চিত্রনায়িকা নাজনীন আক্তার হ্যাপীর মামলায় ধর্ষণের অভিযোগ থেকে জাতীয় দলের ক্রিকেটার রুবেল হোসেনকে অব্যাহতি দিয়েছে আদালত।
পুলিশের দাখিল করা চূড়ান্ত প্রতিবেদন গ্রহণ করে ঢাকার ৫ নম্বর নারী-শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক তানজিনা ইসমাইল বুধবার এ আদেশ দেন।
চূড়ান্ত প্রতিবেদনে হ্যাপীর নারাজি আবেদনও বিচারক খারিজ করে দিয়েছেন বলে বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে জানিয়েছেন এ ট্রাইব্যুনালে রাষ্ট্রপক্ষের বিশেষ কৌঁসুলী আলী আসগর স্বপন।
‘কিছু আশা কিছু ভালবাসা’ চলচ্চিত্রের নায়িকা হ্যাপী এবং জাতীয় দলের পেসার রুবেল- দুজনেই আদেশের সময় আদালতে উপস্থিত ছিলেন।
আদেশের পর তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়ায় হ্যাপীর আইনজীবী তুহিন হাওলাদার বলেন, তারা এ আদেশের বিরুদ্ধে উচ্চ আদালতে যাবেন।
“বিচারক ক্রিকেটার রুবেল হোসেনকে গুরুত্ব দিয়েছেন, কিন্তু মামলার ঘটনাকে এবং মিথ্যা তদন্তকে গুরুত্ব দেন নাই। বিচারকসুলভ মনোভাব পোষণ করে তিনি এ আদেশ দেন নাই।”
এই আইনজীবী বলেন, “বিচারক ক্রিকেট দেখলেন, আইন দেখলেন না।”
বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে দৈহিক সম্পর্ক গড়ে তোলার অভিযোগে মিরপুর থানায় গত বছরের ১৩ ডিসেম্বর রুবেলের বিরুদ্ধে এ মামলা করেন হ্যাপী। তবে অভিযোগ অস্বীকার করে রুবেল বলে এসেছেন, এই তরুণী তাকে ‘ব্ল্য্যাকমেইল’ করছেন।
মামলার তদন্ত কর্মকর্তা পুলিশের নারী সহায়তা ও তদন্ত বিভাগের পরিদর্শক (ভিক্টিম সাপোর্ট সেন্টার) পরিদর্শক হালিমা খাতুন গত ৬ এপ্রিল মুখ্য মহানগর হাকিমের আদালতে চূড়ান্ত প্রতিবেদন দাখিল করেন।
প্রতিবেদনে বলা হয়, হ্যাপী ধর্ষণের যেসব আলামত উপস্থাপন করেছেন, তাতে অভিযোগের সত্যতা পাওয়া যায়নি। বাদীকে পরীক্ষা করে তিন সদস্যের মেডিকেল বোর্ডও বলেছে, জোর করে শারীরিক সম্পর্ক স্থাপনের কোনো আলামত তারা পাননি।
ঢাকার মহানগর হাকিম আতাউল হক চূড়ান্ত প্রতিবেদনটিসহ এ মামলার নথিপত্র শুনানির জন্য গত ১৩ এপ্রিল নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালে পাঠিয়ে দেন।
এর মধ্যে মামলাটি ট্রাইব্যুনালে উথ্থাপিত হওয়ার আগে প্রাণনাশের হুমকি পাওয়ার কথা বলে থানায় সাধারণ ডায়েরি করে চিত্রনায়িকা নাজনীন আক্তার হ্যাপী। তার অভিযোগ, শুনানিকে ঘিরে তাকে ফোনে কটূক্তি করা, প্রলোভন দেখানো, এমনকি হুমকিও দেওয়া হচ্ছে।
