পাহাড়ের সবচেয়ে বড় সাংস্কৃতিক উৎসব ‘বৈসাবি’ উপলক্ষে রাঙামাটিতে চলছে বর্ণিল আয়োজন। বৌদ্ধ ধর্মাবলম্বী আদিবাসী জনগোষ্ঠীর বিভিন্ন সম্প্রদায়ের ঐতিহ্যবাহী উৎসব—বিজুকে ঘিরে পুরো শহর এখন উৎসবমুখর। পুরনো বছরের গ্লানি ঝেড়ে নতুন বছরকে বরণ করে নিতে রাঙামাটি শহরের সড়ক জুড়ে চলছে উৎসবের আমেজ। আজ বুধবার সকাল থেকে রাঙামাটি শহরের প্রধান প্রধান সড়কে অনুষ্ঠিত হয় বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রা।
হাজারো পাহাড়ি নারী-পুরুষ রঙিন পোশাকে সেজে এই বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রায় অংশ নেন। তাদের পাদচারণায় মুখর পুরো শহর। ঢোল, বাদ্যযন্ত্র আর লোকজ সুরের তালে তালে নেচে গেয়ে তাঁরা এগিয়ে যান রাঙামাটি পৌরসভা প্রাঙ্গণ থেকে রাজবাড়ী শিল্পকলা একাডেমীর দিকে।
আসন্ন বৈসাবি উপলক্ষে আজ থেকে শুরু হয়েছে চার দিনব্যাপী নানা আয়োজন। এরই মধ্যে রয়েছে বল খেলা, আদিবাসী খেলাধুলা, শিশুদের চিত্রাঙ্কন প্রতিযোগিতা, কবিতা পাঠ, ফুল বিদানের অনুষ্ঠান, আলোচনা সভা ও পুরস্কার বিতরণ।
আগামী ১২ এপ্রিল ভোরে চাকমা সম্প্রদায়ের তরুণ-তরুণীরা দীঘিনালার দীবাখালে গিয়ে ফুল তুলে ‘ফুল বিজু’ উৎসব উদযাপন করবেন। পরদিন ১৩ এপ্রিল অনুষ্ঠিত হবে মূল বিজু এবং ১৪ এপ্রিল পালিত হবে পহেলা বৈশাখ। একই দিনে ত্রিপুরা সম্প্রদায়ের বৈসু ও মারমা সম্প্রদায়ের ঐতিহ্যবাহী জলকেলি বা ‘পানিখেলা’ অনুষ্ঠিত হবে।
বৈসাবি উৎসব পাহাড়ের সংস্কৃতি ও সম্প্রীতির এক মিলনমেলা। এই উৎসবের মাধ্যমে পাহাড়ের মানুষ নববর্ষকে বরণ করে নেন আনন্দ, শান্তি ও শুভকামনায়।
এলএবাংলাটাইমস/আইটিএলএস
এলএবাংলাটাইমস/আইটিএলএস