বিগত ত্রিশ দিনে বড় ধরনের ভূমিকম্প ঘটেছে
এগারোটি। ককোপো, পাপুয়া নিউগিনি: ছোটো খাটো ভূমিকম্পএকটি ধারাবহিক প্রক্রিয়া, কিন্তু বড় ধরনেরভূমিকম্প একটি ফলাফল। চলতি বছরের ২৯ মার্চবছরের প্রথম বড় ভূমিকম্পটি সংঘটিত হয় প্রশান্তমহাসাগরীয় দ্বীপরাষ্ট্র পাপুয়া নিউগিনিরককোপোয়, রিখটার স্কেলে এর মাত্রা ৭.৫।উৎপত্তিস্থল মূলত কোকোপে থেকে ৫৩ কিলোমিটারদক্ষিণ-পূর্বে, পাহাড়ি অঞ্চলে।হিহিফো, টোঙ্গা: পরদিন ৩০ মার্চ সংঘটিত হয় বড়ধরনের ভূমিকম্পের দ্বিতীয়টি। এর মাত্রা ৬.৪।উৎপত্তিস্থল দক্ষিণ প্রশান্ত মহাসাগরেভূমিকম্পের জন্যে অত্যন্ত অনুকূল ভূপ্রাকৃতিকবৈশিষ্ট্য সম্বলিত অস্ট্রেলীয় ভূস্তরের অন্তর্গতঅঞ্চল টোঙ্গার মূল শহর হিহিফা থেকে ১০৯কিলোমিটরা উত্তর-পূর্বে।হিহিফো, টোঙ্গা: পরবর্তী বড় ভূমিকম্পটিও একইঅঞ্চলে সংঘটিত হয় একই দিনে, সকাল ০৮টা ৪৮মিনিটে। এর উৎপত্তিস্থল হিহিফো থেকে ৯৯কিলোমিটার পূর্ব-উত্তরপূর্বে। রিখটার স্কেলে এরমাত্রা ছিল ৬.৫।হিহিফো, টোঙ্গা: এ অঞ্চলটি ইতোমধ্যে বছরেরসবচেয়ে ঝুঁকিপূর্ণ ভূমিকম্পপ্রবণ অঞ্চল হিসেবেপ্রমাণিত হয়ে গেছে। ৭ এপ্রিল তৃতীয় বারের মতোএবং বড় ভূমিকম্পের হিসেবে চতুর্থবারের মতোকেঁপে উঠে। এবার উৎপত্তিস্থল হিহিফো থেকে১০৫ কিলোমিটার উত্তর-পূর্বে। মাত্রা ৬.৩।সিগেভ, ওয়ালিস এবং ফুতুনা: টোঙ্গার প্রতিবেশীঅঞ্চল, একই প্লেটে অবস্থিত ভূমিকম্পপ্রবণ অঞ্চল।১৭ এপ্রিল ওয়ালিস এবং ফুতুনার শহর সিগেভ থেকে১৮৩ কিলোমিটার দক্ষিণ দক্ষিণ-পশ্চিম অঞ্চলে একম্পন সংঘটিত হয়। যার মাত্রা ৬.৫। অস্ট্রেলীয়প্লেটের পূর্বসীমায় অবস্থিত এ অঞ্চলে এখনও ঝুঁকিরয়ে গেছে আরও ভূকম্পনের।সুয়াও, তাইওয়ান: তাইওয়ানের সুয়াও অঞ্চলে ২০এপ্রিল সংঘটিত ভূমিকম্পনের মাত্রা ৬.৪।গুরুত্বপূর্ণ উপকূলীয় শহর সুয়াও থেকে দক্ষিণ-পূর্বাঞ্চলে এর উৎপত্তিস্থল। এটি ফিলিপাইন সীপ্লেটের অন্তর্গত। এর চারপাশে রয়েছে প্রশান্তএবং ইউরেশিয়া প্লেট। ফিলিপাইন প্লেট একাধিকপৃথক প্লেট পরিবেষ্টিত ঝুঁকিপূর্ণ ভূমিকম্পপ্রবণএলাকা।লাতা, সলোমন দ্বীপপুঞ্জ, ভানুয়াতু: ভানুয়াতু ভীষণএক ঘূর্ণিঝড়ের কবলে পড়ে গণমাধ্যমে কিছুকালআগেই আলোচনায় এসেছে। এর উত্তরাঞ্চলে অবস্থিতসলোমন দ্বীপপুঞ্জের নিকটস্থ লাতায় বড় ধরনেরভূমিকম্প সংঘটিত হয় ২২ এপ্রিল। লাতা থেকে ১৫৮কিলোমিটার দক্ষিণ দক্ষিণ-পূর্ব অঞ্চলে।ভূমিকম্পের মাত্রা ছিল ৬.৩ । এটি ভূকম্পপ্রবণঅস্ট্রেলীয় প্লেটের পূর্বাংশের অন্তর্ভুক্ত।বেলা বেলা, কানাডা: ২৪ এপ্রিল কানাডীয়পশ্চিম উপকূলবর্তী অঞ্চল বেলা বেলায় সংঘটিতহয় ৬.