এরপর চূড়ান্ত প্রতিবেদনের গ্রহণযোগ্যতা নিয়ে শুনানির জন্য গত ১৭ মে মামলটি নারী-শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালে এলে হ্যাপী ওইদিন প্রতিবেদনে রুবেল হোসেনকে অব্যাহতি দেওয়ার বিষয়ে নারাজি আবেদন করেন।
তার আবেদেনে বলা হয়, মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ‘সাক্ষীদের সঙ্গে কথা না বলেই’ এ প্রতিবেদন তৈরি করেছেন। ‘মনগড়া তদন্তের মাধ্যমে’ তিনি আসামিকে অব্যাহতি দেওয়ার আবেদন করেছেন।
পুলিশের দেওয়া এই তদন্ত প্রতিবেদন বাতিল করে অধিকতর তদন্ত চাওয়া হয় হ্যাপীর ওই আবেদনে।
বুধবার এ বিষয়ে শুনানিতে হ্যাপী আদালতকে বলেন, “মামলার বিষয়ে তদন্ত কর্মকর্তা আমার কাছে কিছুই শোনেননি। আমার পক্ষের সাক্ষীদের সঙ্গেও কথা বলেননি।”
আলামত ‘পরীক্ষা না করেই’ প্রতিবেদন দেওয়া হয়েছে অভিযোগ করে এই অভিনেত্রী বলেন, “যখন আমার মেডিকেল পরীক্ষা করার দরকার ছিল তখন তা করেনি। অথচ আমি থানায় গিয়েছিলাম, আমি পরীক্ষা করতে বললে পুলিশ গড়িমসি করেছে। শারীরিক সম্পর্কের চিহ্ন নষ্ট হয়ে যওয়ার অনেক পরে পরীক্ষা করেছে।”
শুনানিতে যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক প্রেসিডেন্ট বিল ক্লিনটন ও মনিকা লিউনেস্কির সম্পর্কের আলোচিত ঘটনাও টেনে আনেন হ্যাপীর আইনজীবী আবদুল্লাহ মনসুর রিপন।
তিনি বলেন, “‘নো সাইন অফ রিসেন্ট ফোর্সফুল সেক্সুয়াল ইন্টরকোর্স’... এখানে ‘রিসেন্ট’ বলতে কী বোঝায়? আমরা তো বারবার তদন্ত কর্মকর্তার কাছে গিয়েছি এবং আমাদের যে আলামত একটি নাইটি, সাহারার লোগোযুক্ত জার্সি এবং পাপোশ, এগুলো তারা পরীক্ষা করেননি।”
তদন্ত কর্মকর্তা ‘অনিয়ম করেছেন’ বলেও তিনি অভিযোগ করেন।
এর বিরোধিতা করে রুবেলের আইনজীবী মাসুদ আহমেদ তালুকদার বলেন, “তদন্ত কর্মকর্তা সঠিক তথ্যই দিয়েছেন। চিকিৎসক দৈহিক মিলনের কোনো চিহ্ন পাননি।”
মামলা খারিজ হয়ে যাওয়ার পর হ্যাপীর আইনজীবী তুহিন হাওলাদার সাংবাদিকদের বলেন, “বিচারসুলভ মনোভাব থাকলে তিনি এ নারাজি আবেদনটি মঞ্জুর করে মামলাটি পুনঃতদন্তে পুলিশের অন্য কোনো কর্তৃপক্ষকে দিতে পারতেন অথবা বিচারক নিজেই মামলার গুরুত্ব বুঝে বাদীর বক্তব্য শুনে অভিযোগটি আমলে নিতে পারতেন।”
এ মামলায় বিশ্বকাপের আগে চার দিন কারাগারেও ছিলেন রুবেল। পরে জামিনে মুক্ত হয়ে তিনি বাংলাদেশের হয়ে বিশ্বকাপ ক্রিকেটে অংশ নেন।
রুবেলের বিশ্বকাপে খেলতে যাওয়া ঠেকাতে হাই কোর্টেও গিয়েছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়পড়ুয়া হ্যাপী, তবে আদালত তার সেই আবেদনে সাড়া দেয়নি।
