বাংলাদেশ

জুলাইতে শিশু আন্দোলনকারীকে ছোঁড়া হয় ২০০ গুলি, রক্তক্ষরণে মৃত্যু

জাতিসংঘের মানবাধিকার বিষয়ক হাইকমিশনারের কার্যালয়ের এক প্রতিবেদনে ২০২৪ সালের জুলাই-আগস্টে বাংলাদেশে সংঘটিত বিক্ষোভে মানবাধিকার লঙ্ঘনের ভয়াবহ চিত্র উঠে এসেছে। প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ওই সময়ের মধ্যে সংঘর্ষে ১,৪০০ জন নিহত হয়েছেন, যার মধ্যে শতাধিক ছিল শিশু। এপ্রসঙ্গে ইউনিসেফের বাংলাদেশ প্রতিনিধি রানা ফ্লাওয়ার্স এক বিবৃতিতে বলেন, "এই প্রতিবেদন হৃদয়বিদারক এবং গভীরভাবে উদ্বেগজনক।" তিনি জানান, ইউনিসেফ ইতিমধ্যে শিশুদের মৃত্যু ও আহত হওয়ার ঘটনা পর্যবেক্ষণ করছে এবং প্রকৃত সংখ্যা নিশ্চিত করতে কাজ চালিয়ে যাচ্ছে। শিশু ও নারীদের ওপর সহিংসতা
প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে, নারীদের বিক্ষোভে অংশগ্রহণ থেকে বিরত রাখতে শারীরিক নির্যাতন ও ধর্ষণের হুমকি দেওয়া হয়েছে, যা স্পষ্টতই গুরুতর মানবাধিকার লঙ্ঘন। শিশুদেরও এই সহিংসতা থেকে রেহাই মেলেনি; অনেক শিশুকে হত্যা করা হয়েছে, পঙ্গু করে দেওয়া হয়েছে, নির্বিচারে গ্রেপ্তার করা হয়েছে এবং অমানবিক পরিবেশে আটক রেখে নির্যাতন করা হয়েছে।  
একটি মর্মান্তিক ঘটনা ঘটে ঢাকার ধানমন্ডিতে, যেখানে ২০০টি ধাতব গুলি ছোড়ার ফলে ১২ বছর বয়সী এক বিক্ষোভকারী অভ্যন্তরীণ রক্তক্ষরণে মারা যায়। নারায়ণগঞ্জে ছয় বছর বয়সী এক কন্যাশিশু বাড়ির ছাদে দাঁড়িয়ে সংঘর্ষ প্রত্যক্ষ করার সময় মাথায় গুলিবিদ্ধ হয়। বিক্ষোভের অন্যতম ভয়াবহ দিন ছিল ৫ আগস্ট। আজমপুরের ১২ বছর বয়সী এক শিশু জানায়, "সব জায়গায় বৃষ্টির মতো গুলি চলছিল", এবং সে অন্তত এক ডজন মৃতদেহ দেখতে পেয়েছিল। 'আর কখনোই যেন এমনটি না ঘটে'
এই ভয়াবহ চিত্রের প্রেক্ষিতে ইউনিসেফ বাংলাদেশের জনগণের প্রতি আহ্বান জানিয়েছে, যেন শিশুদের এমন সহিংসতার শিকার হতে না হয়। সংস্থাটি জোর দিয়ে বলেছে, বাংলাদেশের শিশুদের সুরক্ষা নিশ্চিত করা সবার দায়িত্ব এবং ভবিষ্যতে এ ধরনের ঘটনা প্রতিরোধে কার্যকর ব্যবস্থা নিতে হবে।

এলএবাংলাটাইমস/আইটিএলএস