সুনামগঞ্জের জগন্নাথপুরে রানীগঞ্জ দক্ষিণপাড়-রৌয়াইল সড়ক ভেঙে নয় দিন ধরে যান চলাচল বন্ধ রয়েছে। তাতে ভোগান্তিতে পড়েছে ১০ গ্রামের স্কুল-কলেজের শিক্ষার্থীসহ প্রায় ২০ হাজার মানুষ।
জানা গেছে, উপজেলার রানীগঞ্জ ইউনিয়নে কুশিয়ারা নদীর তীর ঘেঁষে রয়েছে রানীগঞ্জ দক্ষিণপাড় থেকে নোয়াগাঁও-আলমপুর-বালিশ্রী-রৌয়াইল গ্রামের একমাত্র গ্রামীণ সড়ক। কয়েক বছর ধরে এলাকার মূল সড়ক এবং বেশ কিছু ঘরবাড়ি, মসজিদসহ ফসলি জমি কুশিয়ারা নদীতে বিলীন হয়ে গেছে। পরে ২০২০ সালে স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তর (এলজিইডি) ১ কোটি ৯০ লাখ টাকা ব্যয়ে আলমপুর-ভালিশ্রী-রৌয়াইল অংশের তিন কিলোমিটার রাস্তা পাকা করে।
২০২১ সালের আগস্ট মাসে ওই সড়কের বালিশ্রী গ্রামের গুলজার মিয়ার বাড়ির সামনে কুশিয়ারা নদীর ভাঙনে পড়ে জনগুরুত্বপূর্ণ সড়কটি। তাতে বন্ধ হয়ে যায় যান চলাচল। সেই সময় বালিশ্রী ও রৌয়াইল গ্রামবাসীর স্বেচ্ছাশ্রমে সড়কটি যান চলাচলের উপযোগী করা হয়। কিন্তু গত দুই বছরে এ সড়কের ভাঙন রোধে কোনো পদক্ষেপ নেয়নি সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ। অন্যদিকে ভাঙন অংশের উভয় পাশের প্রায় ১০০ ফুট জায়গা পিচঢালাই না করেই কাজ শেষ করা হয়।
রৌয়াইল গ্রামের বাসিন্দা মাহবুব হোসেন মিটু ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, জনগুরুত্বপূর্ণ সড়কটি দীর্ঘদিন ধরে কুশিয়ারা নদীর ভাঙনের শিকার হচ্ছে। ভাঙন রোধে আজও কোনো পদক্ষেপ নেয়নি কর্তৃপক্ষ। সড়কটি স্কুল-কলেজের শিক্ষার্থীদের আসা যাওয়াসহ ইউনিয়ন পরিষদ ও উপজেলা সদরের সঙ্গে যোগাযোগের একমাত্র রাস্তা।
স্থানীয় আরেক বাসিন্দা কাওছার আহমদ বলেন, এক সপ্তাহ ধরে এই সড়কে সরাসরি যান চলাচল বন্ধ রয়েছে। তাতে এলাকাবাসীকে চরম দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে।
উপজেলা নির্বাহী প্রকৌশলী (এলজিইডি) সোহরাব হোসেন বলেন, নদীভাঙনের বিষয়টি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়েছে। আপাতত বিকল্প হিসেবে পাশের বাড়ির ভেতর দিয়ে জায়গা পাওয়া গেলে সেখান দিয়ে চলাচলের পথ করে দেওয়া হবে।
এলএবাংলাটাইমস/আইটিএলএস
এলএবাংলাটাইমস/আইটিএলএস