মার্কিন প্রেসিডেন্ট
বারাক ওবামা সাবেক আল-কায়েদা নেতা
ওসামা বিন-লাদেনের বিরোধী অভিযান
সংক্রান্ত বিষয়ে মিথ্যা তথ্য দিয়েছেন।
তিনি নিজের ভূমিকাকে বড় করে দেখানো এবং
বিন লাদেন বিরোধী অভিযানের কৃতিত্ব
নেয়ার জন্য এ ক্ষেত্রে পাকিস্তানের বিশেষ
বাহিনীর ভূমিকার কথা ধামাচাপা দিয়েছেন।
পুলিৎজার পুরস্কার বিজয়ী যুক্তরাষ্ট্রের
খ্যাতনামা অনুসন্ধানী সাংবাদিক ও লেখক
সাইমুর হার্শ এক নিবন্ধে এ কথা বলেছেন।
তার এ নিবন্ধ লন্ডন বুক রিভিউ’তে প্রকাশিত
হয়েছে। এতে বলা হয়েছে, বিন লাদেনের লাশ
সাগরে ফেলে দেয়া হয়নি বরং তাকে
আফগানিস্তানে কবর দেয়া হয়েছে। যুক্তরাষ্ট্র
ও পাকিস্তানের সাবেক গোয়েন্দা সূত্রের
বরাত দিয়ে এ সব তথ্য দিয়েছেন হার্শ। বিন
লাদেন বিরোধী অভিযানকে অপারেশন নেপচুন
স্পেয়ার সাংকেতিক নামে পরিচিত। অপারেশন
নেপচুন স্পেয়ার সম্পর্কে যে সব তথ্য ও বিবৃতি
মার্কিন সরকার প্রকাশ করেছে তাকে
বানোয়াট এবং রূপকথা হিসেবে অভিহিত
করেছেন সাইমুর হার্শ। তিনি বলেছেন, এ
সংক্রান্ত হোয়াইট হাউজের বক্তব্য হয়তো
লিখেছেন (আজব দেশে এলিসের লেখক) লুইস
ক্যারোল।
সাইমুর হার্শ লিখেছেন, এবোটাবাদের
বাড়িতে বহু বছর ধরেই বিন লাদেনকে আটকে
রেখেছিল পাকিস্তানের সেনা গোয়েন্দা
সংস্থা আইএসআই। ২০১০ সালে পাকিস্তানের
এক পদস্থ গোয়েন্দা কর্মকর্তার কাছ থেকে
প্রথম ওসামার অবস্থান সম্পর্কে জানতে পারে
মার্কিন কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা। ওসামা
বিন-লাদেনের মস্তকের মূল্য ওয়াশিংটন
ঘোষণা করা হয়েছিল দুই কোটি ৫০ লাখ ডলার।
এ অর্থের লোভেই ওসামার অবস্থান সম্পর্কিত
তথ্য ফাঁস করে দেন এই পাকিস্তানি
কর্মকর্তা। ওই পাক কর্মকর্তা বর্তমানে
যুক্তরাষ্ট্রে বসবাস করছেন এবং সিআইএ’র
উপদেষ্টা হিসেবে কাজ করছেন বলে জানান
হার্শ। হার্শ বলেন, তার সম্পর্কে বেশি কিছু
বলা ঠিক হবে না। এছাড়া হার্শ আরো বলেন,
বিল-লাদেনকে খুঁজে বের করার জন্য কথিত
টিকাদান কর্মসূচিও চালানো হয়নি। বিন-
লাদেন বিরোধী অভিযানের পর টিকাদানের
গপ্প সাজানো হয়েছে। কথিত বার্তাবাহককে
আটক ও জিজ্ঞাসাবাদ করে লাদেনের অবস্থান
শনাক্ত করা গেছে বলে যে দাবি মার্কিন
কর্মকর্তারা করেছেন তাকেও মিথ্যা ও
বানোয়াট বলেছেন সাইমুর হার্শ।
কথিত অভিযান চালিয়ে বিন লাদেনকে হত্যার
বিষয় পাক কর্মকর্তাদের সঙ্গে আলোচনা
করেছেন মার্কিন শীর্ষ স্থানীয় কর্মকর্তারা।
এই অভিযান সম্পর্কে তৎকালীন পাক সেনা
কর্মকর্তা জেনারেল আশফাক পারভেজ কিয়ানি
