বাংলাদেশ

বিএনপি-জামায়াত গণতন্ত্রকে পদদলিত করতে চায়: নাছিম

বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক কৃষিবিদ আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম বলেছেন, অবৈধ পন্থায় সরকারকে উৎখাত করে গণতন্ত্রকে পদদলিত করতে চায় বিএনপি-জামায়াত। তারা দেশে অস্থিতিশীল পরিস্থিতি সৃষ্টি করে স্বৈরাচারী কায়দায় ক্ষমতায় যেতে চায়।
শনিবার (২৬ আগস্ট) দুপুরে রাজধানীর খামারবাড়িতে জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষে বঙ্গবন্ধু ভেটেরিনারি পরিষদ আয়োজিত প্রাণিসম্পদ অধিদফতর চত্বরে এক আলোচনা সভা ও দোয়া মাহফিলে প্রধান অতিথির বক্তৃতা করেন তিনি। বিএনপি-জামায়াত কখনোই দেশের মানুষের কথা চিন্তা করে না জানিয়ে নাছিম বলেন, ‘বিএনপি-জামায়াতের খুনের রাজনীতি, চক্রান্তের রাজনীতি ও ধর্মের নামে সাম্প্রদায়িক রাজনীতির বিরুদ্ধে দেশের মানুষকে নিয়ে আমাদের রুখে দাঁড়াতে হবে। তাদের অপকর্মের বিরুদ্ধে জনমত তৈরি করতে হবে। দেশের ১৭ কোটি মানুষকে তাদের হাত থেকে রক্ষা করতে হবে। সুযোগ পেলেই তারা দেশের মানুষের ক্ষতি করার চেষ্টা করবে। বিএনপি খুনের চরিত্র থেকে বের হতে পারছে না জানিয়ে তিনি বলেন, বিএনপি আজ বঙ্গবন্ধুকন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে হত্যা করতে চায়। তারা সজীব ওয়াজেদ জয়কেও হত্যা করতে চায়। সুযোগ পেলে তারা বঙ্গবন্ধুর কনিষ্ঠ কন্যা শেখ রেহানাকেও হত্যা করবে। ১৯৭১ সালের পরাজয়ের প্রতিশোধ ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট নিয়েছে জানিয়ে নাছিম বলেন, বঙ্গবন্ধু ও তার পরিবারের সদস্যদের হত্যার উদ্দেশ্য ছিল বাঙালি জাতির মুক্তিযুদ্ধের চেতনা, মুক্তিযুদ্ধের মূল্যবোধ ও জাতির পিতার আদর্শকে ধ্বংস করা। সুযোগ পেলে তারা সেদিন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও তার বোন শেখ রেহানাকেও হত্যা করত। নাছিম বলেন, জাতির পিতা ধ্বংসস্তূপে দাঁড়িয়ে একটি যুদ্ধবিধ্বস্ত দেশকে গড়ার কাজে হাত দিয়েছিলেন। তিনি তার চূড়ান্ত রূপ দিয়ে যাওয়ার আগেই খুনিরা তাকে হত্যা করেছে। কারণ, খুনিরা চায়নি বাংলাদেশ একটি উন্নত দেশে পরিণত হোক। তারা চেয়েছিল বাংলাদেশকে ব্যর্থ রাষ্ট্রে পরিণত করতে। মহান মুক্তিযুদ্ধের যে লক্ষ্য ছিল–অসাম্প্রদায়িক বাংলাদেশ–সেটি ধ্বংস করতে চেয়েছে। তারা বাংলাদেশকে পাকিস্তানের তাঁবেদার রাষ্ট্র বানানোর ষড়যন্ত্র করেছে। তিনি বলেন, জাতির পিতার হত্যাকারীদের রক্ষা করার জন্য খুনি জিয়া-মোশতাক গং ইনডেমনিটি অর্ডিন্যান্স জারি করে। পরবর্তী সময়ে এরশাদ ও খালেদা জিয়া তাদের পুরস্কৃত করে রাজনীতি করার সুযোগ করে দেয়াসহ এমন কোনো ঘৃণিত কাজ নেই, যা তারা করেনি। এটি আমাদের কলঙ্কিত করেছে। দীর্ঘ একুশ বছর লড়াই-সংগ্রাম করে বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনা দেশের মানুষের অধিকার