সারা দেশে উদযাপিত হচ্ছে পবিত্র ঈদুল আজহা। ঈদ উদযাপনে দেশের প্রতিটি অলি-গলি-মহল্লায় পছন্দের পশু কোরবানি করছেন মুসল্লিরা। রাজধানী ঢাকাও এর ব্যতিক্রম না। তবে পশু কোববানির সঙ্গে তাল মিলিয়ে আজ সকাল থেকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে বেড়েছে রোগীদের আনাগোনা। চিকিৎসকরা বলছেন, নতুন এসব রোগীদের ৮৬ শতাংশই মৌসুমি কসাই।
এদিন ঢামেক হাসপাতালে গিয়ে দেখা যায়, সকাল থেকে অন্তত ৬০ জন নতুন রোগী এসেছেন। তাদের কারও কেটেছে হাত, কারও পা। কারও আবার গরুর আঘাতে ভেঙেছে হাত-পা। এদের মধ্যে ৫২ জনই মৌসুমি কসাই।
প্রতিবছর রাজধানীসহ সারা দেশে বিপুল সংখ্যক পশু কোরবানি দেওয়া হয়। মজুরি ভালো হওয়ায় পেশাদার কসাইয়ের পাশাপাশি এদিন মাংস প্রক্রিয়ার কাজ করেন নিম্ন আয়ের মানুষরা। তারাই মূলত মৌসুমি কসাই। ঢামেকের ক্যাজুয়ালিটি বিভাগের সহকারী অধ্যাপক ডা. অরিফ হোসেন জানান, নতুন রোগীদের মধ্যে ৮৬ শতাংশই মৌসুমি কসাই। সময় যত গড়াবে, এ ধরনের রোগীর সংখ্যা তত বাড়বে।
তিনি আরও বলেন, আমার ধারণা, সন্ধ্যা পর্যন্ত ২০০ থেকে ২৫০ জন মৌসুমি কসাই গরু জবাইসহ কাটাকাটি করতে গিয়ে আহত হয়ে জরুরি বিভাগে চিকিৎসা নিতে আসবেন। কয়েকজনকে দেখলাম গরুর গুতা খেয়ে এসেছেন। হাত-পাও ভেঙেছে অনেকের। সরেজমিন দেখা গেছে, জরুরি বিভাগের মধ্যে একের পর এক রোগী আসছেন। যাদের অধিকাংশই হাত-পা কাটা রোগী। কারও হাতের অঙুল কাটা পড়েছে। কারও আবার পা কেটে গেছে। জরুরি বিভাগের মধ্যে রোগীর চাপ এত বেশি যে, রোগীর স্বজনকে ভেতরে থাকতে দিতে পারছে না কর্তৃপক্ষ। এসব রোগীদের কারও অস্ত্রোপচার করা লাগছে। কারও আবার হাত-পায়ের রক্ত পরিষ্কার করে ব্যান্ডেজ দিয়ে ছেড়ে দেওয়া হচ্ছে। রাজধানীর ধানমণ্ডি থেকে চিকিৎসা নিতে আসা সবুজ হোসেন বলেন, গরু কাটা প্রায় শেষ। দা দিয়ে কোপ দিয়েছি হাড়ে। হঠাৎ হাত থেকে দা সরে স্লিপ করেই পায়ের ওপর এসে পড়েছে। বেঁচে যে আছি সেটাই সৌভাগ্য। তবে, খারাপ লাগছে না একদমই। আল্লাহর সন্তুষ্টির কাজ করতে গিয়ে জখম হয়েছি, আল্লাহই সব ঠিক করে দেবেন। কলাবাগানের বাসিন্দা রশিদ আলম বলেন, গরুর মাংস কাটতে গিয়ে আঙুল কেটে পড়ে গেছে। কখনও এসব করা হয় না বলে এমন ঝামেলা হয়েছে। তাই দেরি না করে দ্রুতই চলে এলাম হাসপাতালে। রাজধানীর পুরান ঢাকা থেকে চিকিৎসা নিতে গিয়েছেন নাজমুল আলম। গরুর লাথিতে তার পা ভেঙেছে। তিনি বলেন, গরু জবাই করার প্রস্তুতি নিচ্ছিলাম আমরা। এমন সময় খুব জোরে গরু লাথি মারে। এতে আমার পা ভেঙেছে। এলএবাংলাটাইমস/আইটিএলএস