এবং আইএসআই প্রধান জেনারেল আহমেদ শুজা
পাশাকে অবহিত করা হয়নি বলে যে কথা বলা
হয়েছে তাকে সরাসরি ডাহা মিথ্যা বলেছেন
হার্শ।
এছাড়া অভিযানের বহু আগে থেকে বিন
লাদেনের সঙ্গে সে সময় আল-কায়েদা চক্রের
কোনো যোগাযোগই ছিল না। দীর্ঘদিন ধরেই এ
যোগাযোগ বিছিন্ন করে দেয়া হয়েছিল বলেও
জানান হার্শ। অভিযানের দিন বিল-লাদেনের
বাসভবনের আশেপাশের পুরো এলাকার বিদ্যুৎ
সরবরাহ বন্ধ করে দেয় আইএসআই।
পাকিস্তানের ভূখ-ে মার্কিন হেলিকপ্টারকে
ঢুকতে যেন পাক বাহিনী বাধা না দেয় তাও
নিশ্চিত করেছে আইএসআই।
মার্কিন বিশেষ নৌ কমান্ডো সিল’এর সদস্যদের
সঙ্গে বিন লাদেন বিরোধী অভিযান চালানোর
সময় কোনো গুলি বিনিময়ের ঘটনা ঘটেনি
বলেও হার্শ জানিয়েছেন। তিনি বলেন,
কেবলমাত্র অসহায়, দুর্বল এবং নিরস্ত্র বিন-
লাদেনকে হত্যার জন্যেই এক তরফা গুলি
চালানো হয়েছে। বিন-লাদেনের বাসভবন
থেকে কোনো গোপন তথ্যেই উদ্ধার করা যায়নি
বলেও জানান হার্শ। বিন-লাদেনের লাশ
সাগরে ফেলে দেয়া হয়নি বরং তাকে
আফগানিস্তানে কবর দেয়া হয়েছে বলে দাবি
করেন হার্শ। হার্শ বলেন, যুক্তরাষ্ট্রের
কথিত সন্ত্রাস বিরোধী অভিযানে মিথ্যা তথ্য
দেয়া একট স্বাভাবিক বিষয়ে পরিণত হয়েছে।
এপি, ডিপিএ।
বারাক ওবামা সাবেক আল-কায়েদা নেতা
ওসামা বিন-লাদেনের বিরোধী অভিযান
সংক্রান্ত বিষয়ে মিথ্যা তথ্য দিয়েছেন।
তিনি নিজের ভূমিকাকে বড় করে দেখানো এবং
বিন লাদেন বিরোধী অভিযানের কৃতিত্ব
নেয়ার জন্য এ ক্ষেত্রে পাকিস্তানের বিশেষ
বাহিনীর ভূমিকার কথা ধামাচাপা দিয়েছেন।
পুলিৎজার পুরস্কার বিজয়ী যুক্তরাষ্ট্রের
খ্যাতনামা অনুসন্ধানী সাংবাদিক ও লেখক
সাইমুর হার্শ এক নিবন্ধে এ কথা বলেছেন।
তার এ নিবন্ধ লন্ডন বুক রিভিউ’তে প্রকাশিত
হয়েছে। এতে বলা হয়েছে, বিন লাদেনের লাশ
সাগরে ফেলে দেয়া হয়নি বরং তাকে
আফগানিস্তানে কবর দেয়া হয়েছে। যুক্তরাষ্ট্র
ও পাকিস্তানের সাবেক গোয়েন্দা সূত্রের
বরাত দিয়ে এ সব তথ্য দিয়েছেন হার্শ। বিন
লাদেন বিরোধী অভিযানকে অপারেশন নেপচুন
স্পেয়ার সাংকেতিক নামে পরিচিত। অপারেশন
নেপচুন স্পেয়ার সম্পর্কে যে সব তথ্য ও বিবৃতি
মার্কিন সরকার প্রকাশ করেছে তাকে
বানোয়াট এবং রূপকথা হিসেবে অভিহিত
করেছেন সাইমুর হার্শ। তিনি বলেছেন, এ
সংক্রান্ত হোয়াইট হাউজের বক্তব্য হয়তো
লিখেছেন (আজব দেশে এলিসের লেখক) লুইস
ক্যারোল।
সাইমুর হার্শ লিখেছেন, এবোটাবাদের
বাড়িতে বহু বছর ধরেই বিন লাদেনকে আটকে
রেখেছিল পাকিস্তানের সেনা গোয়েন্দা