প্রতিষ্ঠা করেছেন। আমাদের সংবিধানকে রক্ষা করেছেন এবং বাংলার মাটিতে খুনিদের বিচার ও ফাঁসির রায় কার্যকর করেছেন। তিনি আরও বলেন,‘আমাদের পরবর্তী প্রজন্মকে মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় উদ্বুদ্ধ হয়ে দেশগঠনে ভূমিকা রাখতে হবে। উন্নত বাংলাদেশ গড়তে সবাইকে মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ধারণ করে প্রধানমন্ত্রীর হাতকে শক্তিশালী করতে হবে। শোককে শক্তিতে রূপান্তর করে বঙ্গবন্ধুকন্যাকে টানা চতুর্থবারের মতো রাষ্ট্রক্ষমতায় আনতে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করতে হবে। বঙ্গবন্ধু ভেটেরিনারি পরিষদের সভাপতি কৃষিবিদ ডা. ফজলে রাব্বি মন্ডল আতার সভাপতিত্বে ও মহাসচিব কৃষিবিদ ডা. সাইফুল বসারের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের সচিব কৃষিবিদ ড. নাহিদ রশীদ, বাংলাদেশ কৃষক লীগের সভাপতি কৃষিবিদ সমীর চন্দ, প্রাণিসম্পদ অধিদফতরের মহাপরিচালক কৃষিবিদ ডা. এমদাদুল হক তালুকদার, কৃষিবিদ ইনস্টিটিটিউশন বাংলাদেশের মহাসচিব কৃষিবিদ খায়রুল আলম প্রিন্স, বাংলাদেশ কৃষক লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক ও বাংলাদেশ ভেটেরিনারি অ্যাসোসিয়েশনের মহাসচিব কৃষিবিদ ড. মুহাম্মদ হাবিবুর রহমান মোল্লা প্রমুখ। বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক কৃষিবিদ আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম বলেছেন, অবৈধ পন্থায় সরকারকে উৎখাত করে গণতন্ত্রকে পদদলিত করতে চায় বিএনপি-জামায়াত। তারা দেশে অস্থিতিশীল পরিস্থিতি সৃষ্টি করে স্বৈরাচারী কায়দায় ক্ষমতায় যেতে চায়।
শনিবার (২৬ আগস্ট) দুপুরে রাজধানীর খামারবাড়িতে জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষে আলোচনা সভায় বক্তৃতা করছেন আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক কৃষিবিদ আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম। শনিবার (২৬ আগস্ট) দুপুরে রাজধানীর খামারবাড়িতে জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষে বঙ্গবন্ধু ভেটেরিনারি পরিষদ আয়োজিত প্রাণিসম্পদ অধিদফতর চত্বরে এক আলোচনা সভা ও দোয়া মাহফিলে প্রধান অতিথির বক্তৃতা করেন তিনি। বিএনপি-জামায়াত কখনোই দেশের মানুষের কথা চিন্তা করে না জানিয়ে নাছিম বলেন, ‘বিএনপি-জামায়াতের খুনের রাজনীতি, চক্রান্তের রাজনীতি ও ধর্মের নামে সাম্প্রদায়িক রাজনীতির বিরুদ্ধে দেশের মানুষকে নিয়ে আমাদের রুখে দাঁড়াতে হবে। তাদের অপকর্মের বিরুদ্ধে জনমত তৈরি করতে হবে। দেশের ১৭ কোটি মানুষকে তাদের হাত থেকে রক্ষা করতে হবে। সুযোগ পেলেই তারা দেশের মানুষের ক্ষতি করার চেষ্টা করবে। বিএনপি খুনের চরিত্র থেকে বের হতে পারছে না জানিয়ে তিনি বলেন, বিএনপি আজ বঙ্গবন্ধুকন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে হত্যা করতে