আমেরিকা

যুক্তরাষ্ট্রের কোস্টগার্ডপ্রধানকে এবার বরখাস্ত করলেন ট্রাম্প

যুক্তরাষ্ট্রের উপকূলরক্ষী বাহিনী বা কোস্টগার্ডের প্রধানকে বরখাস্ত করেছেন দেশটির নতুন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। গত সোমবার প্রেসিডেন্ট হিসেবে শপথ নেওয়ার দিনই বাইডেন আমলের গুরুত্বপূর্ণ অনেক কর্মকর্তাকে বরখাস্ত করার প্রক্রিয়া শুরুর ধারাবাহিকতায় তিনি এ পদক্ষেপ নিলেন। গতকাল মঙ্গলবার যুক্তরাষ্ট্রের হোমল্যান্ড সিকিউরিটি দপ্তর কোস্টগার্ডের প্রধান কমান্ড্যান্ট অ্যাডমিরাল লিন্ডা লি ফাগানকে সরিয়ে দেওয়ার এ তথ্য জানিয়েছে। মার্কিন সশস্ত্র বাহিনীর কোনো শাখার প্রথম ইউনিফর্মধারী নারীপ্রধান ছিলেন তিনি। ট্রাম্পের পূর্বসূরি ও সদ্য বিদায় নেওয়া প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন তাঁর দেশের কোস্টগার্ডকে নেতৃত্ব দেওয়ার জন্য ২০২১ সালে লিন্ডা লিকে বেছে নিয়েছিলেন। হোমল্যান্ড সিকিউরিটিবিষয়ক ভারপ্রাপ্ত মন্ত্রী বেঞ্জামিন হাফম্যান কোস্টগার্ডের ওয়েবসাইটে দেওয়া একটি বার্তায় লিন্ডা লি ফাগানকে তাঁর ‘দীর্ঘদিনের ও বর্ণাঢ্য পেশাগত দায়িত্ব পালন’ শেষে দায়িত্ব থেকে অপসারণ করার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। এদিকে হোমল্যান্ড সিকিউরিটি দপ্তরের একজন জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তা বলেন, নেতৃত্বের ঘাটতি, কার্যসম্পাদনগত ব্যর্থতা ও মার্কিন কোস্টগার্ডের কৌশলগত লক্ষ্যকে এগিয়ে নেওয়ার অক্ষমতার কারণে ফাগানকে তাঁর পদ থেকে সরিয়ে দিয়েছেন হাফম্যান। নাম প্রকাশ না করার শর্তে এই কর্মকর্তা আরও বলেন, ফাগানকে সরিয়ে দেওয়ার কারণগুলোর মধ্যে একটি ছিল, বৈচিত্র্য, সমতা ও অন্তর্ভুক্তিমূলক নীতিগুলোর (ডিইআই পলিসি) ওপর ‘মাত্রাতিরিক্ত’ মনোযোগ দেওয়া। তবে এ পদক্ষেপের বিষয়ে কোস্টগার্ডের তরফে তাৎক্ষণিক কোনো মন্তব্য জানা যায়নি। এর আগে ডোনাল্ড ট্রাম্প কেন্দ্রীয় সরকারের সংস্থাগুলো থেকে ডিইআই কর্মসূচি বাদ দেওয়ার অঙ্গীকার করেন। উল্লেখ্য, ফাগানকে সরিয়ে দেওয়ার আগে যুক্তরাষ্ট্র সরকারের চারজন জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তাকে বরখাস্ত করেন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প। ক্ষমতা গ্রহণের প্রথম দিনই তিনি তাঁর পূর্বসূরির নিয়োগ দেওয়া এ চার কর্মকর্তা বরখাস্ত করেন। নতুন প্রেসিডেন্ট হিসেবে অভিষেকের পর ট্রাম্প তাঁর ট্রুথ সোশ্যাল নামের সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে দেওয়া প্রথম পোস্টে নিজেই এ তথ্য জানিয়েছেন। একই পোস্টে তিনি হাজারো কর্মকর্তাকে বরখাস্তের হুমকিও দিয়েছেন। ট্রাম্প তাঁর পোস্টে লিখেছেন, আগের প্রশাসনের নিয়োগ দেওয়া এক হাজারের বেশি ব্যক্তিকে চিহ্নিত ও অপসারণের লক্ষ্যে সক্রিয় প্রক্রিয়া চলমান। ‘যুক্তরাষ্ট্রকে আবার মহান করে তোলা’র বিষয়ে তাঁর যে দৃষ্টিভঙ্গি, তার সঙ্গে সংগতিপূর্ণ নন এ ব্যক্তিরা।

এলএবাংলাটাইমস/ওএম