সংস্থা আইএসআই। ২০১০ সালে পাকিস্তানের
এক পদস্থ গোয়েন্দা কর্মকর্তার কাছ থেকে
প্রথম ওসামার অবস্থান সম্পর্কে জানতে পারে
মার্কিন কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা। ওসামা
বিন-লাদেনের মস্তকের মূল্য ওয়াশিংটন
ঘোষণা করা হয়েছিল দুই কোটি ৫০ লাখ ডলার।
এ অর্থের লোভেই ওসামার অবস্থান সম্পর্কিত
তথ্য ফাঁস করে দেন এই পাকিস্তানি
কর্মকর্তা। ওই পাক কর্মকর্তা বর্তমানে
যুক্তরাষ্ট্রে বসবাস করছেন এবং সিআইএ’র
উপদেষ্টা হিসেবে কাজ করছেন বলে জানান
হার্শ। হার্শ বলেন, তার সম্পর্কে বেশি কিছু
বলা ঠিক হবে না। এছাড়া হার্শ আরো বলেন,
বিল-লাদেনকে খুঁজে বের করার জন্য কথিত
টিকাদান কর্মসূচিও চালানো হয়নি। বিন-
লাদেন বিরোধী অভিযানের পর টিকাদানের
গপ্প সাজানো হয়েছে। কথিত বার্তাবাহককে
আটক ও জিজ্ঞাসাবাদ করে লাদেনের অবস্থান
শনাক্ত করা গেছে বলে যে দাবি মার্কিন
কর্মকর্তারা করেছেন তাকেও মিথ্যা ও
বানোয়াট বলেছেন সাইমুর হার্শ।
কথিত অভিযান চালিয়ে বিন লাদেনকে হত্যার
বিষয় পাক কর্মকর্তাদের সঙ্গে আলোচনা
করেছেন মার্কিন শীর্ষ স্থানীয় কর্মকর্তারা।
এই অভিযান সম্পর্কে তৎকালীন পাক সেনা
কর্মকর্তা জেনারেল আশফাক পারভেজ কিয়ানি
এবং আইএসআই প্রধান জেনারেল আহমেদ শুজা
পাশাকে অবহিত করা হয়নি বলে যে কথা বলা
হয়েছে তাকে সরাসরি ডাহা মিথ্যা বলেছেন
হার্শ।
এছাড়া অভিযানের বহু আগে থেকে বিন
লাদেনের সঙ্গে সে সময় আল-কায়েদা চক্রের
কোনো যোগাযোগই ছিল না। দীর্ঘদিন ধরেই এ
যোগাযোগ বিছিন্ন করে দেয়া হয়েছিল বলেও
জানান হার্শ। অভিযানের দিন বিল-লাদেনের
বাসভবনের আশেপাশের পুরো এলাকার বিদ্যুৎ
সরবরাহ বন্ধ করে দেয় আইএসআই।
পাকিস্তানের ভূখ-ে মার্কিন হেলিকপ্টারকে
ঢুকতে যেন পাক বাহিনী বাধা না দেয় তাও
নিশ্চিত করেছে আইএসআই।
মার্কিন বিশেষ নৌ কমান্ডো সিল’এর সদস্যদের
সঙ্গে বিন লাদেন বিরোধী অভিযান চালানোর
সময় কোনো গুলি বিনিময়ের ঘটনা ঘটেনি
বলেও হার্শ জানিয়েছেন। তিনি বলেন,
কেবলমাত্র অসহায়, দুর্বল এবং নিরস্ত্র বিন-
লাদেনকে হত্যার জন্যেই এক তরফা গুলি
চালানো হয়েছে। বিন-লাদেনের বাসভবন
থেকে কোনো গোপন তথ্যেই উদ্ধার করা যায়নি
বলেও জানান হার্শ। বিন-লাদেনের লাশ
সাগরে ফেলে দেয়া হয়নি বরং তাকে
আফগানিস্তানে কবর দেয়া হয়েছে বলে দাবি
করেন হার্শ। হার্শ বলেন, যুক্তরাষ্ট্রের
কথিত সন্ত্রাস বিরোধী অভিযানে মিথ্যা তথ্য
দেয়া একট স্বাভাবিক বিষয়ে পরিণত হয়েছে।
এপি, ডিপিএ।