এদিন ঢামেক হাসপাতালে গিয়ে দেখা যায়, সকাল থেকে অন্তত ৬০ জন নতুন রোগী এসেছেন। তাদের কারও কেটেছে হাত, কারও পা। কারও আবার গরুর আঘাতে ভেঙেছে হাত-পা। এদের মধ্যে ৫২ জনই মৌসুমি কসাই।
প্রতিবছর রাজধানীসহ সারা দেশে বিপুল সংখ্যক পশু কোরবানি দেওয়া হয়। মজুরি ভালো হওয়ায় পেশাদার কসাইয়ের পাশাপাশি এদিন মাংস প্রক্রিয়ার কাজ করেন নিম্ন আয়ের মানুষরা। তারাই মূলত মৌসুমি কসাই। ঢামেকের ক্যাজুয়ালিটি বিভাগের সহকারী অধ্যাপক ডা. অরিফ হোসেন জানান, নতুন রোগীদের মধ্যে ৮৬ শতাংশই মৌসুমি কসাই। সময় যত গড়াবে, এ ধরনের রোগীর সংখ্যা তত বাড়বে।
তিনি আরও বলেন, আমার ধারণা, সন্ধ্যা পর্যন্ত ২০০ থেকে ২৫০ জন মৌসুমি কসাই গরু জবাইসহ কাটাকাটি করতে গিয়ে আহত হয়ে জরুরি বিভাগে চিকিৎসা নিতে আসবেন। কয়েকজনকে দেখলাম গরুর গুতা খেয়ে এসেছেন। হাত-পাও ভেঙেছে অনেকের। সরেজমিন দেখা গেছে, জরুরি বিভাগের মধ্যে একের পর এক রোগী আসছেন। যাদের অধিকাংশই হাত-পা কাটা রোগী। কারও হাতের অঙুল কাটা পড়েছে। কারও আবার পা কেটে গেছে। জরুরি বিভাগের মধ্যে রোগীর চাপ এত বেশি যে, রোগীর স্বজনকে ভেতরে থাকতে দিতে পারছে না কর্তৃপক্ষ। এসব রোগীদের কারও অস্ত্রোপচার করা লাগছে। কারও আবার হাত-পায়ের রক্ত পরিষ্কার করে ব্যান্ডেজ দিয়ে ছেড়ে দেওয়া হচ্ছে। রাজধানীর ধানমণ্ডি থেকে চিকিৎসা নিতে আসা সবুজ হোসেন বলেন, গরু কাটা প্রায় শেষ। দা দিয়ে কোপ দিয়েছি হাড়ে। হঠাৎ হাত থেকে দা সরে স্লিপ করেই পায়ের ওপর এসে পড়েছে। বেঁচে যে আছি সেটাই সৌভাগ্য। তবে, খারাপ লাগছে না একদমই। আল্লাহর সন্তুষ্টির কাজ করতে গিয়ে জখম হয়েছি, আল্লাহই সব ঠিক করে দেবেন। কলাবাগানের বাসিন্দা রশিদ আলম বলেন, গরুর মাংস কাটতে গিয়ে আঙুল কেটে পড়ে গেছে। কখনও এসব করা হয় না বলে এমন ঝামেলা হয়েছে। তাই দেরি না করে দ্রুতই চলে এলাম হাসপাতালে। রাজধানীর পুরান ঢাকা থেকে চিকিৎসা নিতে গিয়েছেন নাজমুল আলম। গরুর লাথিতে তার পা ভেঙেছে। তিনি বলেন, গরু জবাই করার প্রস্তুতি নিচ্ছিলাম আমরা। এমন সময় খুব জোরে গরু লাথি মারে। এতে আমার পা ভেঙেছে। এলএবাংলাটাইমস/আইটিএলএস