২ মাত্রার ভূমিকম্প। মূল বেলা বেলা থেকেভূমিকম্পের উৎপত্তিস্থল ১৮২ কিলোমিটার পশ্চিমদক্ষিণ-পশ্চিমে অবস্থিত।লামজুং, নেপাল: বছরের সবচেয়ে ভয়ঙ্করভূমিকম্পটি সংঘটিত হয় ২৫ এপ্রিল, নেপালেরলামজুং থেকে পূর্ব দক্ষিণ-পূর্বাঞ্চলীয় পাহাড়িএলাকায়। এর মাত্রা রিখটার স্কেলে ৭.৮।নেপালের এ অঞ্চলটিতে বড় ধরনের ভূপৃষ্ঠগত ত্রুটিরয়েছে। এখানে ভারতীয় প্লেটের ওপর ইউরোশীয়প্লেট উঠে রয়েছে। এবং পদার্থবিজ্ঞানের সূত্রঅনুযায়ী এটি বোঝা থেকে মুক্তি চায়। যাভবিষ্যতে আরও বড় ধরনের ভূমিকম্পের হুঁশিয়ারিদিয়ে যাচ্ছে।লামজুং, নেপাল: একই দিনে দ্বিতীয়বারের মতোভূমিকম্পনে আক্রান্ত হয় নেপাল। এর মাত্রা ৬.৬।লামজুং শহর থেকে এর উৎপত্তিস্থল ৪৯কিলোমিটার পূর্বাঞ্চলে। হিমালয় পর্বতশ্রেণীভারতীয় এবং ইউরেশীয় ভূখণ্ড-এর মধ্যখানেভূমিকম্পের বড় ধরনের প্রভাবক হিসেবে কাজকরতে পারে।কোদারি, নেপাল: নেপালের কোদারি থেকে মাত্র১৭ কিলোমিটার দক্ষিণে পাহাড়ি অঞ্চলে এরউৎপত্তিস্থল এবং রিখটার স্কেলে এর মাত্রা ৬.৭।এ কম্পনের পর আরও রিখটার স্কেলে ৫ মাত্রারআরও একটি ভূকম্পন সংঘটিত হয়। মহাদেশীয়ভূপৃষ্ঠগত সংঘর্ষ আগামী দিনগুলোয় আরও জোরালেহয়ে উঠলে আক্রান্ত হবে পাশ্ববর্তী দেশগুলোও।সূত্র: ইউএসজিএস; আর্থকোয়াক হ্যাজার্ডপ্রোগ্রাম।
এগারোটি। ককোপো, পাপুয়া নিউগিনি: ছোটো খাটো ভূমিকম্পএকটি ধারাবহিক প্রক্রিয়া, কিন্তু বড় ধরনেরভূমিকম্প একটি ফলাফল। চলতি বছরের ২৯ মার্চবছরের প্রথম বড় ভূমিকম্পটি সংঘটিত হয় প্রশান্তমহাসাগরীয় দ্বীপরাষ্ট্র পাপুয়া নিউগিনিরককোপোয়, রিখটার স্কেলে এর মাত্রা ৭.৫।উৎপত্তিস্থল মূলত কোকোপে থেকে ৫৩ কিলোমিটারদক্ষিণ-পূর্বে, পাহাড়ি অঞ্চলে।হিহিফো, টোঙ্গা: পরদিন ৩০ মার্চ সংঘটিত হয় বড়ধরনের ভূমিকম্পের দ্বিতীয়টি। এর মাত্রা ৬.৪।উৎপত্তিস্থল দক্ষিণ প্রশান্ত মহাসাগরেভূমিকম্পের জন্যে অত্যন্ত অনুকূল ভূপ্রাকৃতিকবৈশিষ্ট্য সম্বলিত অস্ট্রেলীয় ভূস্তরের অন্তর্গতঅঞ্চল টোঙ্গার মূল শহর হিহিফা থেকে ১০৯কিলোমিটরা উত্তর-পূর্বে।হিহিফো, টোঙ্গা: পরবর্তী বড় ভূমিকম্পটিও একইঅঞ্চলে সংঘটিত হয় একই দিনে, সকাল ০৮টা ৪৮মিনিটে। এর উৎপত্তিস্থল হিহিফো থেকে ৯৯কিলোমিটার পূর্ব-উত্তরপূর্বে। রিখটার স্কেলে এরমাত্রা ছিল ৬.৫।হিহিফো, টোঙ্গা: এ অঞ্চলটি ইতোমধ্যে বছরেরসবচেয়ে ঝুঁকিপূর্ণ ভূমিকম্পপ্রবণ অঞ্চল হিসেবেপ্রমাণিত হয়ে গেছে। ৭ এপ্রিল তৃতীয় বারের মতোএবং বড় ভূমিকম্পের হিসেবে চতুর্থবারের মতোকেঁপে উঠে। এবার উৎপত্তিস্থল হিহিফো থেকে১০৫ কিলোমিটার উত্তর-পূর্বে। মাত্রা ৬.৩।