নির্মিতব্য দেশের সর্ববৃহৎ সেতু পদ্মাসেতুর নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে সেতুর দুই পাড়ে দুটি সেনানিবাস স্থাপনের প্রস্তাব দিয়েছিল সেনাবাহিনী। অবশেষে উভয় পাড় মিলে একটি সেনানিবাস স্থাপনের সিদ্ধান্ত হয়েছে।সেনাবাহিনীর ৯৯ ব্রিগেড এই সেনানিবাস স্থাপন করেবে। এর মাধ্যমে সেতুর উভয়পাড়ের নিরাপত্তা দেখভাল করা হবে।এ বিষয়ে পরিকল্পনা সচিব ভূঁইয়া সফিকুল ইসলাম জানান, পদ্মাসেতুর প্রহরা নিশ্চিত করতে যত কম জনবল ও জমি দরকার হবে ততোই ভালো। আমরা সে বিষয়টিই নিশ্চিত করতে চাই।পরিকল্পনা মন্ত্রণালয় সূত্র জানায়, সেনাবাহিনী ও পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে আলোচনার পর তিন বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। এগুলো হলো, সেতুর উভয় পাড় মিলে একটি সেনানিবাস স্থাপন, অর্থ সাশ্রয় করতে এই ব্রিগেডে যতটুকু জনবল না হলেই নয় সে পরিমাণ জনবল নিয়োগ ও ভার্টিক্যাল কনস্ট্রাকশন। এতে জমির ব্যবহার কমানো যায় এবং দুই ফেইজে পদ্মাসেতু এলাকায় সেনানিবাস স্থাপন প্রকল্পের কাজ করতে হবে।অর্থাৎ প্রথম ফেইজে মূল সেনানিবাস স্থাপন এবং দ্বিতীয় ফেইজে অন্যান্য অবকাঠামো স্থাপন করা হবে। যেমন স্কুল, কলেজ, হাসপাতাল ইত্যাদি।সূত্র আরো জানায়, সেতুর নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে এর আগে সেনাবাহিনী সেতুর দুই পাড়ে ৯৯ ব্রিগেডের দুটি সেনানিবাস স্থাপনের প্রস্তাব দেয় এবং এজন্য প্রায় এক হাজার ৭৭৪ কোটি টাকা লাগবে বলে জানায়। এছাড়া সেনানিবাস স্থাপনে মাওয়া এবং জাজিরা পয়েন্টে প্রায় ৩৪১ দশমিক ২৭ একর জমি দেওয়ার জন্য প্রস্তাব দেওয়া হয়। কিন্তু সেতু বিভাগ মাওয়া অংশে তাদের চাহিদার বিপরীতে ১৫ দশমিক ৭৫ একর জমি বরাদ্দ দেয়। কিন্তু এ অংশে আরো ৭৫ দশমিক ৭৫ একর জমির চাহিদা দেয় সেনাবাহিনী।অন্যদিকে জাজিরা অংশে সেনানিবাস স্থাপনে সেতু বিভাগ পৃথকভাবে দুটি স্থানে ১১ দশমিক ৭৭ একর এবং ৮৮ একর জমি বরাদ্দ দিয়েছে। কিন্তু সেনাবাহিনী এর বাইরে আরো ১৫০ একর জমির চাহিদা জানিয়েছে। এ অবস্থায় সমস্যা সমাধানে বুধবার বৈঠক করে পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়।এ বিষয়ে পরিকল্পনা মন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল বলেন, পদ্মাসেতু এলাকায় সেনানিবাসটি আয়তনে ছোট হলেও এটি হবে আধুনিক এবং শক্তিশালী। সব সীমাবদ্ধতা মাথায় রেখে এ প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করতে হবে।