঁথার স্বপ্ন দেখছে। এই পদ্ধতি ইউরোপে নতুন সম্ভাবনার দুয়ার খুলছে।
এই মডেল আরও এগিয়ে গেলে হয়তো একটা সিম থেকেই আপনি দুনিয়ার যেকোনো দেশে গিয়ে সেখানকার স্থানীয় নেটওয়ার্ক থেকে কথা বলতে পারবেন অন্য যেকোনো নেটওয়ার্কে। ভিন্ন ভিন্ন নেটওয়ার্কে আপনার সিম কার্ডের কাজ করা আর সেখানে আপনার ফোন ব্যবহারের মাশুল মেটানোর চুক্তি হবে সংশ্লিষ্ট মোবাইল অপারেটর আর দেশগুলোর মধ্যে। অবশ্য তার আগে এ বিষয়ে প্রযুক্তিগত সামঞ্জস্য আসতে হবে নেটওয়ার্ক এবং মোবাইল ডিভাইসের মধ্যে।
ইউরোপীয় ইউনিয়নের কর্মকর্তারা দীর্ঘদিন ধরেই সদস্য দেশগুলোর মধ্যে রোমিং চুক্তি নিয়ে কথা বলে যাচ্ছেন। এমন চুক্তি হলে ইউরোপীয়রা যে দেশেই বা যেখানেই থাকুন না কেন মুক্তভাবে তাঁদের মোবাইল ফোন ব্যবহার করতে পারবেন। কিন্তু এমন চুক্তির বিরুদ্ধে প্রাণপণ লড়াই করে যাচ্ছে মোবাইল নেটওয়ার্ক অপারেটরেরা। রোমিং চুক্তি গ্রাহকদের জন্য সুবিধাজনক হলেও এতে নিজেদের ব্যবসায় লালবাতি জ্বলে যেতে পারে বলে আশঙ্কা করছে মোবাইল অপারেটররা।
মোবাইল নেটওয়ার্ক অপারেটরদের ব্যবসায়িক মডেল হচ্ছে তাঁরা সেবা পরিচালনার জন্য স্পেকট্রাম (তরঙ্গ) কেনে। এই স্পেকট্রাম একেক দেশে একেক দামে বিক্রি হয়। সাধারণত স্পেকট্রাম চড়া দামেই বিক্রি হতে দেখা যায়। তাই রোমিং চুক্তির বদলে যদি ইউরোপীয় ইউনিয়ন সদস্য দেশগুলোর মধ্যে স্পেকট্রাম বিক্রির বিষয়ে সমতা আনতে পারে সেটাই বেশি যুক্তিযুক্ত হবে বলে মনে করে অপারেটররা। ঘটনা এখনো সেদিকে না এগুলেও ইউরোপে নতুন একটি দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছে দুটি দেশ।
একটাই সিম কার্ড কাজ করবে দুটি আলাদা দেশে, আলাদা নেটওয়ার্কে। রোমিং চার্জ কাটাকাটির ঝামেলা নেই। এমন সীমানাহীন সিম কার্ডের দেখা মিলছে এবার ইউরোপে। লুক্সেমবার্গ ও বেলজিয়াম এমন অনন্য দৃষ্টান্তই স্থাপন করেছে। পশ্চিম ইউরোপের বেলজিয়াম ও লুক্সেমবার্গের নীতিনির্ধারকেরা সম্প্রতি এই সমস্যার এক দারুণ সমাধান বের করেছেন।
এই দুটি দেশের সীমান্তে বরাবরই ভিড় লেগে থাকে। বহু সংখ্যক মানুষ নিয়মিত সীমান্ত পাড়ি দেয়। দুটি দেশের জনগণের সুবিধার্থে তারা ‘দুই দেশ এক সিম’ ধারণার একটি অনন্য নজির হাজির করেছে। এতে মোবাইল ফোন ব্যবহারকারীদের ওপর আলাদা কোনো রোমিং চার্জ থাকবে না এবং মোবাইল অপারেটরদের ব্যবসাতেও কোনো ক্ষতি হবে না।
যুগান্তকারী এই ধারণাটি হচ্ছে, একই সিম কার্ডের ভেতর দুই দেশের জন্য আলাদা দুটি নম্বর সেট করে রাখা। ধরুন, লুক্সেমবার্গের একজন নাগরিক নিজ দেশে অবস্থান করার সময় স্থানীয় অপারেটরের রেট অনুযায়ী বিল দেবেন বা ডেটা খরচ দেবেন। আবার তিনি যখন ব্রাসেলসে যাবেন তখন তিনি বেলজিয়ামের স্থানীয় অপারেটরের রেট অনুযায়ী সেই বিল পরিশোধ করবেন। লুক্সেমবার্গ ও বেলজিয়ামে এই সাফল্যে উৎসাহিত হয়ে দেশ দুটি এখন নেদারল্যান্ডস ও জার্মানিকেও একসূত্রে গাঁথার স্বপ্ন দেখছে। এই পদ্ধতি ইউরোপে নতুন সম্ভাবনার দুয়ার খুলছে।
এই মডেল আরও এগিয়ে গেলে হয়তো একটা সিম থেকেই আপনি দুনিয়ার যেকোনো দেশে গিয়ে সেখানকার স্থানীয় নেটওয়ার্ক থেকে কথা বলতে পারবেন অন্য যেকোনো নেটওয়ার্কে। ভিন্ন ভিন্ন নেটওয়ার্কে আপনার সিম কার্ডের কাজ করা আর সেখানে আপনার ফোন ব্যবহারের মাশুল মেটানোর চুক্তি হবে সংশ্লিষ্ট মোবাইল অপারেটর আর দেশগুলোর মধ্যে। অবশ্য তার আগে এ বিষয়ে প্রযুক্তিগত সামঞ্জস্য আসতে হবে নেটওয়ার্ক এবং মোবাইল ডিভাইসের মধ্যে।