পুলিশের দাখিল করা চূড়ান্ত প্রতিবেদন গ্রহণ করে ঢাকার ৫ নম্বর নারী-শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক তানজিনা ইসমাইল বুধবার এ আদেশ দেন।
চূড়ান্ত প্রতিবেদনে হ্যাপীর নারাজি আবেদনও বিচারক খারিজ করে দিয়েছেন বলে বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে জানিয়েছেন এ ট্রাইব্যুনালে রাষ্ট্রপক্ষের বিশেষ কৌঁসুলী আলী আসগর স্বপন।
‘কিছু আশা কিছু ভালবাসা’ চলচ্চিত্রের নায়িকা হ্যাপী এবং জাতীয় দলের পেসার রুবেল- দুজনেই আদেশের সময় আদালতে উপস্থিত ছিলেন।
আদেশের পর তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়ায় হ্যাপীর আইনজীবী তুহিন হাওলাদার বলেন, তারা এ আদেশের বিরুদ্ধে উচ্চ আদালতে যাবেন।
“বিচারক ক্রিকেটার রুবেল হোসেনকে গুরুত্ব দিয়েছেন, কিন্তু মামলার ঘটনাকে এবং মিথ্যা তদন্তকে গুরুত্ব দেন নাই। বিচারকসুলভ মনোভাব পোষণ করে তিনি এ আদেশ দেন নাই।”
এই আইনজীবী বলেন, “বিচারক ক্রিকেট দেখলেন, আইন দেখলেন না।”
বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে দৈহিক সম্পর্ক গড়ে তোলার অভিযোগে মিরপুর থানায় গত বছরের ১৩ ডিসেম্বর রুবেলের বিরুদ্ধে এ মামলা করেন হ্যাপী। তবে অভিযোগ অস্বীকার করে রুবেল বলে এসেছেন, এই তরুণী তাকে ‘ব্ল্য্যাকমেইল’ করছেন।
মামলার তদন্ত কর্মকর্তা পুলিশের নারী সহায়তা ও তদন্ত বিভাগের পরিদর্শক (ভিক্টিম সাপোর্ট সেন্টার) পরিদর্শক হালিমা খাতুন গত ৬ এপ্রিল মুখ্য মহানগর হাকিমের আদালতে চূড়ান্ত প্রতিবেদন দাখিল করেন।
প্রতিবেদনে বলা হয়, হ্যাপী ধর্ষণের যেসব আলামত উপস্থাপন করেছেন, তাতে অভিযোগের সত্যতা পাওয়া যায়নি। বাদীকে পরীক্ষা করে তিন সদস্যের মেডিকেল বোর্ডও বলেছে, জোর করে শারীরিক সম্পর্ক স্থাপনের কোনো আলামত তারা পাননি।
ঢাকার মহানগর হাকিম আতাউল হক চূড়ান্ত প্রতিবেদনটিসহ এ মামলার নথিপত্র শুনানির জন্য গত ১৩ এপ্রিল নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালে পাঠিয়ে দেন।
এর মধ্যে মামলাটি ট্রাইব্যুনালে উথ্থাপিত হওয়ার আগে প্রাণনাশের হুমকি পাওয়ার কথা বলে থানায় সাধারণ ডায়েরি করে চিত্রনায়িকা নাজনীন আক্তার হ্যাপী। তার অভিযোগ, শুনানিকে ঘিরে তাকে ফোনে কটূক্তি করা, প্রলোভন দেখানো, এমনকি হুমকিও দেওয়া হচ্ছে।
