কুয়েতে আটক ছয় মার্কিন নাগরিককে মুক্তি দেওয়া হয়েছে এবং তারা ইতিমধ্যে যুক্তরাষ্ট্রে পৌঁছেছেন। যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে হওয়া এক চুক্তির আওতায় তাদের মুক্ত করা হয়েছে বলে পরিবারের পক্ষ থেকে নিশ্চিত করা হয়েছে, জানিয়েছে এবিসি নিউজ।
এই ছয়জনের বেশিরভাগই সাবেক মার্কিন সেনা সদস্য এবং সামরিক ঠিকাদার ছিলেন। তাদের বিরুদ্ধে মাদক সংক্রান্ত অভিযোগ এনে দোষী সাব্যস্ত করা হয়েছিল বলে জানান ক্রাইসিস ম্যানেজমেন্ট কনসালটেন্ট জনাথন ফ্রাঙ্কস। তবে কারাগারে থাকার পুরো সময় তারা নিজেদের নির্দোষ দাবি করে আসছিলেন।
ফ্রাঙ্কস আরও জানান, চুক্তির অংশ হিসেবে আগামী কয়েক সপ্তাহের মধ্যে আরও কয়েকজন বন্দিকে মুক্তি দেওয়া হবে। তিনি বলেন, "আজ সকালে কুয়েত সরকার আমার ছয়জন মক্কেলকে মুক্তি দিয়েছে। এই চুক্তির আওতায় খুব শিগগিরই মোট পনেরো জন মুক্তি পাবেন। প্রত্যেকেই মাদকের অভিযোগে দোষী সাব্যস্ত হয়েছিলেন, তবে তারা সবাই তাদের নির্দোষতা জোরালোভাবে দাবি করে আসছেন।"
মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের পরামর্শ অনুযায়ী, কুয়েতে মাদকদ্রব্য সংক্রান্ত অপরাধের শাস্তি হতে পারে দীর্ঘমেয়াদি কারাদণ্ড অথবা মৃত্যুদণ্ড। এবিসি নিউজ পররাষ্ট্র দপ্তরের কাছে এ বিষয়ে মন্তব্যের জন্য অনুরোধ করলেও এখনো কোনো আনুষ্ঠানিক প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি।
যুক্তরাষ্ট্রের কুয়েতস্থ দূতাবাসের ওয়েবসাইট অনুযায়ী, কুয়েতে অবস্থানরত মার্কিন নাগরিকদের দেশটির আইন মেনে চলতে হয় এবং সেসব আইন যুক্তরাষ্ট্রের আইন থেকে অনেকটাই ভিন্ন হতে পারে। এছাড়া, কোনো অপরাধে অভিযুক্ত হলে মার্কিন সরকার সীমিত সহায়তা প্রদান করতে পারে।
এই বন্দিমুক্তির ঘটনা এমন এক সময় ঘটল যখন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প বিদেশে আটক মার্কিন নাগরিকদের মুক্তির বিষয়ে বিশেষ গুরুত্ব দিচ্ছেন। এর আগে ফেব্রুয়ারিতে বেলারুশ থেকে তিনজন বন্দিকে মুক্ত করা হয়, যার মধ্যে একজন অজ্ঞাতনামা মার্কিন নাগরিক এবং একজন সাংবাদিক ছিলেন, যাকে রাজনৈতিক বন্দি হিসেবে বিবেচনা করা হচ্ছিল।
এলএবাংলাটাইমস/ওএম
এলএবাংলাটাইমস/ওএম