আমেরিকা

রাশিয়া হয়তো অনেক কিছু ছাড় দেবে, হয়তো দেবে না: ট্রাম্প

মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ও ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি বৃহস্পতিবার এক সংবাদ সম্মেলনে দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক জোরদার ও সহযোগিতার ক্ষেত্রগুলো তুলে ধরেন। রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ ও পারমাণবিক শক্তি

ট্রাম্প বলেন, রাশিয়া-ইউক্রেন শান্তি আলোচনা এখনও শুরু হয়নি। "রাশিয়া হয়তো অনেক কিছু ছাড় দেবে, হয়তো দেবে না," তিনি বলেন। ইউক্রেনের ন্যাটো সদস্যপদ প্রসঙ্গে তিনি ইঙ্গিত দেন যে এটি রাশিয়াকে উসকে দিয়েছে। চীনের পারমাণবিক সক্ষমতা নিয়ে ট্রাম্প বলেন, "চীন খুব দ্রুত পারমাণবিক শক্তিতে রাশিয়া ও যুক্তরাষ্ট্রের কাছাকাছি পৌঁছে যাবে।" তিনি রাশিয়া ও চীনের সঙ্গে বৈঠকের পরিকল্পনার কথাও জানান। যুক্তরাষ্ট্র-ভারত সম্পর্ক ও বাণিজ্য

ট্রাম্প বলেন, "যুক্তরাষ্ট্র ও ভারতের মধ্যে বিশেষ সম্পর্ক রয়েছে।" তিনি ঘোষণা করেন, যুক্তরাষ্ট্র ভারতকে আরও সামরিক সরঞ্জাম বিক্রি করবে এবং উভয় দেশ একসঙ্গে "উগ্র ইসলামি সন্ত্রাসবাদ" মোকাবিলা করবে। ট্রাম্প একটি নতুন বাণিজ্য পথের পরিকল্পনার কথাও জানান, যা "ভারত থেকে ইসরায়েল, ইতালি হয়ে যুক্তরাষ্ট্র পর্যন্ত প্রসারিত হবে" এবং এতে বন্দর, রেলপথ ও পানির নিচের কেবল থাকবে। ট্রেড ও ট্যারিফ

মোদি আশা করেছিলেন যে ভারত যুক্তরাষ্ট্রের নতুন শুল্ক বৃদ্ধি থেকে অব্যাহতি পাবে, তবে ট্রাম্প বলেন, ভারত যুক্তরাষ্ট্রের ওপর যে শুল্ক আরোপ করবে, যুক্তরাষ্ট্রও ভারতের ওপর একই শুল্ক আরোপ করবে। অভিবাসন ও অন্যান্য আলোচনা

মোদি জানান, ভারত অবৈধ অভিবাসীদের ফিরিয়ে নিতে প্রস্তুত। ট্রাম্পের অভিবাসন নীতির অংশ হিসেবে ইতোমধ্যে প্রথম ভারতীয় অভিবাসীবাহী বিমান দেশে ফিরেছে। মোদি বৃহস্পতিবার ইলন মাস্কের সঙ্গেও সাক্ষাৎ করেন। ট্রাম্প বলেন, "আমি জানি না তারা কী নিয়ে আলোচনা করেছেন, তবে সম্ভবত ব্যবসা সংক্রান্ত কিছু বিষয় ছিল।" ২০২০ সালে ট্রাম্পের ভারত সফরে তিনি উষ্ণ অভ্যর্থনা পেয়েছিলেন। এবার তার নতুন শুল্ক নীতি ভারত-মার্কিন সম্পর্কের বর্তমান পরিস্থিতির প্রতিফলন ঘটাবে কিনা, তা দেখার বিষয়।

এলএবাংলাটাইমস/ওএম