জাতীয় স্মৃতিসৌধের স্থপতি সৈয়দ মাইনুল হোসেন ইন্তেকাল করেছেন (ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন)। সোমবার রাজধানীর একটি হাসপাতালে চিকিসাধীন অবস্থায় তিনি মারা যান। তিনি দীর্ঘদিন ধরে অসুস্থ ছিলেন। ছিলেন অনেকটা লোক চক্ষুর অন্তরালে। এনআইসিভিডির পরিচালক আবদুল্লাহ আল সাফী মজুমদার প্রথম আলোকে বলেন, মাইনুল হোসেন হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে গতকাল রোববার হাসপাতালে ভর্তি হন। তাঁর ডায়াবেটিস ছিল মারাত্মক অনিয়ন্ত্রিত। রক্তচাপও ছিল খুব কম। হাসপাতালে পৌঁছানোর সঙ্গে সঙ্গে চিকিৎসা দেওয়া হলেও তাঁকে বাঁচানো গেল না। আজ বেলা আড়াইটার দিকে তিনি মারা যান।সৈয়দ মঈনুল হোসেনের জন্ম ১৯৫২ সালের ৫ মে। জন্মস্থান মুন্সীগঞ্জ জেলার টঙ্গীবাড়ীর দামপাড়া গ্রামে। ১৯৭৬ থেকে ১৯৯৮ সাল পর্যন্ত তিনি ৩৮টি বড় বড় স্থাপনার নকশা করেন। স্থপতি সৈয়দ মাইনুল হোসেন কবি গোলাম মোস্তফার দৌহিত্র। ২৩ বছর আগে স্ত্রীর সঙ্গে বিবাহবিচ্ছেদ হয় তাঁর।২০০৬ সালের মার্চে প্রথম আলোকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে স্তম্ভটির আকার অমন কেন? কী অর্থ তার, জানতে চাইলে এই স্থপতি চমৎকার ব্যাখ্যা দিয়ে বলেছিলেন, ‘চারদিকে প্রচণ্ড চাপ। সেই চাপে কিছু একটা উঠে যাচ্ছে।’‘জাতীয় স্মৃতিসৌধে সাতটা খাঁজের মানে জানতে চাইলে বলেছিলেন, ‘বায়ান্ন থেকে একাত্তর পর্যন্ত সাতটা বড় বড় আন্দোলন হয়েছিল। সবচেয়ে নিচের খাঁজটা বায়ান্ন, সবচেয়ে উঁচুটা একাত্তর...।’
কথায় কথায় তিনি আরও বলেছিলেন, স্মৃতিসৌধ নির্মাণের পর কারা যেন বেনামি চিঠি দিয়ে তাকে খুন করতে চেয়েছিল। তারপর পত্রিকায় ইচ্ছা করে তার নাম ভুল লেখা হয়েছিল। নকশার সম্মানী বাবদ ২ লাখ টাকা পাওয়ার কথা ছিল, তার আয়কর ধরা হয়েছিল ৫০ শতাংশ, মানে ১ লাখ। পরে রাজস্ব বোর্ডের কমিশনার ধরে-টরে ২০ হাজার টাকা আয়কর দিয়েছিলেন।১৯৮২ সালের ১৬ ডিসেম্বর প্রেসিডেন্ট এরশাদ যখন জাতীয় স্মৃতিসৌধ উদ্বোধন করেন, সে অনুষ্ঠানে তাকে আমন্ত্রণ জানানো হয়নি।রাষ্ট্রীয় ভিআইপিরা চলে যাওয়ার পর তিনি সেখানে গিয়ে জনতার কাতারে দাঁড়িয়ে দেখেছিলেন।
কথায় কথায় তিনি আরও বলেছিলেন, স্মৃতিসৌধ নির্মাণের পর কারা যেন বেনামি চিঠি দিয়ে তাকে খুন করতে চেয়েছিল। তারপর পত্রিকায় ইচ্ছা করে তার নাম ভুল লেখা হয়েছিল। নকশার সম্মানী বাবদ ২ লাখ টাকা পাওয়ার কথা ছিল, তার আয়কর ধরা হয়েছিল ৫০ শতাংশ, মানে ১ লাখ। পরে রাজস্ব বোর্ডের কমিশনার ধরে-টরে ২০ হাজার টাকা আয়কর দিয়েছিলেন।১৯৮২ সালের ১৬ ডিসেম্বর প্রেসিডেন্ট এরশাদ যখন জাতীয় স্মৃতিসৌধ উদ্বোধন করেন, সে অনুষ্ঠানে তাকে আমন্ত্রণ জানানো হয়নি।রাষ্ট্রীয় ভিআইপিরা চলে যাওয়ার পর তিনি সেখানে গিয়ে জনতার কাতারে দাঁড়িয়ে দেখেছিলেন।