বাংলাদেশ

শিক্ষার্থী আবু সাঈদ নিহত হওয়ার এক মাস পর হত্যা মামলা

রংপুরে কোটা সংস্কার আন্দোলনে পুলিশের গুলিতে বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী আবু সাঈদ নিহত হওয়ার এক মাস পর হত্যা মামলা দায়ের করেছে সাঈদের বড়ভাই রমজান আলী। এতে আসামি করা হয়েছে তৎকালীন পুলিশের সাবেক আইজিপি চৌধুরী আব্দুল্লাহ মামুন, রংপুর রেঞ্জের সাবেক ডিআইজি মো. আব্দুল বাতেন, মহানগর পুলিশের সাবেক কমিশনার মোহাম্মদ মনিরুজ্জামান, মহানগর পুলিশের কর্মকর্তা, বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক-কর্মচারী, শাখা ছাত্রলীগের নেতা কর্মীরাসহ অজ্ঞাত দেড়শ জনকে।
রোববার (১৮ আগস্ট) বেলা ১১টায় রংপুর চিফ জুডিসিয়াল আদালতে মামলার আবেদন করেন আবু সাঈদের ভাই রমজান আলী। আদালতের বিচারক রাজু আহমেদ বাবু মামলাটিকে এজাহার হিসেবে গ্রহণের জন্য তাজহাট থানাকে নির্দেশ দেন।
মামলায় আসামি করা হয়েছে, মহানগর পুলিশের এএসআই আমির আলী, কনস্টেবল সুজন চন্দ্র রায়, বেরোবি শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি পোমেল বড়ুয়া, মেট্রোপলিটন কোতোয়ালি জোনের সহকারি পুলিশ কমিশনার মোহাম্মদ আরিফুজ্জামান, পরশুরাম জোনের সহকারি কমিশনার আল ইমরান হোসেন, উপ-পুলিশ কমিশনার আবূ মারুফ হোসেন, বেগম রোকেয়ার প্রক্টর অফিসের কর্মকর্তা রাফিউল হাসান রাসেল, গণিত বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক মশিউর রহমান, লোক প্রশাসন বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক আসাদুজ্জামান মন্ডল, বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্প ইনচার্জ এসআই বিভূতিভূষণ, তাজহাট মেট্রোপলিটন থানার ওসি রবিউল ইসলাম, বেরোবি শাখা ছাত্রলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক ধনঞ্জয় কুমার টগর, দপ্তর সম্পাদক বাবুল হোসেন, সাধারণ সম্পাদক শামীম মাহফুজসহ অজ্ঞাতনামা আরো ১৫০ জনকে আসামি করা হয়েছে। বাদী পক্ষের আইনজীবী এডভোকেট রায়হানুজ্জামান বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী আবু সাঈদ হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত ১৭ জনের নাম এজাহারে উল্লেখ করে অজ্ঞাত আরো ১৫০ জনকে আসামি করা হয়েছে। আদালত মেট্রোপলিটন তাজহাট থানাকে ‘ট্রিট ফর এজাহার’ হিসাবে গ্রহণের জন্য নির্দেশ দিয়েছেন। পুলিশ চাইলে আসামিদের যেকোন সময় গ্রেপ্তার করতে পারবে। তবে যেহেতু পুলিশের বিরুদ্ধে মামলা করা হয়েছে তাই জুডিশিয়াল ইনকোয়ারির জন্য আদালতকে জানানো হয়েছে বলে জানান।   এলএবাংলাটাইমস/আইটিএলএস