বাংলাদেশ

ডাকাত দেখে অসুস্থ ব্যবসায়ীকে পানি পান করিয়ে সুস্থ করার পর টাকা-স্বর্ণালংকার লুট

প্রতিদিনের মতো রাতের খাবার শেষে ঘুমাতে গিয়েছিলেন ব্যবসায়ী সোবাহান হাওলাদার (৬০)। এইসময় তার ঘরে হঠাৎ হানা দেয় ডাকাতদল। মুখোশ পড়া ডাকাতদের দেখে অসুস্থ হয়ে পড়েন ওই ব্যবসায়ী। কিন্তু ডাকাতেরা তার সেবাযত্ন শেষে লুট করে নেয় স্বর্ণালংকার। গতকাল সোমবার দিবাগত রাত দুইটার দিকে পটুয়াখালীর মির্জাগঞ্জ উপজেলার আমড়াগাছিয়া ইউনিয়নের দক্ষিণ আমড়াগাছিয়া গ্রামে এই ঘটনা ঘটে। এ ছাড়া একই বাড়ির সোবাহান হাওলাদারের ভাতিজা আধা পাকা ঘরের দরজা ভেঙে ডাকাত দল টাকা ও স্বর্ণালংকার লুট করেছে। ভুক্তভোগীরা জানান, রাত ২টার দিকে হঠাৎ ডাকাতরা ঘরে ঢুকে পড়ে। এইসময় তাদের মুখ কাপড়ে ঢাকা ছিল। ঘরে ঢুকেই ডাক-চিৎকার না করতে হুঁশিয়ারি দেয় তারা। ডাক–চিৎকার না দেওয়ায় ডাকাতেরা তাদের সঙ্গে খারাপ আচরণ করেনি। এইসময় পাশাপাশি দুই ঘর থেকে সাড়ে তিন ভরি স্বর্ণালংকার, ৩৮ হাজার টাকা ও অন্যান্য মালামাল লুট করা হয়েছে। ভুক্তভোগীরা হলেন সুবিদখালী বাজারের ওষুধের ব্যবসায়ী সোবাহান হাওলাদার ও তার ভাতিজা ঝাটিবুনিয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক জহিরুল ইসলাম। জহিরুল ইসলাম জানান, রাত ২টার দিকে বৈরী আবহাওয়া ছিল। বৃষ্টির মধ্যে মুখোশ পরা একদল ডাকাত তার ঘরের দরজা ভেঙে প্রবেশ করে কাপড় দিয়ে সবার চোখ-মুখ বেঁধে ফেলে। তারা নিজেদের ডাকাত পরিচয় দেয় এবং ঘরের সব আসবাব তছনছ করে ১৮ হাজার টাকা ও আড়াই ভরি ওজনের স্বর্ণালংকার এবং অন্যান্য মালামাল নিয়ে পালিয়ে যায়। ব্যবসায়ী সোবাহান হাওলাদার বলেন, আমি ও আমার স্ত্রী এই সময় ঘরে ছিলাম। কতজন ডাকাত ঘরের বাইরে ছিল, আমরা জানি না। তবে আমার কক্ষে তিনজন ঢুকেছিল। তারা আমাদের কোনো আঘাত করেনি, বরং আমি ভয়ে অসুস্থ হয়ে পড়লে তারা আমার সেবাযত্ন করে। এই সময় ডাকাতেরা আমাকে পানি খেতে দেয়। পরে একাধিক আলমারি ভেঙে ১ ভরি ওজনের স্বর্ণের চেইন, ১০ হাজার টাকা ও অন্যান্য মালামাল নিয়ে চলে যায়। ডাকাতদল এক থেকে দেড় ঘণ্টা ঘরের বিভিন্ন আসবাব তছনছ করে। মির্জাগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা শামীম হাওলাদার বলেন, খবর পেয়ে ইতোমধ্যে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছি। ভুক্তভোগীরা অভিযোগ দিলে পরবর্তী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

এলএবাংলাটাইমস/আইটিএলএস