এরপর চূড়ান্ত প্রতিবেদনের গ্রহণযোগ্যতা নিয়ে শুনানির জন্য গত ১৭ মে মামলটি নারী-শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালে এলে হ্যাপী ওইদিন প্রতিবেদনে রুবেল হোসেনকে অব্যাহতি দেওয়ার বিষয়ে নারাজি আবেদন করেন।
তার আবেদেনে বলা হয়, মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ‘সাক্ষীদের সঙ্গে কথা না বলেই’ এ প্রতিবেদন তৈরি করেছেন। ‘মনগড়া তদন্তের মাধ্যমে’ তিনি আসামিকে অব্যাহতি দেওয়ার আবেদন করেছেন।
পুলিশের দেওয়া এই তদন্ত প্রতিবেদন বাতিল করে অধিকতর তদন্ত চাওয়া হয় হ্যাপীর ওই আবেদনে।
বুধবার এ বিষয়ে শুনানিতে হ্যাপী আদালতকে বলেন, “মামলার বিষয়ে তদন্ত কর্মকর্তা আমার কাছে কিছুই শোনেননি। আমার পক্ষের সাক্ষীদের সঙ্গেও কথা বলেননি।”
আলামত ‘পরীক্ষা না করেই’ প্রতিবেদন দেওয়া হয়েছে অভিযোগ করে এই অভিনেত্রী বলেন, “যখন আমার মেডিকেল পরীক্ষা করার দরকার ছিল তখন তা করেনি। অথচ আমি থানায় গিয়েছিলাম, আমি পরীক্ষা করতে বললে পুলিশ গড়িমসি করেছে। শারীরিক সম্পর্কের চিহ্ন নষ্ট হয়ে যওয়ার অনেক পরে পরীক্ষা করেছে।”
শুনানিতে যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক প্রেসিডেন্ট বিল ক্লিনটন ও মনিকা লিউনেস্কির সম্পর্কের আলোচিত ঘটনাও টেনে আনেন হ্যাপীর আইনজীবী আবদুল্লাহ মনসুর রিপন।
তিনি বলেন, “‘নো সাইন অফ রিসেন্ট ফোর্সফুল সেক্সুয়াল ইন্টরকোর্স’... এখানে ‘রিসেন্ট’ বলতে কী বোঝায়? আমরা তো বারবার তদন্ত কর্মকর্তার কাছে গিয়েছি এবং আমাদের যে আলামত একটি নাইটি, সাহারার লোগোযুক্ত জার্সি এবং পাপোশ, এগুলো তারা পরীক্ষা করেননি।”
তদন্ত কর্মকর্তা ‘অনিয়ম করেছেন’ বলেও তিনি অভিযোগ করেন।
এর বিরোধিতা করে রুবেলের আইনজীবী মাসুদ আহমেদ তালুকদার বলেন, “তদন্ত কর্মকর্তা সঠিক তথ্যই দিয়েছেন। চিকিৎসক দৈহিক মিলনের কোনো চিহ্ন পাননি।”
মামলা খারিজ হয়ে যাওয়ার পর হ্যাপীর আইনজীবী তুহিন হাওলাদার সাংবাদিকদের বলেন, “বিচারসুলভ মনোভাব থাকলে তিনি এ নারাজি আবেদনটি মঞ্জুর করে মামলাটি পুনঃতদন্তে পুলিশের অন্য কোনো কর্তৃপক্ষকে দিতে পারতেন অথবা বিচারক নিজেই মামলার গুরুত্ব বুঝে বাদীর বক্তব্য শুনে অভিযোগটি আমলে নিতে পারতেন।”
এ মামলায় বিশ্বকাপের আগে চার দিন কারাগারেও ছিলেন রুবেল। পরে জামিনে মুক্ত হয়ে তিনি বাংলাদেশের হয়ে বিশ্বকাপ ক্রিকেটে অংশ নেন।
রুবেলের বিশ্বকাপে খেলতে যাওয়া ঠেকাতে হাই কোর্টেও গিয়েছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়পড়ুয়া হ্যাপী, তবে আদালত তার সেই আবেদনে সাড়া দেয়নি।