শরণার্থীদের হাতকড়া পরিয়ে ব্রাজিলে পাঠানোর অভিযোগ উঠেছে যুক্তরাষ্ট্রের বিরুদ্ধে। ব্রাজিলের বিরোধী রাজনৈতিক শিবির এ ঘটনার কড়া সমালোচনা করেছে। সমালোচনা করেছেন ব্রাজিলের বিচারবিষয়ক মন্ত্রীও।
ঘটনাটি ঘটে গত শনিবার। ওই দিন ব্রাজিলের শরণার্থীবোঝাই একটি উড়োজাহাজ যুক্তরাষ্ট্র থেকে রওনা দেয়। উড়োজাহাজটিতে ৮৮ জন শরণার্থী, ১৬ জন মার্কিন নিরাপত্তাকর্মী এবং ৮ জন এয়ার ক্রু ছিলেন।
ওই বিমানের সব শরণার্থীর হাতে হাতকড়া পরানো ছিল বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। বিমানটি নামার কথা ছিল বেলো হরাইজনতে। কিন্তু যান্ত্রিক গোলযোগের জন্য বিমানটি নামে মিনাস গেরাইসে। সেখানেই ব্রাজিলের প্রশাসনের চোখে পড়ে, শরণার্থীদের হাতে হাতকড়া পরানো।
বিষয়টি নিয়ে সরব হন ব্রাজিলের বিচারবিষয়ক মন্ত্রী রিকার্ডো লেওয়ানডস্কি। তিনি এ কথা দেশটির প্রেসিডেন্ট লুলা দা সিলভাকে জানিয়েছেন। এরপর প্রেসিডেন্টের হস্তক্ষেপে ওই উড়োজাহাজ থেকে শরণার্থীদের নামিয়ে দেশের বিমানবাহিনীর উড়োজাহাজে সম্মানজনকভাবে শরণার্থীদের নিজ নিজ রাজ্যে পাঠানো হয়।
ব্রাজিলের সঙ্গে ২০১৭ সালে যুক্তরাষ্ট্রের একটি দ্বিপক্ষীয় চুক্তি হয়েছিল বলে দাবি করা হয়েছে। এর আগেও একটি উড়োজাহাজে ব্রাজিলের শরণার্থীদের ফেরত পাঠানো হয়েছিল। তবে এবার যেভাবে তাঁদের হাতে হাতকড়া পরানো হয়েছে, তা নিয়ে রীতিমতো সোচ্চার ব্রাজিল।
ব্রাজিলের বিরোধী রাজনৈতিক শিবির এ ঘটনার কড়া সমালোচনা করেছে। তাদের বক্তব্য, শরণার্থীদের সঙ্গে কখনোই অপরাধীদের মতো ব্যবহার করা যায় না। যুক্তরাষ্ট্রের প্রশাসনের বিষয়টি মাথায় রাখা উচিত।
এলএবাংলাটাইমস/ওএম
এলএবাংলাটাইমস/ওএম