চায়। তারা সজীব ওয়াজেদ জয়কেও হত্যা করতে চায়। সুযোগ পেলে তারা বঙ্গবন্ধুর কনিষ্ঠ কন্যা শেখ রেহানাকেও হত্যা করবে। ১৯৭১ সালের পরাজয়ের প্রতিশোধ ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট নিয়েছে জানিয়ে নাছিম বলেন, বঙ্গবন্ধু ও তার পরিবারের সদস্যদের হত্যার উদ্দেশ্য ছিল বাঙালি জাতির মুক্তিযুদ্ধের চেতনা, মুক্তিযুদ্ধের মূল্যবোধ ও জাতির পিতার আদর্শকে ধ্বংস করা। সুযোগ পেলে তারা সেদিন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও তার বোন শেখ রেহানাকেও হত্যা করত। নাছিম বলেন, জাতির পিতা ধ্বংসস্তূপে দাঁড়িয়ে একটি যুদ্ধবিধ্বস্ত দেশকে গড়ার কাজে হাত দিয়েছিলেন। তিনি তার চূড়ান্ত রূপ দিয়ে যাওয়ার আগেই খুনিরা তাকে হত্যা করেছে। কারণ, খুনিরা চায়নি বাংলাদেশ একটি উন্নত দেশে পরিণত হোক। তারা চেয়েছিল বাংলাদেশকে ব্যর্থ রাষ্ট্রে পরিণত করতে। মহান মুক্তিযুদ্ধের যে লক্ষ্য ছিল–অসাম্প্রদায়িক বাংলাদেশ–সেটি ধ্বংস করতে চেয়েছে। তারা বাংলাদেশকে পাকিস্তানের তাঁবেদার রাষ্ট্র বানানোর ষড়যন্ত্র করেছে। তিনি বলেন, জাতির পিতার হত্যাকারীদের রক্ষা করার জন্য খুনি জিয়া-মোশতাক গং ইনডেমনিটি অর্ডিন্যান্স জারি করে। পরবর্তী সময়ে এরশাদ ও খালেদা জিয়া তাদের পুরস্কৃত করে রাজনীতি করার সুযোগ করে দেয়াসহ এমন কোনো ঘৃণিত কাজ নেই, যা তারা করেনি। এটি আমাদের কলঙ্কিত করেছে। দীর্ঘ একুশ বছর লড়াই-সংগ্রাম করে বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনা দেশের মানুষের অধিকার প্রতিষ্ঠা করেছেন। আমাদের সংবিধানকে রক্ষা করেছেন এবং বাংলার মাটিতে খুনিদের বিচার ও ফাঁসির রায় কার্যকর করেছেন। তিনি আরও বলেন,‘আমাদের পরবর্তী প্রজন্মকে মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় উদ্বুদ্ধ হয়ে দেশগঠনে ভূমিকা রাখতে হবে। উন্নত বাংলাদেশ গড়তে সবাইকে মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ধারণ করে প্রধানমন্ত্রীর হাতকে শক্তিশালী করতে হবে। শোককে শক্তিতে রূপান্তর করে বঙ্গবন্ধুকন্যাকে টানা চতুর্থবারের মতো রাষ্ট্রক্ষমতায় আনতে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করতে হবে। বঙ্গবন্ধু ভেটেরিনারি পরিষদের সভাপতি কৃষিবিদ ডা. ফজলে রাব্বি মন্ডল আতার সভাপতিত্বে ও মহাসচিব কৃষিবিদ ডা. সাইফুল বসারের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের সচিব কৃষিবিদ ড. নাহিদ রশীদ, বাংলাদেশ কৃষক লীগের সভাপতি কৃষিবিদ সমীর চন্দ, প্রাণিসম্পদ অধিদফতরের মহাপরিচালক কৃষিবিদ ডা. এমদাদুল হক তালুকদার, কৃষিবিদ ইনস্টিটিটিউশন বাংলাদেশের মহাসচিব কৃষিবিদ খায়রুল আলম প্রিন্স, বাংলাদেশ কৃষক লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক ও বাংলাদেশ ভেটেরিনারি অ্যাসোসিয়েশনের মহাসচিব কৃষিবিদ ড. মুহাম্মদ হাবিবুর রহমান মোল্লা প্রমুখ। এলএবাংলাটাইমস/আইটিএলএস