আন্তর্জাতিক

যুদ্ধ পরিস্থিতিতে শান্ত থাকার চেষ্টা করছে ভারত ও চীন


নজিরবিহীন সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ার পর আপাতত পরিস্থিতি স্থিতিশীল রাখতে চেষ্টা করছে ভারত ও চীন। দুদেশের সীমান্তে সংঘর্ষের পর ভারতের আনুমানিক ২৩ জনের মৃত্যু হয়েছে। চীনের হতাহতের সংখ্যা ৪৫ বলে দাবি করছে ভারত। কিন্তু চীন রয়েছে নিশ্চুপ।


লাদাখে নিয়ন্ত্রণরেখায় এই উত্তেজনা তৈরি হয়। হাতাহাতি শুরু হলে চীনা সৈন্যরা লাঠি ও রড দিয়ে ভারতীয় জওয়ানদের ওপর হামলা চালায়। দুই পক্ষের বেশ কয়েকজন গলওয়ান নদীতে পড়ে যায় বলে বিভিন্ন সূত্রে জানিয়েছে।

তবে এখন দুদেশই জানিয়েছে তারা পরিস্থিতি স্বাভাবিক করতে চায়। বুধবার ফোনে কথা বলেছেন ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর ও ওয়াং ই। লাদাখে ইতোমধ্যে জেনারেল শান্তি বৈঠক হয়েছে। চীনের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় বিবৃতিতে জানিয়েছে, সামরিক ও কূটনৈতিক স্তরে উভয় দেশের আলোচনা শুরু হয়েছে।

প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ক্ষমতায় আসার পর এই প্রথম এত বড় পরীক্ষার সম্মুখীন হলেন। তিনি ডেকেছেন সর্বদলীয় বৈঠক। সোনিয়া ও রাহুল গান্ধী বেশ কয়েকটি টুইটে প্রধানমন্ত্রীকে প্রশ্নে জর্জরিত করেছেন। শুক্রবার বিকেলে ভিডিও কনফারেন্সে বিরোধী নেতাদের সঙ্গে দেশের পরিস্থিতি নিয়ে তিনি আলোচনা করবেন।

ভারত ও চীন উভয়ই গলওয়ান নিজেদের বলে দাবি করছে।  চীনের মতে, তাদের নিজেদের ভূখণ্ডে ভারতীয় বাহিনী আইন লঙ্ঘন করেছে। তাই এই দায় চীনের নয়। ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী জয়শঙ্কর জানিয়েছেন, এই ঘটনা প্রতিবেশী দেশের সঙ্গে সম্পর্কে মারাত্মক প্রভাব ফেলবে।

সেনা নিহত হওয়ায় ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া জানাচ্ছেন ভারতবাসীরা। অনলাইনে শোক প্রকাশ চলছে। মোদি জানিয়েছেন, সেনাদের জীবনদান বৃথা যাবে না। দেশের অখণ্ডতা বজায় রাখতে কোনো সমঝোতা নয়।



এলএ/বাংলা টাইমস/এন/এইচ