ইউরোপ

রাশিয়াই উড়িয়েছে খেরসনের বাঁধ: নিউইয়র্ক টাইমস

রাশিয়ার নিয়ন্ত্রণাধীন ইউক্রেনের দক্ষিণাঞ্চলের ‘নোভা কাখোভকা’ জলবিদ্যুৎ প্রকল্পের বাঁধ উড়িয়ে দেওয়া নিয়ে এখনও পরস্পরকে দুষছে মস্কো ও কিয়েভ। এ নিয়ে বিস্ফোরক তথ্য সামনে এনেছে দ্য নিউ ইয়র্ক টাইমস। প্রমাণ বলছে, চলতি মাসে রুশ হামলায় ‘কাখোভকা বাঁধ’ ধ্বংস হয়েছিল। প্রকৌশলী ও বিস্ফোরক বিশেষজ্ঞদের বরাতে মার্কিন সংবাদমাধ্যমটি শুক্রবার (১৭ এপ্রিল) জানিয়েছে, তদন্তে প্রমাণ পাওয়া গেছে বাঁধের কংক্রিটের মাঝের একটি গিরিপথে বিস্ফোরণ ঘটানো হয়। নিউইয়র্ক টাইমস আরও জানিয়েছে, ‘যে প্রমাণগুলো পাওয়া গেছে তাতে স্পষ্টভাবে বোঝায় যাচ্ছে বাঁধটি রুশ নিয়ন্ত্রণকারীদের বিস্ফোরকেই বিকল হয়ে যায়।’ এদিকে ইউক্রেনের প্রসিকিউটরদের তদন্তে সহায়তাকারী আন্তর্জাতিক আইন বিশেষজ্ঞদের একটি দল অনুসন্ধান চালিয়ে যাচ্ছে। তাদের প্রাথমিক অনুসন্ধানে শুক্রবার জানা গেছে, খেরসনে রাশিয়ার বিস্ফোরক দ্রব্যের কারণেই ‘খুব সম্ভবত’ ধ্বংস হয়েছে এটি। যদিও জলবিদ্যুৎ বাঁধে নাশকতার পেছনে কিয়েভকে অভিযুক্ত করেছে ক্রেমলিন। রুশ বাহিনীর বিরুদ্ধে দীর্ঘ প্রতীক্ষিত পাল্টা আক্রমণের মনোযোগ সরিয়ে আনতেই এই ঘটনা ঘটিয়েছে বলে দাবি তাদের। কিয়েভ বলছে, সোভিয়েত আমলে নির্মিত এই জলবিদ্যুৎ প্রকল্পের বাঁধ বিপর্যয়ে ইউক্রেনের বিস্তৃর্ণ এলাকা প্লাবিত হয়ে চরম ভোগান্তিতে হাজার হাজার মানুষ। তবে বার্তা সংস্থা রয়টার্স বিস্ফোরণের ঘটনায় রাশিয়া জড়িত রয়েছে কিনা নিউ ইয়র্ক টাইমসের প্রতিবেদনের সত্যতা যাচাই করতে পারেনি। ২০২২ সালে ইউক্রেনে সর্বাত্মক আক্রমণ শুরুর পর এটি মস্কোর দখলে চলে যায়। নোভা কাখোভকা বাঁধটি কেন গুরুত্বপূর্ণ? গত ৬ জুন ভোরে গুরুত্বপূর্ণ বাঁধটির একাংশ উড়িয়ে দেওয়া হয়। সোভিয়েত আমলে প্রায় ৯৮ ফুট প্রশস্ত এবং ৩ দশমিক ২ কিলোমিটার দৈর্ঘ্যর বাঁধটি ১৯৫৬ সালে কাখোভকা জলবিদ্যুৎ কেন্দ্রের অংশ হিসেবে ডিনিপ্রো নদীতে নির্মাণ করা হয়। এটি নদীর পানি প্রবাহ ধরে রাখতে সহায়ক। এই জলাধারে ১৮ কিউবিক কিলোমিটার জল রয়েছে, যা ইউটাহের গ্রেট সল্ট লেকের সমান। এর জলাধার থেকে দক্ষিণ ক্রিমিয়া উপদ্বীপেও পৌঁছে যায় পানি। যা ২০১৪ সালে ইউক্রেন থেকে জোরপূর্বক নিয়ন্ত্রণে নেয় রাশিয়া। এখন বাঁধে বিপর্যয়ে ক্রিমিয়াসহ দক্ষিণ ইউক্রেনের বেশিরভাগ অংশে সেচ প্রদানকারী খাল ভয়াবহ ক্ষতির মুখে।



এলএবাংলাটাইমস/আইটিএলএস