এ্যামিউজমেন্ট পার্কগুলোতে তরুণ-তরুণীদের অশালীন কর্মকান্ড বন্ধে ভ্রাম্যমাণ আদালতের অভিযান
শুরু হয়েছে। গতকাল মঙ্গলবার অভিযানের প্রথম দিনেই ভ্রাম্যমাণ আদালত বগুড়া আন্তর্জাতিক
স্টেডিয়াম সংলগ্ন ওয়ান্ডারল্যান্ড এ্যামিউজমেন্ট পার্ক হতে ৭২ জোড়া কপোত-কপোতিকে আটকের
পর ১৯হাজার ৮শ ৫০ টাকা জরিমানা আদায় করে ছেড়ে দিয়েছেন।আগেরদিন স্থানীয় একটি দৈনিকে ''বগুড়ায়এ্যামিউজমেন্ট পার্কগুলোতে তরুণ তরুণীর অশালীনকর্মকান্ড বিব্রত অভিভাবকরা'' শীর্ষক একটিপ্রতিবেদন প্রকাশিত হয়। এই প্রতিবেদনের পরইভ্রাম্যমাণ আদালতের এই অভিযান শুরু হলো। অভিযানেনেতৃত্ব দেয়া নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট হাবিবুল হাসানরুমি জানিয়েছেন বেলা ১১টার দিকে বগুড়ারওয়ান্ডারল্যান্ড পার্কে এই অভিযানকালে অশালীনকর্মকান্ডে জড়িত থাকার অভিযোগে ওই ৭২ জোড়া তরুণ-তরুণীর প্রত্যেককে ৫০ টাকা থেকে ৩শ' টাকা পর্যন্তজরিমানা আদায় করা হয়। এ ছাড়া অশালীন কাজেসহযোগিতার অভিযোগে ওয়ান্ডারল্যান্ড পার্ককর্তৃপক্ষকেও ২০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়।ম্যাজিস্ট্রেট হাবিবুল হাসান রুমি আরো জানান আটকতরুণ-তরুণীদের অধিকাংশই বগুড়া সরকারি আজিজুল হককলেজ সহ বিভিন্ন কলেজের ছাত্র-ছাত্রী। এ ছাড়া এদেরমধ্যে স্কুল পড়ূয়া অনেক শিক্ষার্থীও ছিল। এদের মধ্যেবহু তরুণী এ সময় বোরকা পরা অবস্থায় ছিল। তিনিবলেন বেশির ভাগ স্কুল-কলেজের ছাত্রী হওয়ায় তাদেরজেল দেয়া হয়নি। তাদের সতর্ক হওয়ার জন্য প্রথমবারশুধু জরিমানা করা হয়েছে। ভ্রাম্যমাণ আদালতের সাথেথাকা পুলিশ কর্মকর্তা এস আই আমিরুল ইসলাম জানানঅভিযানের আগে ওয়ান্ডারল্যান্ডের কোণায় কোণায় বসেকপোত-কপোতিরা অশালীন কর্মকান্ডে লিপ্ত ছিল এবংঅনেককে প্রেমের নামে ঢলাঢলি করতেও দেখা গেছে। এঅবস্থায় ভ্রাম্যমাণ আদালত অভিযান চালিয়ে তাদেরআটকের পর জরিমানা আদায় করেন।ভ্রাম্যমাণ আদালত সূত্র জানায়, গ্রেফতারকৃত কপোত-কপোতিরা হলো- মাহবুব-সাদিয়া, সাগর- মিতু, মশিউর-শামিমা, অন্তর-অন্তরা, আজিজুল-বৃষ্টি, মনি-সৌরভ,সোহেল-মিতু, মাহফুজার-রুমানা, আশরাফ-ঝিনুক, সিপন-জান্নাতি, অনিক-অনিকা, নিজাম-সুমী, মেজবাহুর-রুমানা, আতিকুর-সীমা, মিঠু-শান্তি, রাহুল-অন্তরা,মনির-জুুলিয়া, ইব্রাহিম -মাইশা, হানিফ-শামিমা,রায়হান-নুসরাত, রাজিব-মিতু, ওহেদুজ্জামান-মনিকা,সোহাগী-রাশেদুল, রঞ্জু-জিতা, কৌশিক-সানজিদা, সুমন-শান্তা, ফয়সল-সীমা, বকুল-লতা, রাজু-আমেনা, খোকন-রিতু, রাশেদুল- জুই, সজিব-মোহনা, রমজান-মিয়া,মিলন-বীথি, ফারুক- পলি, সোহেল-সুমী, সাইফুল-রূপা,হিমেল-সাগরী, সবুজ-সুমী, উজ্জল-সুলতানা, সহিদুল -মনি, তারেক-রিতা, ওমর-লাকি, সজিব-কিয়া,মুশফিকুর-ঝিনুক, রিগান-সাথী, জিল্লুর-রানা-কলি,শুভ-মিম, সবুজ-রিতু, রায়হান-সুমী, সবুজ-আলো,মোজাম্মেল- সিফতা, রায়হান-রাফিয়া, রাজিব-নিশিতা,সজিব-মিথিলা, তমাল-জান্নাতুল, লিটন-শিলা, সালাম-মুনি্ন, সানি-মিতা রুনু প্রিয়াংকা, প্রিন্স-ছায়া,পারভেজ-রুমাইয়া, রিয়াদ-আলেয়া, হোসেন-রুমাইয়া,মেহেদী- আশা, আকিতা-আশা ও সিনিয়া বৃষ্টি।বগুড়ার পুলিশ সুপার মোঃ মোজাম্মেল হক, পিপিএমজানান, অনেক অভিভাবক তাদের সন্তানরা বাড়ি থেকে বেরহয়ে কোথায় কী করছে তার খবর রাখেন না। এক সময় ওইসন্তানদের নিয়ে মা বাবাকে লজ্জিত হতে হয়। তারা ক্লাসফাঁকি দিয়ে বিভিন্ন বিনোদন পার্কে গিয়ে অনৈতিককার্যকলাপে জড়িয়ে পড়ছে। তিনি বড় হওয়ার পরসন্তানদের চোখে চোখে রাখার জন্য অভিভাবকদেরপরামর্শ দেন।এ ব্যাপারে বগুড়ার জেলা প্রশাসক শফিকুর রেজা বিশ্বাসবলেন অশালীন কর্মকান্ড বন্ধে ভ্রাম্যমাণ আদালতেরঅভিযান অব্যাহত থাকবে।