মিসরের ক্ষমতাচ্যুত ও কারাবন্দি প্রেসিডেন্ট মোহাম্মদ মুরসিকে শনিবার মৃত্যুদণ্ড দিয়েছে সে দেশের একটি আদালত -ইন্টারনেটমিসরের ক্ষমতাচ্যুত প্রেসিডেন্ট মোহাম্মদ মুরসিকে মৃত্যুদণ্ড দিয়েছে দেশটির একটি আদালত। গুপ্তচরবৃত্তি এবং কারাভঙ্গ করে আসামিদের বের করে আনতে সহযোগিতার অভিযোগে স্থানীয় সময় শনিবার তাকে এ সাজা দেয়া হয়।
বার্তা সংস্থা এএফপির খবরে বলা হয়, মিসরে বিক্ষোভকারীদের ওপর সহিংস হামলায় উস্কানির দায়ে এরই মধ্যে ২০ বছরের কারাদ- ভোগ করছেন মুরসি।
মিসরে মুসলিম ব্রাদারহুড সমর্থিত দল ফ্রিডম অ্যান্ড জাস্টিস পার্টির এ নেতা ২০১৩ সালের জুলাইয়ে ক্ষমতাচ্যুত হন। এর পর থেকে মিসর শাসন করছেন সেনাশাসক আবদেল ফাত্তাহ আল-সিসি। তার পতনের পর থেকে মুসলিম ব্রাদারহুডের নেতাকর্মীদের ওপর ব্যাপক নিপীড়ন চালায় সরকার। এতে কয়েকশ' লোক নিহত হয়। কারাবন্দি করা হয়েছে ব্রাডারহুডের হাজার হাজার নেতাকর্মীকে।
মিসরের মানবাধিকার সংগঠনগুলোর অভিযোগ, প্রেসিডেন্ট সিসি আদালতকে নিপীড়নের মাধ্যম হিসেবে ব্যবহার করছেন।
২০১২ সালে প্রেসিডেন্ট থাকাকালে বিক্ষোভকারীদের বিরুদ্ধে সহিংসতায় উস্কানির দায়ে এপ্রিলে মুরসিকে ২০ বছরের কারাদ- দেয়া হয়। এ রায়কে 'বিচারের জন্য পরিহাসজনক' বলে মন্তব্য করেছে মানবাধিকার সংগঠন অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল।
মিসরে গণবিচারে প্রাথমিকভাবে মৃত্যুদণ্ড ঘোষণার পর এ বিষয়ে প্রধান মুফতির অনুমোদন নিতে হয়। এর পরের শুনানিতে চূড়ান্ত মৃত্যুদণ্ড ঘোষণা করা হয়।
শনিবার একটি মামলায় মোহাম্মদ মুরসি ছাড়াও ফিলিস্তিনের গাজার শাসক দল হামাস ও লেবাননভিত্তিক শিয়া মুসলমানদের সংগঠন হিজবুল্লাহর সদস্যসহ ১৩০ জনের বিচার হয়। তাদের বিরুদ্ধে ২০১১ সালে সাবেক প্রেসিডেন্ট হোসনি মোবারকবিরোধী অভ্যুত্থানের সময় কারাগার থেকে পলায়ন ও পুলিশের ওপর হামলার অভিযোগ আনা হয়েছে।
ওই ১৩০ জনের মধ্যে মুরসিসহ ২৭ জন বর্তমানে কারাভোগ করছেন। বাকিদের মধ্যে কাতারভিত্তিক ইসলামী চিন্তাবিদ ইউসুফ আল-কারজাভিও রয়েছেন। তাদের অনুপস্থিতিতেই বিচারকাজ চলছে।
২০১১ সালে শুরু হওয়া মোবারকবিরোধী অভ্যুত্থানে ৮৫০ জনের মতো লোক নিহত হয়। বিক্ষোভের চার বছর পর মিসরের অস্থিরতার জন্য মুসলিম ব্রাদারহুডকে দায়ী করা হয়।
মোবারকের পতনের পর ২০১২ সালের মে মাসে মিসরে ক্ষমতাসীন হয় ব্রাদারহুড। কিন্তু বছরখানেক পরই তাদের উৎখাত করেন সিসি।
৮৭ বছর বয়সী সংগঠনটিকে নির্মূলের অঙ্গীকারও করেছেন তিনি। ২০১৩ সালের ডিসেম্বরে ব্রাদারহুডকে সন্ত্রাসী সংগঠন হিসেবেও ঘোষণা করে মিসর।
