আমেরিকা

ফিলাডেলফিয়ায় বিধ্বস্ত এয়ার অ্যাম্বুলেন্সে অসুস্থ শিশুসহ ৬ জন আরোহী ছিলেন

যুক্তরাষ্ট্রের পেনসিলভানিয়া অঙ্গরাজ্যের ফিলাডেলফিয়ায় বিধ্বস্ত উড়োজাহাজটি ছিল এয়ার অ্যাম্বুলেন্স। স্থানীয় সময় শুক্রবার বিধ্বস্ত হওয়া ওই এয়ার অ্যাম্বুলেন্সে একজন শিশুসহ ছয়জন আরোহী ছিলেন। এয়ার অ্যাম্বুলেন্স পরিচালনাকারী প্রতিষ্ঠানটি বলেছে, বিধ্বস্ত হওয়ার পর কেউ বেঁচে আছেন কি না, তা তাঁরা নিশ্চিত হতে পারেননি। জেট রেসকিউ এয়ার অ্যাম্বুলেন্স বলেছে, আরোহীদের মধ্যে চারজন ক্রু ছিলেন। শিশুটি অসুস্থ ছিল। তাঁর সঙ্গে অভিভাবক ছিলেন। অঙ্গরাজ্য ও স্থানীয় কর্মকর্তারা শুক্রবার রাতে বলেছেন, উড়োজাহাজটি জনবহুল এলাকায় বিধ্বস্ত হয়েছে। দুর্ঘটনায় ঠিক কতজন নিহত হয়েছেন, তা তাঁরা নিশ্চিত করতে পারেননি। পেনসিলভানিয়ার গভর্নর জোস সাপিরো এক সংবাদ সম্মেলনে নিহতদের প্রতি শোক ও সমবেদনা জানান। প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে বলেছেন, ফিলাডেলফিয়ায় এয়ার অ্যাম্বুলেন্স বিধ্বস্তের ঘটনায় তিনি শোকাহত। দুর্ঘটনাস্থলে উদ্ধারকারী দল কাজ করছে। দ্য ফেডারেল এভিয়েশন অ্যাডমিনিস্ট্রেশন বলেছে, লিয়ারজেট ফাইভ ফাইভ এয়ার অ্যাম্বুলেন্সে ছয়জন আরোহী ছিলেন। স্থানীয় সময় শুক্রবার সন্ধ্যা সাড়ে ছয়টায় সেটি বিধ্বস্ত হয়। স্থানীয় গণমাধ্যমের খবর বলছে, উত্তর–পূর্ব ফিলাডেলফিয়ার রুজভেল্প মলের কাছে এয়ার অ্যাম্বুলেন্সটি বিধ্বস্ত হয়েছে। স্থানীয় টিভিতে প্রচারিত ভিডিওতে দেখা গেছে, অবতরণের আগে এয়ার অ্যাম্বুলেন্সটি দ্রুতগতিতে যাচ্ছিল। ফিলাডেলফিয়ার মেয়র চেরেলে পার্কার এক সংবাদ সম্মেলনে বলেন, বেশ কয়েকটি বাড়ি ও গাড়িতে আগুন ধরে গেছে। স্থানীয় কর্তৃপক্ষ বলছে, আবহাওয়া খুবই শীতল ছিল। বৃষ্টি হচ্ছিল। সবকিছু ভালোমতো দেখা না যাওয়ায় সম্ভবত এয়ার অ্যাম্বুলেন্সটি বিধ্বস্ত হয়েছে। দ্য ফেডারেল এভিয়েশন অ্যাডমিনিস্ট্রেশন বলেছে, এয়ার অ্যাম্বুলেন্সটি নর্থইস্ট ফিলাডেলফিয়া এয়ারপোর্ট থেকে মিজৌরির স্প্রিংফিল্ড-ব্রানসন ন্যাশনাল এয়ারপোর্টের দিকে যাচ্ছিল। ওয়াশিংটন ডিসিতে স্থানীয় সময় বুধবার রাতে আমেরিকান এয়ারলাইনসের একটি উড়োজাহাজের সঙ্গে মার্কিন সেনাবাহিনীর ব্ল্যাক হক হেলিকপ্টারের সংঘর্ষ হয়। এতে ৬৭ জন আরোহীর সবাই নিহত হয়েছেন বলে ধারণা করা হচ্ছে। ২০০৯ সালের পর এটিই সবচেয়ে ভয়াবহ উড়োজাহাজ বিধ্বস্তের ঘটনা। এর মাত্র তিন দিন পর আবার উড়োজাহাজ বিধ্বস্তের ঘটনা ঘটল। এলএবাংলাটাইমস/ওএম