সিগেভ, ওয়ালিস এবং ফুতুনা: টোঙ্গার প্রতিবেশীঅঞ্চল, একই প্লেটে অবস্থিত ভূমিকম্পপ্রবণ অঞ্চল।১৭ এপ্রিল ওয়ালিস এবং ফুতুনার শহর সিগেভ থেকে১৮৩ কিলোমিটার দক্ষিণ দক্ষিণ-পশ্চিম অঞ্চলে একম্পন সংঘটিত হয়। যার মাত্রা ৬.৫। অস্ট্রেলীয়প্লেটের পূর্বসীমায় অবস্থিত এ অঞ্চলে এখনও ঝুঁকিরয়ে গেছে আরও ভূকম্পনের।সুয়াও, তাইওয়ান: তাইওয়ানের সুয়াও অঞ্চলে ২০এপ্রিল সংঘটিত ভূমিকম্পনের মাত্রা ৬.৪।গুরুত্বপূর্ণ উপকূলীয় শহর সুয়াও থেকে দক্ষিণ-পূর্বাঞ্চলে এর উৎপত্তিস্থল। এটি ফিলিপাইন সীপ্লেটের অন্তর্গত। এর চারপাশে রয়েছে প্রশান্তএবং ইউরেশিয়া প্লেট। ফিলিপাইন প্লেট একাধিকপৃথক প্লেট পরিবেষ্টিত ঝুঁকিপূর্ণ ভূমিকম্পপ্রবণএলাকা।লাতা, সলোমন দ্বীপপুঞ্জ, ভানুয়াতু: ভানুয়াতু ভীষণএক ঘূর্ণিঝড়ের কবলে পড়ে গণমাধ্যমে কিছুকালআগেই আলোচনায় এসেছে। এর উত্তরাঞ্চলে অবস্থিতসলোমন দ্বীপপুঞ্জের নিকটস্থ লাতায় বড় ধরনেরভূমিকম্প সংঘটিত হয় ২২ এপ্রিল। লাতা থেকে ১৫৮কিলোমিটার দক্ষিণ দক্ষিণ-পূর্ব অঞ্চলে।ভূমিকম্পের মাত্রা ছিল ৬.৩ । এটি ভূকম্পপ্রবণঅস্ট্রেলীয় প্লেটের পূর্বাংশের অন্তর্ভুক্ত।বেলা বেলা, কানাডা: ২৪ এপ্রিল কানাডীয়পশ্চিম উপকূলবর্তী অঞ্চল বেলা বেলায় সংঘটিতহয় ৬.২ মাত্রার ভূমিকম্প। মূল বেলা বেলা থেকেভূমিকম্পের উৎপত্তিস্থল ১৮২ কিলোমিটার পশ্চিমদক্ষিণ-পশ্চিমে অবস্থিত।লামজুং, নেপাল: বছরের সবচেয়ে ভয়ঙ্করভূমিকম্পটি সংঘটিত হয় ২৫ এপ্রিল, নেপালেরলামজুং থেকে পূর্ব দক্ষিণ-পূর্বাঞ্চলীয় পাহাড়িএলাকায়। এর মাত্রা রিখটার স্কেলে ৭.৮।নেপালের এ অঞ্চলটিতে বড় ধরনের ভূপৃষ্ঠগত ত্রুটিরয়েছে। এখানে ভারতীয় প্লেটের ওপর ইউরোশীয়প্লেট উঠে রয়েছে। এবং পদার্থবিজ্ঞানের সূত্রঅনুযায়ী এটি বোঝা থেকে মুক্তি চায়। যাভবিষ্যতে আরও বড় ধরনের ভূমিকম্পের হুঁশিয়ারিদিয়ে যাচ্ছে।লামজুং, নেপাল: একই দিনে দ্বিতীয়বারের মতোভূমিকম্পনে আক্রান্ত হয় নেপাল। এর মাত্রা ৬.৬।লামজুং শহর থেকে এর উৎপত্তিস্থল ৪৯কিলোমিটার পূর্বাঞ্চলে। হিমালয় পর্বতশ্রেণীভারতীয় এবং ইউরেশীয় ভূখণ্ড-এর মধ্যখানেভূমিকম্পের বড় ধরনের প্রভাবক হিসেবে কাজকরতে পারে।কোদারি, নেপাল: নেপালের কোদারি থেকে মাত্র১৭ কিলোমিটার দক্ষিণে পাহাড়ি অঞ্চলে এরউৎপত্তিস্থল এবং রিখটার স্কেলে এর মাত্রা ৬.৭।এ কম্পনের পর আরও রিখটার স্কেলে ৫ মাত্রারআরও একটি ভূকম্পন সংঘটিত হয়। মহাদেশীয়ভূপৃষ্ঠগত সংঘর্ষ আগামী দিনগুলোয় আরও জোরালেহয়ে উঠলে আক্রান্ত হবে পাশ্ববর্তী দেশগুলোও।সূত্র: ইউএসজিএস; আর্থকোয়াক হ্যাজার্ডপ্রোগ্রাম।