গতকাল দ্বিতীয় মামলায় মুরসিসহ ৩৬ ব্রাদারহুড নেতার বিচার হয়। তাদের বিরুদ্ধে হামাস, ইরানসহ বিদেশি শক্তির সঙ্গে মিলে মিসরকে অস্থিতিশীল করার অভিযোগ আনা হয়েছে।
বার্তা সংস্থা এএফপির খবরে বলা হয়, মিসরে বিক্ষোভকারীদের ওপর সহিংস হামলায় উস্কানির দায়ে এরই মধ্যে ২০ বছরের কারাদ- ভোগ করছেন মুরসি।
মিসরে মুসলিম ব্রাদারহুড সমর্থিত দল ফ্রিডম অ্যান্ড জাস্টিস পার্টির এ নেতা ২০১৩ সালের জুলাইয়ে ক্ষমতাচ্যুত হন। এর পর থেকে মিসর শাসন করছেন সেনাশাসক আবদেল ফাত্তাহ আল-সিসি। তার পতনের পর থেকে মুসলিম ব্রাদারহুডের নেতাকর্মীদের ওপর ব্যাপক নিপীড়ন চালায় সরকার। এতে কয়েকশ' লোক নিহত হয়। কারাবন্দি করা হয়েছে ব্রাডারহুডের হাজার হাজার নেতাকর্মীকে।
মিসরের মানবাধিকার সংগঠনগুলোর অভিযোগ, প্রেসিডেন্ট সিসি আদালতকে নিপীড়নের মাধ্যম হিসেবে ব্যবহার করছেন।
২০১২ সালে প্রেসিডেন্ট থাকাকালে বিক্ষোভকারীদের বিরুদ্ধে সহিংসতায় উস্কানির দায়ে এপ্রিলে মুরসিকে ২০ বছরের কারাদ- দেয়া হয়। এ রায়কে 'বিচারের জন্য পরিহাসজনক' বলে মন্তব্য করেছে মানবাধিকার সংগঠন অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল।
মিসরে গণবিচারে প্রাথমিকভাবে মৃত্যুদণ্ড ঘোষণার পর এ বিষয়ে প্রধান মুফতির অনুমোদন নিতে হয়। এর পরের শুনানিতে চূড়ান্ত মৃত্যুদণ্ড ঘোষণা করা হয়।
শনিবার একটি মামলায় মোহাম্মদ মুরসি ছাড়াও ফিলিস্তিনের গাজার শাসক দল হামাস ও লেবাননভিত্তিক শিয়া মুসলমানদের সংগঠন হিজবুল্লাহর সদস্যসহ ১৩০ জনের বিচার হয়। তাদের বিরুদ্ধে ২০১১ সালে সাবেক প্রেসিডেন্ট হোসনি মোবারকবিরোধী অভ্যুত্থানের সময় কারাগার থেকে পলায়ন ও পুলিশের ওপর হামলার অভিযোগ আনা হয়েছে।
ওই ১৩০ জনের মধ্যে মুরসিসহ ২৭ জন বর্তমানে কারাভোগ করছেন। বাকিদের মধ্যে কাতারভিত্তিক ইসলামী চিন্তাবিদ ইউসুফ আল-কারজাভিও রয়েছেন। তাদের অনুপস্থিতিতেই বিচারকাজ চলছে।
২০১১ সালে শুরু হওয়া মোবারকবিরোধী অভ্যুত্থানে ৮৫০ জনের মতো লোক নিহত হয়। বিক্ষোভের চার বছর পর মিসরের অস্থিরতার জন্য মুসলিম ব্রাদারহুডকে দায়ী করা হয়।
মোবারকের পতনের পর ২০১২ সালের মে মাসে মিসরে ক্ষমতাসীন হয় ব্রাদারহুড। কিন্তু বছরখানেক পরই তাদের উৎখাত করেন সিসি।
৮৭ বছর বয়সী সংগঠনটিকে নির্মূলের অঙ্গীকারও করেছেন তিনি। ২০১৩ সালের ডিসেম্বরে ব্রাদারহুডকে সন্ত্রাসী সংগঠন হিসেবেও ঘোষণা করে মিসর।
গতকাল দ্বিতীয় মামলায় মুরসিসহ ৩৬ ব্রাদারহুড নেতার বিচার হয়। তাদের বিরুদ্ধে হামাস, ইরানসহ বিদেশি শক্তির সঙ্গে মিলে মিসরকে অস্থিতিশীল করার অভিযোগ আনা হয়েছে।